নুরুল আমীন রবীন, শরীয়তপুর
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ক্যাম্পাসটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালের প্রবেশপথ, ডেলিভারি ওয়ার্ড ও মহিলা ওয়ার্ডের আশপাশসহ যত্রতত্র ফেলা রাখা হয়েছে আবর্জনা। হাসপাতালটির বর্জ্য অপসারণে সঠিক কোনো ব্যবস্থাপনা না থাকায় দীর্ঘদিন জমে থাকা আবর্জনায় নোংরা হচ্ছে পরিবেশ। এতে মশার উপদ্রব বেড়েছে। নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে রোগীরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, জাজিরা পৌরসভাকে বিষয়টি জানানো হলেও বর্জ্য অপসারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ জন রোগী হাসপাতালটিতে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রম চলছে। এতে টিকা নিতে নিয়মিত হাসপাতালে আসছে অনেকে। এই বিপুলসংখ্যক রোগীর ব্যবহৃত ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে হাসপাতালের কমপ্লেক্সে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা হাসপাতাল ভবনে জমে থাকা ময়লা প্রতিদিন পরিষ্কার করে ক্যাম্পাসের কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় জমা করে রাখেন। তবে পৌরসভা জমে থাকা ময়লা অপসারণ না করায় পরিবেশ নোংরা হচ্ছে।
আজ বুধবার সকালে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতাল ভবনের সামনের সড়ক ও মাঠ বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। তবে হাসপাতালের দেয়াল ঘেঁষে স্তূপ করে রাখা হয়েছে ময়লা। ডেলিভারি ও মহিলা ওয়ার্ডের পাশে জমিয়ে রাখা হয়েছে ময়লা-আবর্জনার বিশাল স্তূপ। এই স্তূপের পাশে ডেলিভারি ওয়ার্ডে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, সুঁই, গজ ব্যান্ডেজসহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসাসামগ্রী ফেলছেন নার্স ও রোগীর স্বজনেরা। এ ছাড়া হাসপাতাল ভবনের চারপাশে অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে চিকিৎসা বর্জ্যসহ বিভিন্ন আবর্জনা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ময়লার স্তূপঘেঁষা সরু রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করছে অনেকে। ময়লা আর দুর্গন্ধঘেঁষা কয়েকটি কক্ষে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাবেয়া বেগম বলেন, ‘হাসপাতালের চারপাশ থেকে বর্জ্যের গন্ধে ও অতিরিক্ত মশার উৎপাতের কারণে ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না। হাসপাতালে এসেছি সুস্থ হতে, কিন্তু এখানে এসে আরও বেশি অসুস্থ বোধ করছি।’
চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন নাসরিন আক্তার বলেন, ‘রোগী নিয়ে এসেছি, কিন্তু এখন নিজেই অসুস্থ বোধ করছি। ভবনের চারপাশে ময়লার পাহাড় তৈরি করে রাখা হয়েছে। এতে তীব্র গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। এমন দুর্গন্ধে এখানে থাকা অস্বস্তিকর। সঙ্গে মশার উৎপাত তো রয়েছেই।’
পথচারী জাহিদুল হক বলেন, ‘হাসপাতালে মানুষ আসে সুস্থ হতে, কিন্তু জাজিরা হাসপাতালের পাশ দিয়ে যারা চলাচল করে, তারাও বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হতে পারে। তা ছাড়া এসব ময়লা-আবর্জনার স্তূপে কুকুর-বেড়াল নিয়মিত ঘোরাফেরা করে। সেই কুকুর-বেড়াল আবার মানুষের মধ্যে আসছে। এতে করে রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কাজ করা সংগঠন বিডি ক্লিন জাজিরা টিমের সমন্বয়ক পলাশ খান বলেন, ‘চিকিৎসাকেন্দ্র হচ্ছে মানুষকে সচেতন করার অন্যতম স্থান। আর হাসপাতালে বর্জ্য অপসারণের এমন অব্যবস্থাপনা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আশা করি কর্তৃপক্ষ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণসহ এর সঠিক ব্যবস্থাপনায় কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।’
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাসপাতালে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বর্জ্য অপসারণের কোনো সুযোগ নেই। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে একটি নির্দিষ্ট স্থানে জমা করেন। যাবতীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পৌরসভার হাতে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে একাধিকবার লিখিতভাবে জাজিরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত পৌরসভার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জাজিরা পৌর মেয়র ইদ্রিস মাদবরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পৌরসভা থেকে একটি ডাম্পিং ইয়ার্ড তৈরি করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে একটু সময় লাগবে। তার আগে বিকল্প ব্যবস্থায় বর্জ্য অপসারণের চেষ্টা চলছে। হাসপাতাল যেহেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ময়লা পরিষ্কারের ব্যবস্থা করা হবে।’
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ক্যাম্পাসটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালের প্রবেশপথ, ডেলিভারি ওয়ার্ড ও মহিলা ওয়ার্ডের আশপাশসহ যত্রতত্র ফেলা রাখা হয়েছে আবর্জনা। হাসপাতালটির বর্জ্য অপসারণে সঠিক কোনো ব্যবস্থাপনা না থাকায় দীর্ঘদিন জমে থাকা আবর্জনায় নোংরা হচ্ছে পরিবেশ। এতে মশার উপদ্রব বেড়েছে। নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে রোগীরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, জাজিরা পৌরসভাকে বিষয়টি জানানো হলেও বর্জ্য অপসারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ জন রোগী হাসপাতালটিতে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রম চলছে। এতে টিকা নিতে নিয়মিত হাসপাতালে আসছে অনেকে। এই বিপুলসংখ্যক রোগীর ব্যবহৃত ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে হাসপাতালের কমপ্লেক্সে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা হাসপাতাল ভবনে জমে থাকা ময়লা প্রতিদিন পরিষ্কার করে ক্যাম্পাসের কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় জমা করে রাখেন। তবে পৌরসভা জমে থাকা ময়লা অপসারণ না করায় পরিবেশ নোংরা হচ্ছে।
আজ বুধবার সকালে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতাল ভবনের সামনের সড়ক ও মাঠ বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। তবে হাসপাতালের দেয়াল ঘেঁষে স্তূপ করে রাখা হয়েছে ময়লা। ডেলিভারি ও মহিলা ওয়ার্ডের পাশে জমিয়ে রাখা হয়েছে ময়লা-আবর্জনার বিশাল স্তূপ। এই স্তূপের পাশে ডেলিভারি ওয়ার্ডে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, সুঁই, গজ ব্যান্ডেজসহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসাসামগ্রী ফেলছেন নার্স ও রোগীর স্বজনেরা। এ ছাড়া হাসপাতাল ভবনের চারপাশে অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে চিকিৎসা বর্জ্যসহ বিভিন্ন আবর্জনা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ময়লার স্তূপঘেঁষা সরু রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করছে অনেকে। ময়লা আর দুর্গন্ধঘেঁষা কয়েকটি কক্ষে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাবেয়া বেগম বলেন, ‘হাসপাতালের চারপাশ থেকে বর্জ্যের গন্ধে ও অতিরিক্ত মশার উৎপাতের কারণে ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না। হাসপাতালে এসেছি সুস্থ হতে, কিন্তু এখানে এসে আরও বেশি অসুস্থ বোধ করছি।’
চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন নাসরিন আক্তার বলেন, ‘রোগী নিয়ে এসেছি, কিন্তু এখন নিজেই অসুস্থ বোধ করছি। ভবনের চারপাশে ময়লার পাহাড় তৈরি করে রাখা হয়েছে। এতে তীব্র গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। এমন দুর্গন্ধে এখানে থাকা অস্বস্তিকর। সঙ্গে মশার উৎপাত তো রয়েছেই।’
পথচারী জাহিদুল হক বলেন, ‘হাসপাতালে মানুষ আসে সুস্থ হতে, কিন্তু জাজিরা হাসপাতালের পাশ দিয়ে যারা চলাচল করে, তারাও বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হতে পারে। তা ছাড়া এসব ময়লা-আবর্জনার স্তূপে কুকুর-বেড়াল নিয়মিত ঘোরাফেরা করে। সেই কুকুর-বেড়াল আবার মানুষের মধ্যে আসছে। এতে করে রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কাজ করা সংগঠন বিডি ক্লিন জাজিরা টিমের সমন্বয়ক পলাশ খান বলেন, ‘চিকিৎসাকেন্দ্র হচ্ছে মানুষকে সচেতন করার অন্যতম স্থান। আর হাসপাতালে বর্জ্য অপসারণের এমন অব্যবস্থাপনা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আশা করি কর্তৃপক্ষ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণসহ এর সঠিক ব্যবস্থাপনায় কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।’
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাসপাতালে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বর্জ্য অপসারণের কোনো সুযোগ নেই। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে একটি নির্দিষ্ট স্থানে জমা করেন। যাবতীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পৌরসভার হাতে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে একাধিকবার লিখিতভাবে জাজিরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত পৌরসভার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জাজিরা পৌর মেয়র ইদ্রিস মাদবরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পৌরসভা থেকে একটি ডাম্পিং ইয়ার্ড তৈরি করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে একটু সময় লাগবে। তার আগে বিকল্প ব্যবস্থায় বর্জ্য অপসারণের চেষ্টা চলছে। হাসপাতাল যেহেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ময়লা পরিষ্কারের ব্যবস্থা করা হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে