ক্রীড়া ডেস্ক
বিশ্বকাপ ফুটবলের উদ্বোধনীর দিন ঘনিয়ে আসছে এখন প্রায় ঘণ্টার হিসাবে। অথচ সমালোচনা থামেনি কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে। একদিকে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান, অন্যদিকে জোরদার হচ্ছে বিশ্বকাপ বর্জনের।
প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে আয়োজন হচ্ছে গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ। বর্ণিল রঙে সেজেছে মরুর বুকের দেশ। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করেছে ফুটবলভক্তরা।
সমালোচনা আগে থেকেই ছিল। কিন্তু রঙিন পৃথিবীর এক টুকরো হয়ে উঠতে কাতার যখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত, তখন শুরু হয়েছে সমালোচনার শেষ পর্ব।
বিশ্বের অনেক বিখ্যাত অর্থনীতিবিদরা কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে এখনো সোচ্চার। কেউ কেউ এবারের কাতারের আয়োজনকে লজ্জার টুর্নামেন্ট বলেও আখ্যায়িত করেছেন।
মানবাধিকার লঙ্ঘন, পরিবেশদূষণ ও শ্রমশোষণের ঘটনা যতই প্রকাশ পাচ্ছে আয়োজকদের লক্ষ্য করে সমালোচনার তির ততই বাড়ছে। ২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী জার্মান অধিনায়ক ফিলিপ লাম তুমুল সমালোচনা করছেন এই ‘শীতকালীন’ বিশ্বকাপের। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কলাম লিখে কাতার বিশ্বকাপকে ভুল বলে উল্লেখ করেছেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘এটি এখানে মানায় না’। ২০২৪ ইউরোর টুর্নামেন্ট পরিচালক ফিলিপ লাম এই আয়োজনকে ফুটবলের ক্ষতি হিসেবে মন্তব্য করে বলেন, ‘সমকামিতা সেখানে অপরাধ, নারীরা সেখানে পুরুষদের মতো ফুটবল খেলতে পারে না এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও সেখানে নাই। এমনকি ফুটবলও সেখানে জনপ্রিয় খেলা নয়।’
ফ্রান্সের একাধিক শহরের পাশাপাশি জার্মানির বেশ কিছু শহর ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপ বর্জনের ঘোষণাও দিয়েছে। প্রতিবারের মতো শহরের বিভিন্ন স্থানে বড় স্ক্রিনে খেলা দেখানোর ‘ফ্যান জোন’ করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে শহরগুলোর স্থানীয় প্রশাসন। নিজেদের দেশ বিশ্বকাপে খেললেও প্রতিবাদে মুখর জার্মানির ফুটবল পানশালাগুলো। প্রতিবাদে টিভি সম্প্রচার বন্ধ রাখবে বলে জানিয়েছে। এই বর্জনকে কাতারের অভিবাসী শ্রমিক ও এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তারা।
জার্মানির বার্লিনের ফুটবল বার ফারগোর মুখপাত্র জসচিক পেচ বলেন, ‘আমরা কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের পক্ষে নই। খেলা আয়োজনের মাধ্যমে তারা এমনভাবে নিজেদের তুলে ধরছে, যেটা তারা আসলে নয়। যেখানে যৌনজীবন মুক্ত নয়, সেখানকার খেলা দেখে আমরা উপভোগ করতে পারি না।’
ফ্রান্সে নিজের শহর মার্শেইয়ে বিশ্বকাপ বর্জনের কথা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মেয়র বেনয়ট পায়ান। বিবৃতিতে বেনয়ট জানান, ‘কাতারের এই টুর্নামেন্টটা মানবিক ও পরিবেশগত বিপর্যয়ে মোড় নিচ্ছে। খেলা, বিশেষ করে ফুটবলের মাধ্যম যে মূল্যবোধ ছড়িয়ে পড়ার আশা আমরা করি, কাতার সেটির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।’
মার্শেইয়ের মতো প্যারিস, লিল, বোর্দোও জানিয়েছে ফ্যান জোন করবে না তারা।
গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ হলেও বিশ্বকাপ বর্জনের অধিকার ভক্তদের রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নেদারল্যান্ডস কোচ লুই ফন গাল। এক সাক্ষাৎকারে ডাচ কোচ বলেন, ‘আমার মনে হয়, এই অধিকার তাঁদের (ভক্তদের) আছে, কারণ তাঁরা ফুটবলে বিশ্বাস করে। সুতরাং এতে কোনো সমস্যা নেই।’ তবে কাতারকে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে দেওয়ায় ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে তিনি আগেও সমালোচনা করেছেন এই ডাচ কোচ। আরও বেশি ফুটবল সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন দেশে বিশ্বকাপ আয়োজন করা উচিত বলে মন্তব্যও করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘আমাদের এমন দেশে ফুটবল খেলা উচিত যেখানে তারা আরও বেশি অভিজ্ঞ।’
অবশ্য টুর্নামেন্ট খেলতে আসা খেলোয়াড়রা রাজনৈতিক দিকে মনোযোগ দিতে আগ্রহী নয়। বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের অধিনায়ক হুগো লরিস জানালেন রাজনৈতিক কার্যক্রমে আগ্রহী নন তিনি। বলেছেন, ‘আমি আগেই স্পষ্ট করে বলেছি, অতিরিক্ত কোনো কিছুতে আমি নেই।’ স্বাগতিক দেশ কাতারকে সম্মান জানাতে আহ্বান জানিয়ে লরিস বলেন, ‘ফ্রান্সে যখন কোনো বিদেশি পর্যটক যায় তখন আমরা আমাদের সংস্কৃতি অনুযায়ীই সম্মান-অভ্যর্থনা জানাই। কাতারের কাছ থেকেও আমি এটাই প্রত্যাশা করি।’ এ সময় সম্পূর্ণ মনোযোগ ফুটবলে দিতেই আহ্বান জানান লরিস, ‘এমন একটি প্রতিযোগিতা চলাকালে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে মনোযোগ না দিয়ে ফুটবলে মনোযোগ রাখাই আমাদের দায়িত্ব।’
বিশ্বকাপ ফুটবল সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
বিশ্বকাপ ফুটবলের উদ্বোধনীর দিন ঘনিয়ে আসছে এখন প্রায় ঘণ্টার হিসাবে। অথচ সমালোচনা থামেনি কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে। একদিকে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান, অন্যদিকে জোরদার হচ্ছে বিশ্বকাপ বর্জনের।
প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে আয়োজন হচ্ছে গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ। বর্ণিল রঙে সেজেছে মরুর বুকের দেশ। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করেছে ফুটবলভক্তরা।
সমালোচনা আগে থেকেই ছিল। কিন্তু রঙিন পৃথিবীর এক টুকরো হয়ে উঠতে কাতার যখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত, তখন শুরু হয়েছে সমালোচনার শেষ পর্ব।
বিশ্বের অনেক বিখ্যাত অর্থনীতিবিদরা কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে এখনো সোচ্চার। কেউ কেউ এবারের কাতারের আয়োজনকে লজ্জার টুর্নামেন্ট বলেও আখ্যায়িত করেছেন।
মানবাধিকার লঙ্ঘন, পরিবেশদূষণ ও শ্রমশোষণের ঘটনা যতই প্রকাশ পাচ্ছে আয়োজকদের লক্ষ্য করে সমালোচনার তির ততই বাড়ছে। ২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী জার্মান অধিনায়ক ফিলিপ লাম তুমুল সমালোচনা করছেন এই ‘শীতকালীন’ বিশ্বকাপের। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কলাম লিখে কাতার বিশ্বকাপকে ভুল বলে উল্লেখ করেছেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘এটি এখানে মানায় না’। ২০২৪ ইউরোর টুর্নামেন্ট পরিচালক ফিলিপ লাম এই আয়োজনকে ফুটবলের ক্ষতি হিসেবে মন্তব্য করে বলেন, ‘সমকামিতা সেখানে অপরাধ, নারীরা সেখানে পুরুষদের মতো ফুটবল খেলতে পারে না এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও সেখানে নাই। এমনকি ফুটবলও সেখানে জনপ্রিয় খেলা নয়।’
ফ্রান্সের একাধিক শহরের পাশাপাশি জার্মানির বেশ কিছু শহর ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপ বর্জনের ঘোষণাও দিয়েছে। প্রতিবারের মতো শহরের বিভিন্ন স্থানে বড় স্ক্রিনে খেলা দেখানোর ‘ফ্যান জোন’ করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে শহরগুলোর স্থানীয় প্রশাসন। নিজেদের দেশ বিশ্বকাপে খেললেও প্রতিবাদে মুখর জার্মানির ফুটবল পানশালাগুলো। প্রতিবাদে টিভি সম্প্রচার বন্ধ রাখবে বলে জানিয়েছে। এই বর্জনকে কাতারের অভিবাসী শ্রমিক ও এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তারা।
জার্মানির বার্লিনের ফুটবল বার ফারগোর মুখপাত্র জসচিক পেচ বলেন, ‘আমরা কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের পক্ষে নই। খেলা আয়োজনের মাধ্যমে তারা এমনভাবে নিজেদের তুলে ধরছে, যেটা তারা আসলে নয়। যেখানে যৌনজীবন মুক্ত নয়, সেখানকার খেলা দেখে আমরা উপভোগ করতে পারি না।’
ফ্রান্সে নিজের শহর মার্শেইয়ে বিশ্বকাপ বর্জনের কথা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মেয়র বেনয়ট পায়ান। বিবৃতিতে বেনয়ট জানান, ‘কাতারের এই টুর্নামেন্টটা মানবিক ও পরিবেশগত বিপর্যয়ে মোড় নিচ্ছে। খেলা, বিশেষ করে ফুটবলের মাধ্যম যে মূল্যবোধ ছড়িয়ে পড়ার আশা আমরা করি, কাতার সেটির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।’
মার্শেইয়ের মতো প্যারিস, লিল, বোর্দোও জানিয়েছে ফ্যান জোন করবে না তারা।
গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ হলেও বিশ্বকাপ বর্জনের অধিকার ভক্তদের রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নেদারল্যান্ডস কোচ লুই ফন গাল। এক সাক্ষাৎকারে ডাচ কোচ বলেন, ‘আমার মনে হয়, এই অধিকার তাঁদের (ভক্তদের) আছে, কারণ তাঁরা ফুটবলে বিশ্বাস করে। সুতরাং এতে কোনো সমস্যা নেই।’ তবে কাতারকে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে দেওয়ায় ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে তিনি আগেও সমালোচনা করেছেন এই ডাচ কোচ। আরও বেশি ফুটবল সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন দেশে বিশ্বকাপ আয়োজন করা উচিত বলে মন্তব্যও করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘আমাদের এমন দেশে ফুটবল খেলা উচিত যেখানে তারা আরও বেশি অভিজ্ঞ।’
অবশ্য টুর্নামেন্ট খেলতে আসা খেলোয়াড়রা রাজনৈতিক দিকে মনোযোগ দিতে আগ্রহী নয়। বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের অধিনায়ক হুগো লরিস জানালেন রাজনৈতিক কার্যক্রমে আগ্রহী নন তিনি। বলেছেন, ‘আমি আগেই স্পষ্ট করে বলেছি, অতিরিক্ত কোনো কিছুতে আমি নেই।’ স্বাগতিক দেশ কাতারকে সম্মান জানাতে আহ্বান জানিয়ে লরিস বলেন, ‘ফ্রান্সে যখন কোনো বিদেশি পর্যটক যায় তখন আমরা আমাদের সংস্কৃতি অনুযায়ীই সম্মান-অভ্যর্থনা জানাই। কাতারের কাছ থেকেও আমি এটাই প্রত্যাশা করি।’ এ সময় সম্পূর্ণ মনোযোগ ফুটবলে দিতেই আহ্বান জানান লরিস, ‘এমন একটি প্রতিযোগিতা চলাকালে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে মনোযোগ না দিয়ে ফুটবলে মনোযোগ রাখাই আমাদের দায়িত্ব।’
বিশ্বকাপ ফুটবল সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১১ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৪ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে