জয়নাল আবেদীন খান
আজকের পত্রিকা: সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের রিজার্ভ নিয়ে নানা কথা হচ্ছে। দেশের রিজার্ভ পরিস্থিতিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
মুনিরুল মওলা: দেশের রিজার্ভ ইস্যুটা সরলীকরণ করা যাবে না। এটাকে এককথায় ব্যাখ্যা করা যাবে না। সম্প্রতি ডলারের চাপ সামলাতে সরকার আমদানিতে কড়াকড়িসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে দেশের রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ছয় মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা সম্ভব। সুতরাং রিজার্ভ নিয়ে হতাশার কিছু দেখছি না।
আজকের পত্রিকা: প্রবাসী আয়ে ইসলামী ব্যাংকের এগিয়ে থাকার কৌশলগুলো কী?
মুনিরুল মওলা: ২০২১ সালে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৫১ হাজার কোটি টাকা প্রবাসী আয় এসেছে, যা প্রবাসী রেমিট্যান্সের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। ইসলামী ব্যাংক প্রতিদিন প্রায় ৬০ হাজার গ্রাহকের কাছে গড়ে ১৩৮ কোটি টাকার রেমিট্যান্স পৌঁছে দিচ্ছে। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকের সেলফিন অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকেরা হিসাব খোলা থেকে শুরু করে ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন করতে পারেন। অ্যাপটি ব্যবহার করে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে তাৎক্ষণিক রেমিট্যান্স গ্রহণ করা যায়।
আজকের পত্রিকা: নতুন নতুন সেবাই কি গ্রাহকের আস্থা অর্জনে সহায়ক হয়েছে?
মুনিরুল মওলা: আমানতকারীদের প্রতি আমাদের যে প্রতিশ্রুতি সেটাই আস্থা অর্জনের প্রধান নিয়ামক। পাশাপাশি ইসলামী ব্যাংকিং পদ্ধতিতে মুনাফা ও সুরক্ষা দুটোই বেশি। এ ছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংক হওয়া সত্ত্বেও আমরা ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমরা এরই মধ্যে ২৬ হাজার গ্রামে গিয়েছি। এটাকে আরও সম্প্রসারণ করা হবে। এ ছাড়া পাঁচ শতাধিক বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের করেসপন্ডেন্ট সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি সৌদি আরবে ইসলামী ব্যাংকের নতুন শাখা খোলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: দেশে নতুন ধারার ইসলামী ব্যাংকিংয়ের চ্যালেঞ্জ কী কী?
মুনিরুল মওলা: এ দেশে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের শুরুর দিকে নানা চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ, এটি গতানুগতিক ব্যাংকিংয়ের বাইরে হওয়ায় মানুষের সামনে তুলে ধরা সহজসাধ্য ছিল না। বিশেষ করে শরিয়াহ অনুযায়ী ব্যাংক চালাতে প্রথম দিকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকার ও অধিকাংশ গ্রাহকের অসামান্য ত্যাগ রয়েছে। তবে সবার অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় ইসলামী ব্যাংকিং দ্রুত প্রসার লাভ করে।
আজকের পত্রিকা: গত ৪০ বছরে ইসলামী ব্যাংকের সেরা সাফল্যগুলো জানতে চাইলে কোনগুলোর কথা বলবেন?
মুনিরুল মওলা: আমরা ‘ম্যাচিউর ব্যাংকে’ পরিণত হয়েছি। এটি দেশের শীর্ষ বেসরকারি ব্যাংকের স্থানও দখল করেছে। এমনকি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম শরিয়াহভিত্তিক এই ব্যাংক দেশের সর্বোচ্চ আমানত ও বিনিয়োগ নিয়ে ৪০ বছরে পা রেখেছে। ২০১২ সাল থেকে বিশ্বের শীর্ষ এক হাজার ব্যাংকের তালিকায় বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাংক হিসেবে অবস্থান ধরে রেখেছে। আর বিশ্বে শরিয়াহভিত্তিক পরিচালিত সেরা ৫০০টি ব্যাংকের মধ্যে আমরা সেরা স্বীকৃতি পেয়েছি। এই অবস্থান ক্রমাগত উন্নীত হচ্ছে। আগামীতে বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি ব্যাংকের মধ্যে ইসলামী ব্যাংককে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
আজকের পত্রিকা: আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে দেশের ব্যাংক খাত নিয়ে কী মন্তব্য করবেন?
মুনিরুল মওলা: ব্যাংক খাতে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। এক ব্যাংকের গ্রাহককে প্রলোভন দেখিয়ে ভাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে অন্য ব্যাংক। এ জন্য সুশাসন বাড়াতে হবে। এ ছাড়া ব্যাংক খাতে অন্যতম একটি সমস্যা হলো আমানত ও ঋণে সুদের হার বেঁধে দেওয়া। এটা মুক্তবাজার অর্থনীতির সঙ্গে মানায় না। এটা করোনার সময় করা হয়েছিল।
আজকের পত্রিকা: ইসলামী ব্যাংকের আমানত, সুরক্ষা ও অন্যান্য সূচক সম্পর্কে জানতে চাই।
মুনিরুল মওলা: ইসলামী ব্যাংকে মানুষের জমানো আমানত মুনাফাসহ ফেরত পাওয়ার শতভাগ নিশ্চয়তা রয়েছে। দেশে ব্যাংক খাতে আমানতের ১০ ভাগ ধারণ করছে ইসলামী ব্যাংক। বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ ১ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বিনিয়োগের পরিমাণ ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের মোট ব্যাংকিং ঋণ বা বিনিয়োগের ৯ শতাংশ। গ্রাহকসংখ্যা ১ কোটি ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে।
আজকের পত্রিকা: সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের রিজার্ভ নিয়ে নানা কথা হচ্ছে। দেশের রিজার্ভ পরিস্থিতিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
মুনিরুল মওলা: দেশের রিজার্ভ ইস্যুটা সরলীকরণ করা যাবে না। এটাকে এককথায় ব্যাখ্যা করা যাবে না। সম্প্রতি ডলারের চাপ সামলাতে সরকার আমদানিতে কড়াকড়িসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে দেশের রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ছয় মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা সম্ভব। সুতরাং রিজার্ভ নিয়ে হতাশার কিছু দেখছি না।
আজকের পত্রিকা: প্রবাসী আয়ে ইসলামী ব্যাংকের এগিয়ে থাকার কৌশলগুলো কী?
মুনিরুল মওলা: ২০২১ সালে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৫১ হাজার কোটি টাকা প্রবাসী আয় এসেছে, যা প্রবাসী রেমিট্যান্সের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। ইসলামী ব্যাংক প্রতিদিন প্রায় ৬০ হাজার গ্রাহকের কাছে গড়ে ১৩৮ কোটি টাকার রেমিট্যান্স পৌঁছে দিচ্ছে। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকের সেলফিন অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকেরা হিসাব খোলা থেকে শুরু করে ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন করতে পারেন। অ্যাপটি ব্যবহার করে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে তাৎক্ষণিক রেমিট্যান্স গ্রহণ করা যায়।
আজকের পত্রিকা: নতুন নতুন সেবাই কি গ্রাহকের আস্থা অর্জনে সহায়ক হয়েছে?
মুনিরুল মওলা: আমানতকারীদের প্রতি আমাদের যে প্রতিশ্রুতি সেটাই আস্থা অর্জনের প্রধান নিয়ামক। পাশাপাশি ইসলামী ব্যাংকিং পদ্ধতিতে মুনাফা ও সুরক্ষা দুটোই বেশি। এ ছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংক হওয়া সত্ত্বেও আমরা ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমরা এরই মধ্যে ২৬ হাজার গ্রামে গিয়েছি। এটাকে আরও সম্প্রসারণ করা হবে। এ ছাড়া পাঁচ শতাধিক বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের করেসপন্ডেন্ট সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি সৌদি আরবে ইসলামী ব্যাংকের নতুন শাখা খোলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: দেশে নতুন ধারার ইসলামী ব্যাংকিংয়ের চ্যালেঞ্জ কী কী?
মুনিরুল মওলা: এ দেশে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের শুরুর দিকে নানা চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ, এটি গতানুগতিক ব্যাংকিংয়ের বাইরে হওয়ায় মানুষের সামনে তুলে ধরা সহজসাধ্য ছিল না। বিশেষ করে শরিয়াহ অনুযায়ী ব্যাংক চালাতে প্রথম দিকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকার ও অধিকাংশ গ্রাহকের অসামান্য ত্যাগ রয়েছে। তবে সবার অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় ইসলামী ব্যাংকিং দ্রুত প্রসার লাভ করে।
আজকের পত্রিকা: গত ৪০ বছরে ইসলামী ব্যাংকের সেরা সাফল্যগুলো জানতে চাইলে কোনগুলোর কথা বলবেন?
মুনিরুল মওলা: আমরা ‘ম্যাচিউর ব্যাংকে’ পরিণত হয়েছি। এটি দেশের শীর্ষ বেসরকারি ব্যাংকের স্থানও দখল করেছে। এমনকি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম শরিয়াহভিত্তিক এই ব্যাংক দেশের সর্বোচ্চ আমানত ও বিনিয়োগ নিয়ে ৪০ বছরে পা রেখেছে। ২০১২ সাল থেকে বিশ্বের শীর্ষ এক হাজার ব্যাংকের তালিকায় বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাংক হিসেবে অবস্থান ধরে রেখেছে। আর বিশ্বে শরিয়াহভিত্তিক পরিচালিত সেরা ৫০০টি ব্যাংকের মধ্যে আমরা সেরা স্বীকৃতি পেয়েছি। এই অবস্থান ক্রমাগত উন্নীত হচ্ছে। আগামীতে বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি ব্যাংকের মধ্যে ইসলামী ব্যাংককে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
আজকের পত্রিকা: আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে দেশের ব্যাংক খাত নিয়ে কী মন্তব্য করবেন?
মুনিরুল মওলা: ব্যাংক খাতে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। এক ব্যাংকের গ্রাহককে প্রলোভন দেখিয়ে ভাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে অন্য ব্যাংক। এ জন্য সুশাসন বাড়াতে হবে। এ ছাড়া ব্যাংক খাতে অন্যতম একটি সমস্যা হলো আমানত ও ঋণে সুদের হার বেঁধে দেওয়া। এটা মুক্তবাজার অর্থনীতির সঙ্গে মানায় না। এটা করোনার সময় করা হয়েছিল।
আজকের পত্রিকা: ইসলামী ব্যাংকের আমানত, সুরক্ষা ও অন্যান্য সূচক সম্পর্কে জানতে চাই।
মুনিরুল মওলা: ইসলামী ব্যাংকে মানুষের জমানো আমানত মুনাফাসহ ফেরত পাওয়ার শতভাগ নিশ্চয়তা রয়েছে। দেশে ব্যাংক খাতে আমানতের ১০ ভাগ ধারণ করছে ইসলামী ব্যাংক। বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ ১ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বিনিয়োগের পরিমাণ ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের মোট ব্যাংকিং ঋণ বা বিনিয়োগের ৯ শতাংশ। গ্রাহকসংখ্যা ১ কোটি ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে