চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে। করোনা ও বিদ্যালয়ে খাবার কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এমনটি হচ্ছে বলে মনে করেন শিক্ষক ও অবিভাবকেরা।
কুড়িগ্রাম জেলায় ১ হাজার ২৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে সাড়ে ৪ শতাধিক বিদ্যালয় চরাঞ্চলে অবস্থিত। জেলার ৯ উপজেলার সব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর হার বাড়াতে এবং পুষ্টির ঘাটতি পূরণে ২০০২ সাল থেকে চালু করা হয় বিদ্যালয়ে খাবার কর্মসূচি। এর আওতায় মধাহ্ন বিরতির সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ৭৫ গ্রাম ওজনের পুষ্টিমান সম্পন্ন এক প্যাকেট করে বিস্কুট দেওয়া হতো। কিন্তু সম্প্রতি খাবার কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় জেলায় প্রাথমিকে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমেছে ২০ থেকে ২৫ ভাগ পর্যন্ত। এ অবস্থায় দ্রুত এ কার্যক্রম চালু করা হলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বাড়ার পাশাপাশি ঝরে পড়াও কমে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের খেয়ার আলগার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম বলে, ‘আগে আমাদেরকে টিফিনের সময় বিস্কুট দেওয়া হত। এখন দেওয়া হয় না। তাই দুপুরের পর খিদে লেগে যাওয়ায় আমরা ক্লাস করতে ভালো লাগে না।’
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের চঞ্চলতা ও ক্লাসে মনোযোগ বাড়াতে খাবার কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুপুরের পর শিক্ষার্থীরা আর ক্লাসে মনোযোগী হতে পারছে না।
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের চর উদনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাবলু মিয়া বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৬২ জন। এর মধ্যে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকছে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ শিক্ষার্থী।’ প্রায় ৪ মাস ধরে খাবার কার্যক্রম বন্ধ থাকার প্রভাব শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির জন্য কিছুটা দায়ি। বিদ্যালয়ে খাবার কার্যক্রম আবারও চালু হলে উপস্থিতি বেড়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কানিজা আক্তার জানান, করোনা পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হয়। বিদ্যালয় খোলার প্রথম দিকে শিক্ষার্থীর হার একটু বেশি থাকলেও বিস্কুট না দেওয়ায় দিনে দিনে কমে যাচ্ছে সংখ্যা। খাবার কার্যক্রম চালু হলে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বাড়বে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, দেশের দরিদ্রতম জেলা হিসেবে কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০০২ সাল থেকে খাবার কার্যক্রম চালু করা হয়। কার্যক্রম চালুর জন্য বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মধ্যে চুক্তিও হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন শারীরিক পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে ক্লাসে মনোযোগী করতে দ্রুত এ কার্যক্রম চালু করা হবে।
কুড়িগ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে। করোনা ও বিদ্যালয়ে খাবার কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এমনটি হচ্ছে বলে মনে করেন শিক্ষক ও অবিভাবকেরা।
কুড়িগ্রাম জেলায় ১ হাজার ২৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে সাড়ে ৪ শতাধিক বিদ্যালয় চরাঞ্চলে অবস্থিত। জেলার ৯ উপজেলার সব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর হার বাড়াতে এবং পুষ্টির ঘাটতি পূরণে ২০০২ সাল থেকে চালু করা হয় বিদ্যালয়ে খাবার কর্মসূচি। এর আওতায় মধাহ্ন বিরতির সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ৭৫ গ্রাম ওজনের পুষ্টিমান সম্পন্ন এক প্যাকেট করে বিস্কুট দেওয়া হতো। কিন্তু সম্প্রতি খাবার কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় জেলায় প্রাথমিকে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমেছে ২০ থেকে ২৫ ভাগ পর্যন্ত। এ অবস্থায় দ্রুত এ কার্যক্রম চালু করা হলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বাড়ার পাশাপাশি ঝরে পড়াও কমে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের খেয়ার আলগার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম বলে, ‘আগে আমাদেরকে টিফিনের সময় বিস্কুট দেওয়া হত। এখন দেওয়া হয় না। তাই দুপুরের পর খিদে লেগে যাওয়ায় আমরা ক্লাস করতে ভালো লাগে না।’
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের চঞ্চলতা ও ক্লাসে মনোযোগ বাড়াতে খাবার কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুপুরের পর শিক্ষার্থীরা আর ক্লাসে মনোযোগী হতে পারছে না।
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের চর উদনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাবলু মিয়া বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৬২ জন। এর মধ্যে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকছে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ শিক্ষার্থী।’ প্রায় ৪ মাস ধরে খাবার কার্যক্রম বন্ধ থাকার প্রভাব শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির জন্য কিছুটা দায়ি। বিদ্যালয়ে খাবার কার্যক্রম আবারও চালু হলে উপস্থিতি বেড়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কানিজা আক্তার জানান, করোনা পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হয়। বিদ্যালয় খোলার প্রথম দিকে শিক্ষার্থীর হার একটু বেশি থাকলেও বিস্কুট না দেওয়ায় দিনে দিনে কমে যাচ্ছে সংখ্যা। খাবার কার্যক্রম চালু হলে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বাড়বে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, দেশের দরিদ্রতম জেলা হিসেবে কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০০২ সাল থেকে খাবার কার্যক্রম চালু করা হয়। কার্যক্রম চালুর জন্য বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মধ্যে চুক্তিও হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন শারীরিক পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে ক্লাসে মনোযোগী করতে দ্রুত এ কার্যক্রম চালু করা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে