রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
গাজীপুরের শ্রীপুরে পানির অভাবে জমিতে সদ্য রোপণ করা শত শত একর আমনের চারা মারা যাচ্ছে। একদিকে অতিমাত্রার লোডশেডিং অন্যদিকে নেই বৃষ্টির দেখা। কোনোমতে জমি তৈরি করে আমন রোপণ করলেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে না পারার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুরুতেই খরার দেখা আর লোডশেডিংয়ের মাঝখানে পড়ে আমন নিয়ে শঙ্কিত উপজেলার প্রান্তিক কৃষকেরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানির অভাবে আমন রোপণ করতে দেরি হচ্ছে। আবার কেউ কেউ এখন পর্যন্ত জমি তৈরি করতে পারছেন না পানির জন্য। কোনো কোনো জমি তৈরি করে আমন রোপণ করলেও সেগুলো শুরুতেই পড়েছে খরায়। কোনো কোনো জমিতে রোপণকৃত ধানের চারা মরে যাচ্ছে। আবার কোনো জমিতে শুধু হালচাষ করে ফেলে রাখা হয়েছে, পানির অভাবে ধান রোপণ করতে পারছেন না।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা এ বছর আমন ধান নিয়ে বেশ শঙ্কিত রয়েছেন। একদিকে বৃষ্টির দেখা নেই, অন্যদিকে অতিমাত্রার লোডশেডিং। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খেতের আমন ধান।
উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের কৃষক মো. রহমত আলী বলেন, ‘দুই বিঘা জমি কোনোমতে তৈরি করে আপন রোপণ করেছি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। ঠিকমতো বিদ্যুৎও থাকে না। যার কারণে ধান খেতে খরা লেগেছে।
কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া গ্রামের কৃষক মো. সোবহান মিয়া বলেন, ‘যে জমিতে গভীর নলকূপ অথবা পাম্প দিয়ে পানি সেচের ব্যবস্থা নেই। আমন সাধারণত বৃষ্টির পানিতে চাষনির্ভর। এ বছর আমন চাষে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। তবুও ফসল তোলা নিয়ে আমি শঙ্কিত।’
বরমী ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের কৃষক সুলতান মিয়া বলেন, ‘ধান রোপণ করেছি এক সপ্তাহ হলো। লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমতো সেচ দেওয়া যাচ্ছে না। জমির চারা মরতে শুরু করেছে। বৃষ্টির দেখা নেই অনেক দিন। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের মাথায় হাত পড়বে।’
গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল হক মাদবর বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে স্থানীয় কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানের পানির মোটরের সংস্কার করে দেওয়া হচ্ছে। এ রকম চলতে থাকলে সামনে আরও বড় সমস্যা হবে। এ বছর আমন চাষে অনেক কৃষক আগ্রহ হারাচ্ছেন, তাতে এ বছর আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কমতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যুতের দিকে নজর দিতে হবে সংশ্লিষ্টদের।
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর মাওনা জোনাল অফিসের ডিজিএম আহমেদ শাহ্ আল জাবেদ বলেন, ‘বর্তমানে বিদ্যুৎ নির্দিষ্ট নিয়মে চলছে। তবুও কৃষকদের কথা মাথায় রেখে সেচব্যবস্থায় যাতে আমন উৎপাদন ব্যাহত না হয় বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে। উপজেলার কৃষিনির্ভর এলাকার জন্য যতটুকু সম্ভব কম লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে।’
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মূয়ীদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর অন্য বছরের তুলনায় বৃষ্টির পরিমাণ কম। এ ছাড়া অতিমাত্রার লোডশেডিংয়ের জন্য আমন রোপণে সমস্যা হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে কৃষিনির্ভর এলাকায় কম লোডশেডিং দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে ইতিমধ্যে বিনা মূল্যে সার-বীজ ও কীটনাশক দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুরের শ্রীপুরে পানির অভাবে জমিতে সদ্য রোপণ করা শত শত একর আমনের চারা মারা যাচ্ছে। একদিকে অতিমাত্রার লোডশেডিং অন্যদিকে নেই বৃষ্টির দেখা। কোনোমতে জমি তৈরি করে আমন রোপণ করলেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে না পারার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুরুতেই খরার দেখা আর লোডশেডিংয়ের মাঝখানে পড়ে আমন নিয়ে শঙ্কিত উপজেলার প্রান্তিক কৃষকেরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানির অভাবে আমন রোপণ করতে দেরি হচ্ছে। আবার কেউ কেউ এখন পর্যন্ত জমি তৈরি করতে পারছেন না পানির জন্য। কোনো কোনো জমি তৈরি করে আমন রোপণ করলেও সেগুলো শুরুতেই পড়েছে খরায়। কোনো কোনো জমিতে রোপণকৃত ধানের চারা মরে যাচ্ছে। আবার কোনো জমিতে শুধু হালচাষ করে ফেলে রাখা হয়েছে, পানির অভাবে ধান রোপণ করতে পারছেন না।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা এ বছর আমন ধান নিয়ে বেশ শঙ্কিত রয়েছেন। একদিকে বৃষ্টির দেখা নেই, অন্যদিকে অতিমাত্রার লোডশেডিং। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খেতের আমন ধান।
উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের কৃষক মো. রহমত আলী বলেন, ‘দুই বিঘা জমি কোনোমতে তৈরি করে আপন রোপণ করেছি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। ঠিকমতো বিদ্যুৎও থাকে না। যার কারণে ধান খেতে খরা লেগেছে।
কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া গ্রামের কৃষক মো. সোবহান মিয়া বলেন, ‘যে জমিতে গভীর নলকূপ অথবা পাম্প দিয়ে পানি সেচের ব্যবস্থা নেই। আমন সাধারণত বৃষ্টির পানিতে চাষনির্ভর। এ বছর আমন চাষে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। তবুও ফসল তোলা নিয়ে আমি শঙ্কিত।’
বরমী ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের কৃষক সুলতান মিয়া বলেন, ‘ধান রোপণ করেছি এক সপ্তাহ হলো। লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমতো সেচ দেওয়া যাচ্ছে না। জমির চারা মরতে শুরু করেছে। বৃষ্টির দেখা নেই অনেক দিন। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের মাথায় হাত পড়বে।’
গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল হক মাদবর বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে স্থানীয় কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানের পানির মোটরের সংস্কার করে দেওয়া হচ্ছে। এ রকম চলতে থাকলে সামনে আরও বড় সমস্যা হবে। এ বছর আমন চাষে অনেক কৃষক আগ্রহ হারাচ্ছেন, তাতে এ বছর আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কমতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যুতের দিকে নজর দিতে হবে সংশ্লিষ্টদের।
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর মাওনা জোনাল অফিসের ডিজিএম আহমেদ শাহ্ আল জাবেদ বলেন, ‘বর্তমানে বিদ্যুৎ নির্দিষ্ট নিয়মে চলছে। তবুও কৃষকদের কথা মাথায় রেখে সেচব্যবস্থায় যাতে আমন উৎপাদন ব্যাহত না হয় বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে। উপজেলার কৃষিনির্ভর এলাকার জন্য যতটুকু সম্ভব কম লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে।’
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মূয়ীদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর অন্য বছরের তুলনায় বৃষ্টির পরিমাণ কম। এ ছাড়া অতিমাত্রার লোডশেডিংয়ের জন্য আমন রোপণে সমস্যা হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে কৃষিনির্ভর এলাকায় কম লোডশেডিং দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে ইতিমধ্যে বিনা মূল্যে সার-বীজ ও কীটনাশক দেওয়া হয়েছে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৬ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৯ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে