জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বহুমুখী প্রভাবে দেশে বেড়েছে নদীভাঙন। পাশাপাশি ভূমিধস, নদীর নাব্যতা হ্রাস, পলি জমে চর জাগা, লবণাক্ততা বৃদ্ধিসহ নানাবিধ নেতিবাচক চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে দেশে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার হুমকিতে রয়েছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন স্বপ্ন। কারণ, গত কয়েক বছরে সেখানে একের পর এক চর জেগে উঠছে।
ইতিমধ্যে বিশাল জলরাশির বুক চিরে সন্দ্বীপ উপজেলায় ৫টির বেশি চর জেগেছে। এতে করে দ্বীপ উপজেলার আয়তনে নতুন করে যোগ হয়েছে প্রায় ২ হাজার হেক্টর ভূমি। এসব জমি জেগে ওঠার পরই ঘাসে ভরে গেছে। সেখানে চরছে গরু-মহিষ, ভেড়াসহ গবাদিপশু। এতে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে মানুষ। এতে ভাঙনকবলিত দ্বীপটির বাসিন্দাদের মনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।
সন্দ্বীপ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পশ্চিমের চর, কালাপানিয়া চর, সারিকাত ইউনিয়নের দিকে একটি, বাউরিয়া ইউনিয়নের দিকে একটি ও দীর্ঘা পাড় ইউনিয়নে আরেকটি চর জেগেছে। ২ হাজার হেক্টর ভূমি উপজেলায় নতুন করে যোগ হয়েছে।
এই কৃষি কর্মকর্তা বলেন, নতুনভাবে গড়ে ওঠা চারণভূমি লবণাক্ত। ফলে সেখানে কীভাবে ফসল ফলানো যায়, সে জন্য মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। এমনকি ব্রি ধান-৮৯ নতুন জমিতে ভালো ফলন দিয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, উপজেলায় ইতিমধ্যে ৪০টি ভেড়ার খামার গড়ে উঠেছে। এসব খামারে কারও ৫০ আর কারও ১০০ ভেড়া রয়েছে। একইভাবে গরু, মহিষেরও খামার নতুনভাবে গড়ে উঠছে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগেও গবাদিপশু পালন বাড়ছে। কারণ নতুন চারণভূমিতে মিলছে পশু খাবার।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভাঙনের কবলে কিংবা হুমকির মুখে যাঁরা অন্যত্র চলে গেছেন তাঁরাও আবার ফিরে আসছেন।
ভেড়ার খামার করে সফল হয়েছেন সন্দ্বীপ পৌরসভার মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, যদিও আগে থেকে সন্দ্বীপে ভেড়ার খামার ছিল। তবে চারণভূমি বাড়ায় নতুন করে অনেকে এ পেশায় আসছেন। এ পেশায় লাভবানও হচ্ছেন।
সারিকাতের বাসিন্দা লোকমান হোসেন বলেন, ‘১৯৮০ সালের দিকে আমাদের মহিষের খামার ছিল। মাঝে ভাঙনের কবলে পড়ে এ পেশা থেকে সরে আসি। দুই বছর আগে একটা মহিষ কিনি। এখন চারটি মহিষ আমার।’
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. মো. আলী আজম বলেন, ‘কর্মিসংকট থাকলেও খামারিদের পশু পালনে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।’
নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশের (এনসিসিবি) ম্যানেজার (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি) ড. মুহাম্মদ ফররুখ রহমান বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব হালনাগাদ করা প্রয়োজন। বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোকে নতুন চরে জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বহুমুখী প্রভাবে দেশে বেড়েছে নদীভাঙন। পাশাপাশি ভূমিধস, নদীর নাব্যতা হ্রাস, পলি জমে চর জাগা, লবণাক্ততা বৃদ্ধিসহ নানাবিধ নেতিবাচক চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে দেশে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার হুমকিতে রয়েছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন স্বপ্ন। কারণ, গত কয়েক বছরে সেখানে একের পর এক চর জেগে উঠছে।
ইতিমধ্যে বিশাল জলরাশির বুক চিরে সন্দ্বীপ উপজেলায় ৫টির বেশি চর জেগেছে। এতে করে দ্বীপ উপজেলার আয়তনে নতুন করে যোগ হয়েছে প্রায় ২ হাজার হেক্টর ভূমি। এসব জমি জেগে ওঠার পরই ঘাসে ভরে গেছে। সেখানে চরছে গরু-মহিষ, ভেড়াসহ গবাদিপশু। এতে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে মানুষ। এতে ভাঙনকবলিত দ্বীপটির বাসিন্দাদের মনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।
সন্দ্বীপ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পশ্চিমের চর, কালাপানিয়া চর, সারিকাত ইউনিয়নের দিকে একটি, বাউরিয়া ইউনিয়নের দিকে একটি ও দীর্ঘা পাড় ইউনিয়নে আরেকটি চর জেগেছে। ২ হাজার হেক্টর ভূমি উপজেলায় নতুন করে যোগ হয়েছে।
এই কৃষি কর্মকর্তা বলেন, নতুনভাবে গড়ে ওঠা চারণভূমি লবণাক্ত। ফলে সেখানে কীভাবে ফসল ফলানো যায়, সে জন্য মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। এমনকি ব্রি ধান-৮৯ নতুন জমিতে ভালো ফলন দিয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, উপজেলায় ইতিমধ্যে ৪০টি ভেড়ার খামার গড়ে উঠেছে। এসব খামারে কারও ৫০ আর কারও ১০০ ভেড়া রয়েছে। একইভাবে গরু, মহিষেরও খামার নতুনভাবে গড়ে উঠছে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগেও গবাদিপশু পালন বাড়ছে। কারণ নতুন চারণভূমিতে মিলছে পশু খাবার।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভাঙনের কবলে কিংবা হুমকির মুখে যাঁরা অন্যত্র চলে গেছেন তাঁরাও আবার ফিরে আসছেন।
ভেড়ার খামার করে সফল হয়েছেন সন্দ্বীপ পৌরসভার মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, যদিও আগে থেকে সন্দ্বীপে ভেড়ার খামার ছিল। তবে চারণভূমি বাড়ায় নতুন করে অনেকে এ পেশায় আসছেন। এ পেশায় লাভবানও হচ্ছেন।
সারিকাতের বাসিন্দা লোকমান হোসেন বলেন, ‘১৯৮০ সালের দিকে আমাদের মহিষের খামার ছিল। মাঝে ভাঙনের কবলে পড়ে এ পেশা থেকে সরে আসি। দুই বছর আগে একটা মহিষ কিনি। এখন চারটি মহিষ আমার।’
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. মো. আলী আজম বলেন, ‘কর্মিসংকট থাকলেও খামারিদের পশু পালনে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।’
নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশের (এনসিসিবি) ম্যানেজার (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি) ড. মুহাম্মদ ফররুখ রহমান বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব হালনাগাদ করা প্রয়োজন। বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোকে নতুন চরে জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে