দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ, কুমিল্লা
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (কুসিক) মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চায় দলটির দুই পক্ষ। এদের মধ্যে কুমিল্লা-৬ সদর আসনের সাংসদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদিন বাহার ও তাঁর অনুসারীরা ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডে প্রস্তাব পাঠাতে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন। অপর পক্ষে প্রয়াত নেতা অধ্যক্ষ আফজল খানের ছেলে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান নৌকার মনোনয়ন পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছেন। এ ছাড়া পৃথকভাবে আওয়ামী লীগের আরও বেশ কয়েকজন নেতা মেয়র পদে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী। মনোনয়নপত্র জমাদানের দিন যতই এগোচ্ছে নগরে এ নিয়ে আলোচনা বাড়ছে।
বাহার চান রিফাতকে: কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ তাদের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতকে মেয়র পদে নৌকার মাঝি হিসেবে চায়। এ জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডে তাঁর নাম প্রস্তাবের বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে তারা। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদিন বাহারের অনুসারী।
জানা গেছে, মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ বর্ধিত সভায় কেন্দ্রে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে কার নাম পাঠানো হবে, সে সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। এতে একমাত্র আরফানুল হক রিফাতের নাম প্রস্তাব করা হয়। পরে সর্বসম্মতিক্রমে তাই চূড়ান্ত করা হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর আসনের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার সভায় সভাপতিত্ব করেন।
নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে আরফানুল হক রিফাত বলেন, ‘আমি কুমিল্লা মহানগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিল করেছি। আমার প্রতি প্রতিটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সমর্থন আছে। দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা যদি আমাকে নৌকা প্রতীক দেন, আমি নির্বাচন করতে প্রস্তুত।’
আফজল খান পরিবার মাঠে: নগরীতে আওয়ামী লীগের আরেকটি পক্ষ অধ্যক্ষ আফজল খান পরিবার। এই পরিবার থেকে গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বর্তমান সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ আঞ্জুম সুলতানা সীমা নির্বাচন করেছিলেন। বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর কাছে পরাজিত হন তিনি। বর্তমানে এই পরিবার থেকে সিটি নির্বাচনে মাঠে রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য ও কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাসুদ পারভেজ খান ইমরান। তিনি এর আগে সদর আসন থেকে সাংসদ পদে নির্বাচন করেছিলেন। এদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের বিষয়ে সংরক্ষিত আসনের সাংসদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আঞ্জুম সুলতানা সীমার নামও কেউ কেউ আলোচনায় তুলে আনছেন।
জানতে চাইলে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান বলেন, ‘সুখে-দুঃখে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সব সময় ছিলাম, আছি। আমি দীর্ঘ সময় কুমিল্লা সিটিতে কাজ করছি। গতবার এ সিটি নির্বাচনে আমার নির্বাচন করার কথা ছিল। পরে আমার বোন আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়। তখন ষড়যন্ত্র করে আমার বোনকে পরাজিত করা হয়।’
নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান আরও বলেন, ‘২০১২ ও ২০১৭ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতার বিস্তারিত পর্যালোচনা করে এবার নিজেকে তৈরি করেছি। আমি আশা করি, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সুযোগ দেবেন। প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিলে, ইনশাআল্লাহ নৌকা নিয়ে আমি বিজয়ী হব।’
মাঠে আরও নেতা: নগরে আওয়ামী লীগের সক্রিয় প্রভাবশালী দুই পক্ষের বাইরেও অনেকেই দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। তাঁরা নিজেদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে প্রচার করছেন। শীর্ষ নেতাদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা কবিরুল ইসলাম শিকদার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য আনিসুর রহমান মিঠুর নাম আলোচনায় রয়েছে। এ ছাড়া তাঁরা সবাই দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যেকেই বলেছেন, তাঁরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। মনোনয়ন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরোদমে মাঠে নামার সক্ষমতা রয়েছে তাঁদের।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (কুসিক) মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চায় দলটির দুই পক্ষ। এদের মধ্যে কুমিল্লা-৬ সদর আসনের সাংসদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদিন বাহার ও তাঁর অনুসারীরা ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডে প্রস্তাব পাঠাতে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন। অপর পক্ষে প্রয়াত নেতা অধ্যক্ষ আফজল খানের ছেলে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান নৌকার মনোনয়ন পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছেন। এ ছাড়া পৃথকভাবে আওয়ামী লীগের আরও বেশ কয়েকজন নেতা মেয়র পদে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী। মনোনয়নপত্র জমাদানের দিন যতই এগোচ্ছে নগরে এ নিয়ে আলোচনা বাড়ছে।
বাহার চান রিফাতকে: কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ তাদের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতকে মেয়র পদে নৌকার মাঝি হিসেবে চায়। এ জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডে তাঁর নাম প্রস্তাবের বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে তারা। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদিন বাহারের অনুসারী।
জানা গেছে, মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ বর্ধিত সভায় কেন্দ্রে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে কার নাম পাঠানো হবে, সে সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। এতে একমাত্র আরফানুল হক রিফাতের নাম প্রস্তাব করা হয়। পরে সর্বসম্মতিক্রমে তাই চূড়ান্ত করা হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর আসনের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার সভায় সভাপতিত্ব করেন।
নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে আরফানুল হক রিফাত বলেন, ‘আমি কুমিল্লা মহানগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিল করেছি। আমার প্রতি প্রতিটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সমর্থন আছে। দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা যদি আমাকে নৌকা প্রতীক দেন, আমি নির্বাচন করতে প্রস্তুত।’
আফজল খান পরিবার মাঠে: নগরীতে আওয়ামী লীগের আরেকটি পক্ষ অধ্যক্ষ আফজল খান পরিবার। এই পরিবার থেকে গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বর্তমান সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ আঞ্জুম সুলতানা সীমা নির্বাচন করেছিলেন। বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর কাছে পরাজিত হন তিনি। বর্তমানে এই পরিবার থেকে সিটি নির্বাচনে মাঠে রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য ও কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাসুদ পারভেজ খান ইমরান। তিনি এর আগে সদর আসন থেকে সাংসদ পদে নির্বাচন করেছিলেন। এদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের বিষয়ে সংরক্ষিত আসনের সাংসদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আঞ্জুম সুলতানা সীমার নামও কেউ কেউ আলোচনায় তুলে আনছেন।
জানতে চাইলে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান বলেন, ‘সুখে-দুঃখে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সব সময় ছিলাম, আছি। আমি দীর্ঘ সময় কুমিল্লা সিটিতে কাজ করছি। গতবার এ সিটি নির্বাচনে আমার নির্বাচন করার কথা ছিল। পরে আমার বোন আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়। তখন ষড়যন্ত্র করে আমার বোনকে পরাজিত করা হয়।’
নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান আরও বলেন, ‘২০১২ ও ২০১৭ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতার বিস্তারিত পর্যালোচনা করে এবার নিজেকে তৈরি করেছি। আমি আশা করি, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সুযোগ দেবেন। প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিলে, ইনশাআল্লাহ নৌকা নিয়ে আমি বিজয়ী হব।’
মাঠে আরও নেতা: নগরে আওয়ামী লীগের সক্রিয় প্রভাবশালী দুই পক্ষের বাইরেও অনেকেই দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। তাঁরা নিজেদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে প্রচার করছেন। শীর্ষ নেতাদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা কবিরুল ইসলাম শিকদার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য আনিসুর রহমান মিঠুর নাম আলোচনায় রয়েছে। এ ছাড়া তাঁরা সবাই দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যেকেই বলেছেন, তাঁরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। মনোনয়ন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরোদমে মাঠে নামার সক্ষমতা রয়েছে তাঁদের।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে