করোনার টিকা না পেয়ে হাসপাতাল ভাঙচুর

মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮: ০১
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৪৯

মাদারীপুর সদর হাসপাতালে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা না পেয়ে একদল শিক্ষার্থী ভাঙচুর চালিয়েছে। এ সময় শত শত শিক্ষার্থী নবনির্মিত হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে কাচের বেষ্টনী ও চেয়ার ভাঙচুর করে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সোমবার বেলা ১১টার দিকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক শ’ শিক্ষার্থী করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে আসে। তখন হাসপাতাল থেকে জানানো হয় শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ করা ভ্যাকসিন শেষ হয়ে গেছে। নতুন ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত তাদের আর কোনো ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব নয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মাদারীপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থী আব্দুল আলিম জয় বলে, ‘হাসপাতালের গেটের সামনে আসতেই পুলিশ বাধা দেয়। পরে জানতে পারি শিক্ষার্থীর জন্য বরাদ্দ করা ভ্যাকসিন শেষ। এই বিষয়টি যদি আমাদের আগে জানানো হতো, তাহলে এত দূর থেকে আমরা কেউ আসতাম না।’

সরকারি শাসচুন্নাহার বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিতু আক্তার বলেন, ‘বান্ধবীদের সঙ্গে টিকা দিতে এসেছি। লাইনেও দাঁড়িয়েছিলাম, পরে শুনি টিকা নেই।’

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের ভ্যাকসিন কার্যক্রমের সমন্বয়কারী ডা. ইকরাম হোসেন জানান, মাদারীপুর জেলায় ১৮ হাজার ৭২০ জন এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়। পরে রোববার বিকেলে টিকা শেষ হয়ে যায়।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মনিরুজ্জামান ফকির বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা অতি উৎসাহী হয়ে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়।’

মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মুনির আহম্মেদ খান বলেন, ‘১৬ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকা শেষ হওয়ায় সোমবার শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয়নি। এ কারণে কিছু শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। দুই এক দিনের মধ্যেই টিকা আসবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত