মৃত্যুঞ্জয় রায়
প্রতিবছর দেশে শীত আসে আর শীতের সঙ্গে সঙ্গে আসে অনেক পরিযায়ী পাখি। এসব পাখি আমাদের দেশের নয়, অনেক দূর দেশ থেকে তারা এ সময় উড়ে আসে একটু আশ্রয় ও খাদ্যের আশায়। বিশেষ করে যেসব দেশে শীতের তীব্রতা খুব বেশি, খুব ঠান্ডায় যেখানে পাখিদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে, খাবার থাকে না, সেই সব দেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির লাখ লাখ পাখি আমাদের দেশে চলে আসে।
এ জন্য কোনো কোনো পাখির হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিতে হয়। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস তাদের উড়তে হয়। কখনো কখনো এমন দূর দেশ থেকে তারা আসে যে, সেখান থেকে উড়ে আসতে আসতেই পথে তাদের প্রায় তিন মাস সময় লেগে যায়। কিছুদিন এ দেশে থাকার পর আবার নিজ বাসভূমে ফিরে যেতে হয়। ফিরে যেতেও আবার সেই তিন মাস তাদের উড়তে হয়। তার মানে, কোনো কোনো পাখির বছরে ছয় মাস শুধু উড়েই কাটাতে হয়। দূর দেশ থেকে উড়ে আসা এবং কিছু সময়ের জন্য অতিথি হয়ে এ দেশে থাকা এসব পাখি আমাদের কাছে পরিযায়ী হিসেবেও পরিচিত।
পৃথিবীতে প্রায় ১০ হাজার প্রজাতির পাখি আছে। এর মধ্যে গবেষকেরা ১ হাজার ৮৫৫ প্রজাতির পাখিকে পরিযায়ী পাখি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় ৩০০ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি আসে বলে পাখিবিশারদ ইনাম আল হক বলেছেন। এসব পরিযায়ী পাখির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হাঁস, রাজহাঁস, কালেম, ডাহুক, ছোট সরালি, খঞ্জনা, চটক, মাঠ চড়ুই, কসাই পাখি, গাঙচিল, নীলশির, রালশির, কালো হাঁস, লেঞ্জা হাঁস, খুদে গাঙচিল, কুন্তি হাঁস, জিরিয়া হাঁস, চখাচখি, বালি হাঁস, বড় সরালি, কালি বক, জলময়ূর, ডুবুরি, কোপা ডুবুরি, ছোট পানকৌড়ি, বড় পানকৌড়ি, কালো কুট, কাদাখোঁচা বা চ্যাগা, জালের কাদাখোঁচা, ছোট জিরিয়া, বাটান, চা পাখি, গঙ্গা কবুতর, সবুজ পা, লাল পা, পিউ, রাজ সরালি, পিন্টেল, পাতি সরালি, সাদা বক, দলপিপি, পানমুরগি, কাস্তেচড়া, বেগুনি কালেম, পানকৌড়ি, ইগল, পিয়াং হাঁস, ভুতি হাঁস, ধুল জিরিয়া ইত্যাদি। প্রতিবছরই দুবার এরা এ দেশে আসে। শীতেই সবচেয়ে বেশি পাখি আসে।
এক তথ্যমতে, বাংলাদেশে মোট ৩১৬ প্রজাতির পাখি প্রতিবছর আসে, যার মধ্যে ২৯০ প্রজাতির পাখি আসে শীতে। অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বর থেকে এদের আগমন ঘটে এবং মার্চে তারা চলে যায়। শীতে আসে, বসন্তে বিদায়। এই অল্প সময়ের জন্য ওরা আসে আমাদের কাছে বন্ধুর মতো।
এসব পাখি প্রধানত আসে আমাদের উত্তরের দেশগুলো থেকে। বিশেষ করে হিমালয়, সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, চীনের জিনজিয়ান, ইউরোপ প্রভৃতি অঞ্চল যখন শীতের দাপটে বরফে ঢেকে যায়, তখন সেখান থেকে এসব পাখি উড়াল দেয়। তারা জানে যে কখন তাদের কোন দেশে আশ্রয়ের জন্য যেতে হবে। তাই ওড়ার আগে তারা তাদের পাখার নিচে অধিক চর্বি জমা করে। মাইলের পর মাইল তারা উড়ে চলে সেই সঞ্চিত চর্বির শক্তিতে। এদের পরিযায়ন স্বভাবটাও বেশ অদ্ভুত। সাধারণত ওরা দল বেঁধে আসে। যেখানে ওরা একবার আসে, সাধারণত সেই সব জায়গাতেই পরের বছরগুলোতে আসার চেষ্টা করে। সব সময় একই পাখি হয়তো আসে না। তবে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু পূর্ব অভিজ্ঞ পাখি থাকে, যারা ওড়ার সময় ঝাঁকের সামনে থাকে এবং পথ নির্দেশ করে। তাদের দেহে অসাধারণ এক সংবেদ ও সাড়া প্রদান কৌশল আছে, যা দিয়ে তারা এই শত শত এমনকি হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ঠিকই পূর্বের স্থানে আসতে ও ফিরে যেতে পারে। যাত্রাপথের আকাশ, নক্ষত্র, পাহাড়, নদনদী, নবভূমি ইত্যাদি তারা চিনে রাখে এবং এসবের সাহায্যে তারা ঠিকই তাদের গন্তব্যে পৌঁছে যায়।
দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া এসব শ্রান্ত পাখি একটু উষ্ণতা, খাদ্য আর আশ্রয়ের আশায় আমাদের দেশের বিভিন্ন বনজঙ্গল, হাওর, বাঁওড়, বিল, জলাশয়ে এসে জড়ো হয়। তাদের রংবেরঙের সৌন্দর্যে শীতের দিনে রঙিন হয়ে ওঠে আমাদের জলাশয়গুলো। সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওর, বাইক্কার বিল, বরিশালের দুর্গাসাগর, ভোলার চরসমূহ, পাবনার চলনবিল, সুন্দরবনের নদনদী, নিঝুম দ্বীপ, ঢালচর, কুয়াকাটার চর, চর কুকড়িমুকড়ি, দুবলারচর, নীলফামারীর নীলসাগর, ঢাকায় মিরপুরের চিড়িয়াখানার জলাশয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক ইত্যাদি স্থানে যেন পর্যটনে আনে নতুন মাত্রা। পরিযায়ী পাখি দেখার উৎসবে মেতে ওঠে পাখি বন্ধুরা। চলে তাদের পাখিশুমারি আর পাখি চেনার আনন্দে।
ভাবতে অবাক লাগে, ঠিক এই সময়ে এসব পাখির ওপর লোভাতুর দৃষ্টি পড়ে কিছু দুষ্ট মানুষের। পাখি শিকারিরা মেতে ওঠে পরিযায়ী পাখি শিকারে। দেশে পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন থাকলেও তারা তা উপেক্ষা করে শিকার করে চলে, বাজারে বিক্রি করে। আর আমরা অনেকেই সেই সব পাখি কিনি, হত্যা ও ভোজন করি। কী নৃশংস, অমানবিক! যারা আমাদের কাছে একটু আশ্রয় ও উষ্ণতার আশায় আসে, আমরাই তাদের নিরাশ্রয় ও শীতলতা দিই!
ওদের জন্য নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিড়ম্বনা। এ কারণে অনেক দেশের তাপমাত্রা ও ঋতুবৈচিত্র্য পরিবর্তন হচ্ছে। আগে যেসব দেশে যতটা শীত থাকত, এখন সেখানে কিছুটা উষ্ণ হয়ে ওঠায় অনেক পাখির পরিযায়নকালীন আবাসস্থল পরিবর্তন করতে হচ্ছে। আমাদের দেশেও জলাশয়ের পরিধি সংকুচিত হচ্ছে, জলাশয়ে থাকা মাছ, শামুক ইত্যাদি কমে যাচ্ছে। ফলে যে নিশ্চিত খাদ্য ও আশ্রয়ের আশায় পাখিরা আমদের দেশে আসত, তারা এসেও আর সেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারছে না। তাই অনেক আবাসস্থলেই এখন পাখির কম দেখা মিলছে।
জাতীয় পরিবেশ নীতি ২০১৮-তে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের জলাভূমি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করতে হবে; জলাভূমি ভরাট বন্ধ করতে হবে; ইতিমধ্যে ভরাটকৃত জলাভূমি পুনরুদ্ধারসহ জলাভূমির জীববৈচিত্র্য এবং প্রাণিসম্পদসহ পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু এই নীতি বাস্তবে কতটুকু প্রয়োগ করা হচ্ছে বা মানা হচ্ছে, তা সহজেই অনুমেয়। আমরা যেন পরিযায়ী পাখির বন্ধু হই, ওরা এসে এ দেশে যেন নিরাপদে থাকতে ও ফিরে যেতে পারে, সবার সেই সহৃদয়তা দেখাতে হবে, নিষ্ঠুরতা নয়।
মৃত্যুঞ্জয় রায়, কৃষিবিদ ও প্রকৃতিবিষয়ক লেখক
প্রতিবছর দেশে শীত আসে আর শীতের সঙ্গে সঙ্গে আসে অনেক পরিযায়ী পাখি। এসব পাখি আমাদের দেশের নয়, অনেক দূর দেশ থেকে তারা এ সময় উড়ে আসে একটু আশ্রয় ও খাদ্যের আশায়। বিশেষ করে যেসব দেশে শীতের তীব্রতা খুব বেশি, খুব ঠান্ডায় যেখানে পাখিদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে, খাবার থাকে না, সেই সব দেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির লাখ লাখ পাখি আমাদের দেশে চলে আসে।
এ জন্য কোনো কোনো পাখির হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিতে হয়। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস তাদের উড়তে হয়। কখনো কখনো এমন দূর দেশ থেকে তারা আসে যে, সেখান থেকে উড়ে আসতে আসতেই পথে তাদের প্রায় তিন মাস সময় লেগে যায়। কিছুদিন এ দেশে থাকার পর আবার নিজ বাসভূমে ফিরে যেতে হয়। ফিরে যেতেও আবার সেই তিন মাস তাদের উড়তে হয়। তার মানে, কোনো কোনো পাখির বছরে ছয় মাস শুধু উড়েই কাটাতে হয়। দূর দেশ থেকে উড়ে আসা এবং কিছু সময়ের জন্য অতিথি হয়ে এ দেশে থাকা এসব পাখি আমাদের কাছে পরিযায়ী হিসেবেও পরিচিত।
পৃথিবীতে প্রায় ১০ হাজার প্রজাতির পাখি আছে। এর মধ্যে গবেষকেরা ১ হাজার ৮৫৫ প্রজাতির পাখিকে পরিযায়ী পাখি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় ৩০০ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি আসে বলে পাখিবিশারদ ইনাম আল হক বলেছেন। এসব পরিযায়ী পাখির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হাঁস, রাজহাঁস, কালেম, ডাহুক, ছোট সরালি, খঞ্জনা, চটক, মাঠ চড়ুই, কসাই পাখি, গাঙচিল, নীলশির, রালশির, কালো হাঁস, লেঞ্জা হাঁস, খুদে গাঙচিল, কুন্তি হাঁস, জিরিয়া হাঁস, চখাচখি, বালি হাঁস, বড় সরালি, কালি বক, জলময়ূর, ডুবুরি, কোপা ডুবুরি, ছোট পানকৌড়ি, বড় পানকৌড়ি, কালো কুট, কাদাখোঁচা বা চ্যাগা, জালের কাদাখোঁচা, ছোট জিরিয়া, বাটান, চা পাখি, গঙ্গা কবুতর, সবুজ পা, লাল পা, পিউ, রাজ সরালি, পিন্টেল, পাতি সরালি, সাদা বক, দলপিপি, পানমুরগি, কাস্তেচড়া, বেগুনি কালেম, পানকৌড়ি, ইগল, পিয়াং হাঁস, ভুতি হাঁস, ধুল জিরিয়া ইত্যাদি। প্রতিবছরই দুবার এরা এ দেশে আসে। শীতেই সবচেয়ে বেশি পাখি আসে।
এক তথ্যমতে, বাংলাদেশে মোট ৩১৬ প্রজাতির পাখি প্রতিবছর আসে, যার মধ্যে ২৯০ প্রজাতির পাখি আসে শীতে। অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বর থেকে এদের আগমন ঘটে এবং মার্চে তারা চলে যায়। শীতে আসে, বসন্তে বিদায়। এই অল্প সময়ের জন্য ওরা আসে আমাদের কাছে বন্ধুর মতো।
এসব পাখি প্রধানত আসে আমাদের উত্তরের দেশগুলো থেকে। বিশেষ করে হিমালয়, সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, চীনের জিনজিয়ান, ইউরোপ প্রভৃতি অঞ্চল যখন শীতের দাপটে বরফে ঢেকে যায়, তখন সেখান থেকে এসব পাখি উড়াল দেয়। তারা জানে যে কখন তাদের কোন দেশে আশ্রয়ের জন্য যেতে হবে। তাই ওড়ার আগে তারা তাদের পাখার নিচে অধিক চর্বি জমা করে। মাইলের পর মাইল তারা উড়ে চলে সেই সঞ্চিত চর্বির শক্তিতে। এদের পরিযায়ন স্বভাবটাও বেশ অদ্ভুত। সাধারণত ওরা দল বেঁধে আসে। যেখানে ওরা একবার আসে, সাধারণত সেই সব জায়গাতেই পরের বছরগুলোতে আসার চেষ্টা করে। সব সময় একই পাখি হয়তো আসে না। তবে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু পূর্ব অভিজ্ঞ পাখি থাকে, যারা ওড়ার সময় ঝাঁকের সামনে থাকে এবং পথ নির্দেশ করে। তাদের দেহে অসাধারণ এক সংবেদ ও সাড়া প্রদান কৌশল আছে, যা দিয়ে তারা এই শত শত এমনকি হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ঠিকই পূর্বের স্থানে আসতে ও ফিরে যেতে পারে। যাত্রাপথের আকাশ, নক্ষত্র, পাহাড়, নদনদী, নবভূমি ইত্যাদি তারা চিনে রাখে এবং এসবের সাহায্যে তারা ঠিকই তাদের গন্তব্যে পৌঁছে যায়।
দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া এসব শ্রান্ত পাখি একটু উষ্ণতা, খাদ্য আর আশ্রয়ের আশায় আমাদের দেশের বিভিন্ন বনজঙ্গল, হাওর, বাঁওড়, বিল, জলাশয়ে এসে জড়ো হয়। তাদের রংবেরঙের সৌন্দর্যে শীতের দিনে রঙিন হয়ে ওঠে আমাদের জলাশয়গুলো। সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওর, বাইক্কার বিল, বরিশালের দুর্গাসাগর, ভোলার চরসমূহ, পাবনার চলনবিল, সুন্দরবনের নদনদী, নিঝুম দ্বীপ, ঢালচর, কুয়াকাটার চর, চর কুকড়িমুকড়ি, দুবলারচর, নীলফামারীর নীলসাগর, ঢাকায় মিরপুরের চিড়িয়াখানার জলাশয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক ইত্যাদি স্থানে যেন পর্যটনে আনে নতুন মাত্রা। পরিযায়ী পাখি দেখার উৎসবে মেতে ওঠে পাখি বন্ধুরা। চলে তাদের পাখিশুমারি আর পাখি চেনার আনন্দে।
ভাবতে অবাক লাগে, ঠিক এই সময়ে এসব পাখির ওপর লোভাতুর দৃষ্টি পড়ে কিছু দুষ্ট মানুষের। পাখি শিকারিরা মেতে ওঠে পরিযায়ী পাখি শিকারে। দেশে পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন থাকলেও তারা তা উপেক্ষা করে শিকার করে চলে, বাজারে বিক্রি করে। আর আমরা অনেকেই সেই সব পাখি কিনি, হত্যা ও ভোজন করি। কী নৃশংস, অমানবিক! যারা আমাদের কাছে একটু আশ্রয় ও উষ্ণতার আশায় আসে, আমরাই তাদের নিরাশ্রয় ও শীতলতা দিই!
ওদের জন্য নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিড়ম্বনা। এ কারণে অনেক দেশের তাপমাত্রা ও ঋতুবৈচিত্র্য পরিবর্তন হচ্ছে। আগে যেসব দেশে যতটা শীত থাকত, এখন সেখানে কিছুটা উষ্ণ হয়ে ওঠায় অনেক পাখির পরিযায়নকালীন আবাসস্থল পরিবর্তন করতে হচ্ছে। আমাদের দেশেও জলাশয়ের পরিধি সংকুচিত হচ্ছে, জলাশয়ে থাকা মাছ, শামুক ইত্যাদি কমে যাচ্ছে। ফলে যে নিশ্চিত খাদ্য ও আশ্রয়ের আশায় পাখিরা আমদের দেশে আসত, তারা এসেও আর সেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারছে না। তাই অনেক আবাসস্থলেই এখন পাখির কম দেখা মিলছে।
জাতীয় পরিবেশ নীতি ২০১৮-তে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের জলাভূমি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করতে হবে; জলাভূমি ভরাট বন্ধ করতে হবে; ইতিমধ্যে ভরাটকৃত জলাভূমি পুনরুদ্ধারসহ জলাভূমির জীববৈচিত্র্য এবং প্রাণিসম্পদসহ পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু এই নীতি বাস্তবে কতটুকু প্রয়োগ করা হচ্ছে বা মানা হচ্ছে, তা সহজেই অনুমেয়। আমরা যেন পরিযায়ী পাখির বন্ধু হই, ওরা এসে এ দেশে যেন নিরাপদে থাকতে ও ফিরে যেতে পারে, সবার সেই সহৃদয়তা দেখাতে হবে, নিষ্ঠুরতা নয়।
মৃত্যুঞ্জয় রায়, কৃষিবিদ ও প্রকৃতিবিষয়ক লেখক
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৬ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে