গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের যোগীরসিট চেয়ারম্যান বাড়ি মোড় থেকে হয়দেবপুর পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়ক এখন চলাচলের অনুপযোগী। ভারী ওজনের মাটির গাড়ি চলাচলের কারণে পাকা সড়ক ভেঙে কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে।

প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে পার্শ্ববর্তী ভালুকা উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। সড়কটির বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে বড় বড় গর্ত। এগুলোতে জমে থাকে পানি। গর্তের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এ ছাড়া এই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন কয়েক হাজার শ্রমিক। বেশির ভাগ সময় তাঁদের হেঁটে চলাচল করতে হয়।

দেখা গেছে, যোগীরসিট অংশের কাজী পোলট্রি ফার্ম-সংলগ্ন স্থানে রয়েছে বড় বড় গর্ত। এ ছাড়া গলদাপাড়া অংশের বারতোপা বাজার অংশের সড়কটি কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। হয়দেবপুর অংশের মবিল ফ্যাক্টরি-সংলগ্ন স্থানেও সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকার কিছু মাটি ব্যবসায়ী ভারী ওজনের ড্রামট্রাক দিয়ে মাটি আনা-নেওয়া করায় দ্রুত সড়কটি ভেঙে গেছে।

হয়দেবপুর গ্রামের পোশাক শ্রমিক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে এই সড়ক দিয়ে আমাদের কর্মস্থলে পৌঁছাতে হয়। কিন্তু সড়কটির বাজে অবস্থার জন্য আমাদের খুবই কষ্ট হচ্ছে। সময়মতো কর্মস্থলে না পৌঁছাতে কর্তৃপক্ষের বকা খেতে হয়।’

জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, ‘এই সড়ক দিয়ে এখন আর গাড়ি চলাচল করতে পারে না। পুরো সড়কটিই ভেঙে গেছে। সব সময় জলাবদ্ধ থাকে সড়কটি।’

গলদাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদির বলেন, ‘এই সড়ক দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করেন। বর্তমানে কী একটা অবস্থা হয়েছে! গাড়ি তো দূরের কথা, হেঁটে চলাচলেরও রাস্তা নেই।’

সিএনজি চালক ফরিদ মিয়া বলেন, ‘অতিরিক্ত ওজনের ড্রামট্রাক চলার কারণে রাস্তা ভেঙে গেছে। এখন এই সড়কে কোনো ধরনের গাড়ি চালাতে পারছি না। আর গাড়ি চালাতে গেলে সব সময় ঝুঁকি নিয়ে চালাতে হয়। আর কত ভাঙলে সড়কটি সংস্কার করা হবে!’

কাওরাইদ ইউপির সদস্য আব্দুস ছামাদ বলেন, ‘সড়কটির বিষয়ে চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সড়কটি চলাচলের উপযোগী করা হবে।’

কাওরাইদ ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ বলেন, ‘সড়কের বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। পরিষদের পক্ষ থেকে যত দূর মেরামত করা যায়, দ্রুত করা হবে। গর্তের মধ্যে ইট-বালু ফেলে এটা চলাচলের উপযোগী করা হবে।’

উপজেলা প্রকৌশলী রাকিবুল আহসান বলেন, ‘সড়কের সংস্কারকাজ এই অর্থবছরে হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’