শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে নুয়ে পড়া ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। কৃষি শ্রমিকের সংকটে ধান কাটতে পারছেন না। এতে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার একর জমির পাকা ধান।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানান, ঈদের দুদিন আগে ঝোড়ো বাতাসে জমির ধান নুয়ে পড়ে। এরপর কয়েক দিনের মুষলধারে বৃষ্টিতে পানি জমে নুয়ে পড়া ধান তলিয়ে যায়। পর্যাপ্ত শ্রমিকের অভাবে সময়মতো ধান কাটতে পারেননি চাষিরা। যতটুকু কাটা গেছে বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ মণের বেশি ধান পাওয়া যায়নি। দিন হাজিরা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়ও মিলছে না শ্রমিক। বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত মজুরি দিয়ে শ্রমিক নিতে হচ্ছে। ধান কাটা, পরিবহন ও মাড়াইয়ে অতিরিক্ত খরচের কারণে লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, শেরপুরে এবার ২০ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়েছে।
ভবানীপুর ইউনিয়নের আম্বইল গ্রামের কৃষক মনসুর রহমান জানান, চাষ করা ২২ বিঘার মধ্যে ১৬ বিঘা জমির ধান এখনো কাটতে পারেননি। ইউনিয়নের কমপক্ষে ৭০ ভাগ জমির ধান পানির নিচে।
দিন হাজিরা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা ও বিঘাপ্রতি চুক্তি ৮-১২ হাজার টাকাতেও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক।
মির্জাপুর ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম বলেন, ধান কাটতে বিঘা প্রতি ১২ হাজার টাকা দিতে হয়। শ্রমিকদের তিন বেলা খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা করতে হয়। এরপরও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। চোখের সামনেই পচে নষ্ট হচ্ছে কষ্টের ধান।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিঘা প্রতি গড়ে ১৫ মণের বেশি ধান পাওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে বিঘায় খরচ হয়েছে ১৮ হাজারের বেশি টাকা। বর্তমান বাজারে এক বিঘা জমির ধান বিক্রি করে ১২ হাজার ৭৫০ টাকার বেশি পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে বিঘায় কৃষকের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টাকা।
এদিকে, অধিকাংশ জমির ধান পানির নিচে থাকায় এবার খড়ও সংগ্রহ করতে পারছেন না কৃষকেরা। এতে ভবিষ্যতে গোখাদ্যের সংকট ও উচ্চ মূল্যের আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
কুসুম্বী ইউনিয়নের দারুগ্রামের কৃষক মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘প্রায় ১০ বিঘা জমির ধান কাটতে পারি নাই। প্রতিবছর নিজের জমির খড় দিয়েই গরুর খামারের চাহিদা পূরণ হয়। কিন্তু এবার খড় সংগ্রহ করা যায়নি। পরবর্তীতে উচ্চদামে কিনতে হবে।’
শাহবন্দেগী ইউনিয়নের সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকার অধিকাংশ কৃষক ঋণ করে, সার-কীটনাশক বাকিতে কিনে ধান চাষ করেছেন। ফসল হারিয়ে এখন তাঁরা নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় সরকারি সহায়তা না পেলে অনেকের জমি বিক্রি করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।’
শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জান্নাতুল ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এবার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ধানের ফলন কম হবে। এই মুহূর্তে সহায়তার কোনো বরাদ্দ নেই। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
বগুড়ার শেরপুরে নুয়ে পড়া ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। কৃষি শ্রমিকের সংকটে ধান কাটতে পারছেন না। এতে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার একর জমির পাকা ধান।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানান, ঈদের দুদিন আগে ঝোড়ো বাতাসে জমির ধান নুয়ে পড়ে। এরপর কয়েক দিনের মুষলধারে বৃষ্টিতে পানি জমে নুয়ে পড়া ধান তলিয়ে যায়। পর্যাপ্ত শ্রমিকের অভাবে সময়মতো ধান কাটতে পারেননি চাষিরা। যতটুকু কাটা গেছে বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ মণের বেশি ধান পাওয়া যায়নি। দিন হাজিরা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়ও মিলছে না শ্রমিক। বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত মজুরি দিয়ে শ্রমিক নিতে হচ্ছে। ধান কাটা, পরিবহন ও মাড়াইয়ে অতিরিক্ত খরচের কারণে লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, শেরপুরে এবার ২০ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়েছে।
ভবানীপুর ইউনিয়নের আম্বইল গ্রামের কৃষক মনসুর রহমান জানান, চাষ করা ২২ বিঘার মধ্যে ১৬ বিঘা জমির ধান এখনো কাটতে পারেননি। ইউনিয়নের কমপক্ষে ৭০ ভাগ জমির ধান পানির নিচে।
দিন হাজিরা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা ও বিঘাপ্রতি চুক্তি ৮-১২ হাজার টাকাতেও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক।
মির্জাপুর ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম বলেন, ধান কাটতে বিঘা প্রতি ১২ হাজার টাকা দিতে হয়। শ্রমিকদের তিন বেলা খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা করতে হয়। এরপরও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। চোখের সামনেই পচে নষ্ট হচ্ছে কষ্টের ধান।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিঘা প্রতি গড়ে ১৫ মণের বেশি ধান পাওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে বিঘায় খরচ হয়েছে ১৮ হাজারের বেশি টাকা। বর্তমান বাজারে এক বিঘা জমির ধান বিক্রি করে ১২ হাজার ৭৫০ টাকার বেশি পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে বিঘায় কৃষকের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টাকা।
এদিকে, অধিকাংশ জমির ধান পানির নিচে থাকায় এবার খড়ও সংগ্রহ করতে পারছেন না কৃষকেরা। এতে ভবিষ্যতে গোখাদ্যের সংকট ও উচ্চ মূল্যের আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
কুসুম্বী ইউনিয়নের দারুগ্রামের কৃষক মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘প্রায় ১০ বিঘা জমির ধান কাটতে পারি নাই। প্রতিবছর নিজের জমির খড় দিয়েই গরুর খামারের চাহিদা পূরণ হয়। কিন্তু এবার খড় সংগ্রহ করা যায়নি। পরবর্তীতে উচ্চদামে কিনতে হবে।’
শাহবন্দেগী ইউনিয়নের সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকার অধিকাংশ কৃষক ঋণ করে, সার-কীটনাশক বাকিতে কিনে ধান চাষ করেছেন। ফসল হারিয়ে এখন তাঁরা নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় সরকারি সহায়তা না পেলে অনেকের জমি বিক্রি করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।’
শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জান্নাতুল ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এবার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ধানের ফলন কম হবে। এই মুহূর্তে সহায়তার কোনো বরাদ্দ নেই। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে