ড. বিভূতিভূষণ মিত্র
খুব বেশি দিন আগে নয়, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম উদ্বোধন করেন ফ্লাইওভার পিলারের আলপনা কার্যক্রম। যার উদ্দেশ্য শহরের বিভিন্ন দেয়ালে যত্রতত্র পোস্টারের কারণে যে দৃশ্যদূষণ তৈরি হয় তা দূর করা এবং একই সঙ্গে এই সব আলপনার মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা। আলপনাগুলোতে ফুল, পাখি, নানা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গাছ লাগানো—এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে ফুটিয়ে তোলা হয়। এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো এবং অভিনব উদ্যোগ। আলপনার মতো একটি বিষয়কে যে উদ্দেশে ব্যবহার করা হলো তা সত্যিকার অর্থেই প্রশংসার দাবিদার।
তবে আলপনার এসব ব্যবহার কিন্তু আজকের নয়। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বঙ্গীয় শব্দকোষে আলপনা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘এটি একধরনের চিত্র, যা মঙ্গলজনক কাজে ঘরের দরজায়, আঙিনায়, দেয়ালে আঁকা হয়।’ আলপনা এখন আরও বিস্তৃত হয়েছে। এটি বিকশিত এবং আধুনিক হয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে এই আলপনা শুধু ভারতবর্ষে নয়, এটি মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ায়ও দেখা গেছে। এমনকি এই ধরনটি ব্রোঞ্জ এবং তাম্র যুগে ফলকের মধ্যে যে চিত্র দেখা যায় তার সঙ্গেও মিল রয়েছে; অর্থাৎ আলপনাকে এককথায় শিল্পের আদি একটি ফর্ম হিসেবেই ধরা যায়।
ভারতবর্ষে বৈদিক যুগ থেকে আলপনার দেখা মেলে। সে সময় স্বস্তিকা চিহ্ন আঁকা হতো। এটি এখনো আঁকা হয়। পৌরাণিক যুগে এটি আরও একটু বিকশিত হয়েছে। এ সময় লক্ষ্মীর পা, ঘট—এসব আঁকা হতো। ধীরে ধীরে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পাতা, লতা, ফুল।
বাংলাদেশে আলপনার একটি বিশেষ ধরন রয়েছে। সেটি হলো, বাংলাদেশে যে আলপনা আঁকা হয়, তাতে সাদা রঙের প্রভাব বেশি থাকে। এখানে চালের গুঁড়া দিয়ে মাটির দেয়াল লেপে শুকিয়ে আলপনা আঁকা হয়।
আলপনা বিয়ের পিঁড়ি, ছোট ছোট সিঁড়ি, ঘরের কোনা বা মাঝখানে আঁকা হয়। এ ছাড়া আধুনিক কালে বিভিন্ন পাঞ্জাবি, টি-শার্টের বুকে-পিঠে, মেয়েদের শাড়ি বা ওড়নায় আলপনা ব্যবহৃত হয়। নবান্নেও আলপনা আঁকা হয়। আলপনায় মানুষ, মাছ, বাঘ, হাতি, ময়ূর, প্যাঁচা যেমন দেখা যায়, তেমনি ধানের ছড়া, জবা ফুল, দোলনচাঁপা ইত্যাদিও আঁকতে দেখা যায়।
আলপনা নানা ধরনের হতে পারে। কিছু আলপনা বিমূর্ত। আবার কিছু আলপনা বাস্তবধর্মী। অনেক আলপনা প্রতীকধর্মী আবার মিশ্রধর্মীও রয়েছে। আগে মুসলিম মেয়েরা বিয়ে বা উৎসবে আলপনা আঁকত। এটি এখনো চর্চিত। এ ছাড়া হাতে মেহেদি দিয়ে নানা আলপনা এঁকে থাকে মুসলিম মেয়েরা।
মজার বিষয় হলো, বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের টিকোইল নামে একটি গ্রাম রয়েছে, যাকে বলা হয় আলপনার গ্রাম। এই গ্রামের বাসিন্দারা আলপনা আঁকেন। হয় বিয়েবাড়িতে, নাহয় উৎসবে। ঝড়-বৃষ্টি বা রোদ, যেকোনো দিনেই ছোট থেকে বুড়ো সবাই আঁকেন আলপনা। আতপ চালের গুঁড়া দিয়ে সাদা রং আর খড়িমাটি দিয়ে লাল রং তৈরি করেন। আলপনার রং তৈরির জন্য ব্যবহার করেন শুকনো বরই, আমের আঁটির শাঁস, মানকচু ও কলাগাছ। এসব দিয়ে তৈরি রং ফিকে হয়ে গেলে আবার নতুন করে রং করেন।
আলপনা আধুনিক কালে নানাভাবে বিবর্তিত হয়েছে। ভারতে বিভিন্ন উৎসবে রাস্তায় আলপনা আঁকা হয়। পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক প্রচার কর্মসূচিতেও আলপনা ব্যবহৃত হয়। বিশ্বভারতীতে বর্তমানে এটি ফাউন্ডেশন কোর্স হিসেবে পড়ানো হয়। এ ছাড়া ভারতীয় আধুনিক শিল্পী নন্দলাল বসু অনেক আলপনা এঁকেছেন। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আলপনা নিয়ে বই রয়েছে। বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়, যিনি তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে, তিনিও আলপনা তাঁর বিজ্ঞাপনে, অঙ্কনে, বইয়ের কভারে ব্যবহার করেছেন। যামিনী রায়, দেবী প্রসাদের কাজও উল্লেখ করার মতো। বাংলাদেশে আলপনা আরও ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। এখানে তা ভাষা দিবস এবং পয়লা বৈশাখে আঁকা হচ্ছে। আলপনা প্রতীকীভাবে আঁকেন মূলত হিন্দু নারীরা নানা রকম ব্রত অনুষ্ঠানে। নানা অমঙ্গল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাঁরা দেব-দেবীর প্রতীক অঙ্কন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে থাকেন; বিশেষ করে লক্ষ্মীপূজায় আলপনা বেশি দেখা যায়। তবে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী সাঁওতালদের আলপনায় নানা জ্যামিতিক কাঠামো দেখা যায়।
প্রাচীনকাল থেকে নানাভাবে চর্চিত হয়েছে আলপনা। নানা উদ্দেশে বিকশিত হয়েছে। বাংলাদেশে আলপনা বিশেষ রূপে, বিশেষ উদ্দেশে চর্চিত হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের আলপনা আলাদা ও বিশেষ রূপে বিকশিত হয়ে শিল্পে আলাদা বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। ভাষা আন্দোলন, পয়লা বৈশাখ ও নবান্ন উৎসবে এর ভিন্ন রূপে প্রকাশ ও বিকাশ আলাদা মাত্রা দিয়েছে, যেটি অন্য কোথাও এমনকি ভারতেও হয়নি। এই আলপনা একান্তই আমাদের, অর্থাৎ বাংলাদেশের হয়ে উঠেছে। এটি আরও শিল্পীদের হাতে বিকশিত হয়ে বিশেষ মাত্রা পাবে। কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার অলঅয়েদার সড়কের মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার আলপনাই এর প্রমাণ।
লেখক: ড. বিভূতিভূষণ মিত্র, শিক্ষক ও গবেষক
খুব বেশি দিন আগে নয়, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম উদ্বোধন করেন ফ্লাইওভার পিলারের আলপনা কার্যক্রম। যার উদ্দেশ্য শহরের বিভিন্ন দেয়ালে যত্রতত্র পোস্টারের কারণে যে দৃশ্যদূষণ তৈরি হয় তা দূর করা এবং একই সঙ্গে এই সব আলপনার মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা। আলপনাগুলোতে ফুল, পাখি, নানা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গাছ লাগানো—এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে ফুটিয়ে তোলা হয়। এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো এবং অভিনব উদ্যোগ। আলপনার মতো একটি বিষয়কে যে উদ্দেশে ব্যবহার করা হলো তা সত্যিকার অর্থেই প্রশংসার দাবিদার।
তবে আলপনার এসব ব্যবহার কিন্তু আজকের নয়। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বঙ্গীয় শব্দকোষে আলপনা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘এটি একধরনের চিত্র, যা মঙ্গলজনক কাজে ঘরের দরজায়, আঙিনায়, দেয়ালে আঁকা হয়।’ আলপনা এখন আরও বিস্তৃত হয়েছে। এটি বিকশিত এবং আধুনিক হয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে এই আলপনা শুধু ভারতবর্ষে নয়, এটি মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ায়ও দেখা গেছে। এমনকি এই ধরনটি ব্রোঞ্জ এবং তাম্র যুগে ফলকের মধ্যে যে চিত্র দেখা যায় তার সঙ্গেও মিল রয়েছে; অর্থাৎ আলপনাকে এককথায় শিল্পের আদি একটি ফর্ম হিসেবেই ধরা যায়।
ভারতবর্ষে বৈদিক যুগ থেকে আলপনার দেখা মেলে। সে সময় স্বস্তিকা চিহ্ন আঁকা হতো। এটি এখনো আঁকা হয়। পৌরাণিক যুগে এটি আরও একটু বিকশিত হয়েছে। এ সময় লক্ষ্মীর পা, ঘট—এসব আঁকা হতো। ধীরে ধীরে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পাতা, লতা, ফুল।
বাংলাদেশে আলপনার একটি বিশেষ ধরন রয়েছে। সেটি হলো, বাংলাদেশে যে আলপনা আঁকা হয়, তাতে সাদা রঙের প্রভাব বেশি থাকে। এখানে চালের গুঁড়া দিয়ে মাটির দেয়াল লেপে শুকিয়ে আলপনা আঁকা হয়।
আলপনা বিয়ের পিঁড়ি, ছোট ছোট সিঁড়ি, ঘরের কোনা বা মাঝখানে আঁকা হয়। এ ছাড়া আধুনিক কালে বিভিন্ন পাঞ্জাবি, টি-শার্টের বুকে-পিঠে, মেয়েদের শাড়ি বা ওড়নায় আলপনা ব্যবহৃত হয়। নবান্নেও আলপনা আঁকা হয়। আলপনায় মানুষ, মাছ, বাঘ, হাতি, ময়ূর, প্যাঁচা যেমন দেখা যায়, তেমনি ধানের ছড়া, জবা ফুল, দোলনচাঁপা ইত্যাদিও আঁকতে দেখা যায়।
আলপনা নানা ধরনের হতে পারে। কিছু আলপনা বিমূর্ত। আবার কিছু আলপনা বাস্তবধর্মী। অনেক আলপনা প্রতীকধর্মী আবার মিশ্রধর্মীও রয়েছে। আগে মুসলিম মেয়েরা বিয়ে বা উৎসবে আলপনা আঁকত। এটি এখনো চর্চিত। এ ছাড়া হাতে মেহেদি দিয়ে নানা আলপনা এঁকে থাকে মুসলিম মেয়েরা।
মজার বিষয় হলো, বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের টিকোইল নামে একটি গ্রাম রয়েছে, যাকে বলা হয় আলপনার গ্রাম। এই গ্রামের বাসিন্দারা আলপনা আঁকেন। হয় বিয়েবাড়িতে, নাহয় উৎসবে। ঝড়-বৃষ্টি বা রোদ, যেকোনো দিনেই ছোট থেকে বুড়ো সবাই আঁকেন আলপনা। আতপ চালের গুঁড়া দিয়ে সাদা রং আর খড়িমাটি দিয়ে লাল রং তৈরি করেন। আলপনার রং তৈরির জন্য ব্যবহার করেন শুকনো বরই, আমের আঁটির শাঁস, মানকচু ও কলাগাছ। এসব দিয়ে তৈরি রং ফিকে হয়ে গেলে আবার নতুন করে রং করেন।
আলপনা আধুনিক কালে নানাভাবে বিবর্তিত হয়েছে। ভারতে বিভিন্ন উৎসবে রাস্তায় আলপনা আঁকা হয়। পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক প্রচার কর্মসূচিতেও আলপনা ব্যবহৃত হয়। বিশ্বভারতীতে বর্তমানে এটি ফাউন্ডেশন কোর্স হিসেবে পড়ানো হয়। এ ছাড়া ভারতীয় আধুনিক শিল্পী নন্দলাল বসু অনেক আলপনা এঁকেছেন। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আলপনা নিয়ে বই রয়েছে। বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়, যিনি তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে, তিনিও আলপনা তাঁর বিজ্ঞাপনে, অঙ্কনে, বইয়ের কভারে ব্যবহার করেছেন। যামিনী রায়, দেবী প্রসাদের কাজও উল্লেখ করার মতো। বাংলাদেশে আলপনা আরও ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। এখানে তা ভাষা দিবস এবং পয়লা বৈশাখে আঁকা হচ্ছে। আলপনা প্রতীকীভাবে আঁকেন মূলত হিন্দু নারীরা নানা রকম ব্রত অনুষ্ঠানে। নানা অমঙ্গল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাঁরা দেব-দেবীর প্রতীক অঙ্কন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে থাকেন; বিশেষ করে লক্ষ্মীপূজায় আলপনা বেশি দেখা যায়। তবে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী সাঁওতালদের আলপনায় নানা জ্যামিতিক কাঠামো দেখা যায়।
প্রাচীনকাল থেকে নানাভাবে চর্চিত হয়েছে আলপনা। নানা উদ্দেশে বিকশিত হয়েছে। বাংলাদেশে আলপনা বিশেষ রূপে, বিশেষ উদ্দেশে চর্চিত হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের আলপনা আলাদা ও বিশেষ রূপে বিকশিত হয়ে শিল্পে আলাদা বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। ভাষা আন্দোলন, পয়লা বৈশাখ ও নবান্ন উৎসবে এর ভিন্ন রূপে প্রকাশ ও বিকাশ আলাদা মাত্রা দিয়েছে, যেটি অন্য কোথাও এমনকি ভারতেও হয়নি। এই আলপনা একান্তই আমাদের, অর্থাৎ বাংলাদেশের হয়ে উঠেছে। এটি আরও শিল্পীদের হাতে বিকশিত হয়ে বিশেষ মাত্রা পাবে। কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার অলঅয়েদার সড়কের মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার আলপনাই এর প্রমাণ।
লেখক: ড. বিভূতিভূষণ মিত্র, শিক্ষক ও গবেষক
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে