মো. আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম
লাকসাম উপজেলার ৩ নম্বর দক্ষিণ মুদাফরগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আবদুর রশিদ সওদাগর ৩৬ বছর ধরে রয়েছেন। তিনি এই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান। দীর্ঘদিন একই পদে থাকায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাঁরা অভিযোগ করছেন, সভাপতির অযোগ্যতায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মুখ থুবড়ে পড়ছে। তিনি পরিশ্রমী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করেন না। এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগও করা হচ্ছে।
এসব নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সর্বশেষ বর্ধিত সভায় স্থানীয় নেতারা প্রকাশ্যে সভাপতির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। এতে উত্তেজনা তৈরি হয়। গত ২ এপ্রিল এই সভা হয়।
সভায় আবদুর রশিদ সওদাগরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বক্তব্য দেন ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিরাজুল ইসলাম, ২ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁন মিয়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মনির মজুমদার, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. বাদলসহ একাধিক নেতা।
নেতারা অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর আবদুর রশিদ সওদাগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন। এক সময় এ মুদাফরগঞ্জ ইউনিয়ন উপজেলার মুজিবনগর হিসেবে পরিচিত ছিল। অথচ আবদুর রশিদের কারণে ইউনিয়ন এখন জামায়াত-বিএনপির অভয়াশ্রয়ম হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে।
বক্তারা আরও বলেন, সভাপতি দলীয় নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে জামায়াত-বিএনপির অনুসারীদের দলীয় পদ-পদবি পাইয়ে দিচ্ছেন। তিনি আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ ভূঁইয়া। অন্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম হিরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবদুর রশিদ সওদাগর এক সময় স্থানীয় মাওলানা বাজারের মুদি দোকানের ব্যবসায়ী ছিলেন। চেয়ারম্যান হওয়ার আগে এই পদে চারবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, আবদুর রশিদ সওদাগর নির্বাচিত হওয়ার পর পরিশ্রমী নেতা-কর্মীদের এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন করছেন। তিনি বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে চলেন। ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করছেন।
অভিযোগ উঠেছে, তাঁর ছেলে জিয়া উদ্দিন লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি অতীতে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও বাবা প্রভাব খাটিয়ে ছেলেকে এ পদ পাইয়ে দেন।
এ ছাড়া আবদুর রশিদ সওদাগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তিদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন বলেও অভিযোগ।
এসব বিষয়ে দক্ষিণ মুদাফরগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির মজুমদার বলেন, নেতা-কর্মীরা সত্য কথা বলছেন। চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ সওদাগর এ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দেওয়া বক্তব্যগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়ার কোনো কারণ নেই।
অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ সওদাগর বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ৩৬ বছর এই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এটাই আমার বড় অপরাধ। দলীয় হাইকমান্ড আমাকে পরিবর্তন করেন না।’ দলীয় নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রতিটি দলীয় নেতা-কর্মীদের কাজ দেওয়া হয়েছে। আমি তাঁদের থেকে শতভাগ কাজ বুঝে নেওয়ায় তাঁরা এখন আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।’
ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এসব কমিটি নিয়ন্ত্রণ করেন উপজেলার নেতারা। আমার কোনো হাত নেই। আমি শুধু অতিথি হিসেবে সভায় বসে ছিলাম। কোনো বাণিজ্য করি নাই।’ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতির পদ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমি চার বছর দুই মাস এ ইউপির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। সামনে আবারও নির্বাচন আসছে, তাই আমার বিরুদ্ধে এ অপপ্রচার।’
লাকসাম উপজেলার ৩ নম্বর দক্ষিণ মুদাফরগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আবদুর রশিদ সওদাগর ৩৬ বছর ধরে রয়েছেন। তিনি এই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান। দীর্ঘদিন একই পদে থাকায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাঁরা অভিযোগ করছেন, সভাপতির অযোগ্যতায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মুখ থুবড়ে পড়ছে। তিনি পরিশ্রমী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করেন না। এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগও করা হচ্ছে।
এসব নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সর্বশেষ বর্ধিত সভায় স্থানীয় নেতারা প্রকাশ্যে সভাপতির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। এতে উত্তেজনা তৈরি হয়। গত ২ এপ্রিল এই সভা হয়।
সভায় আবদুর রশিদ সওদাগরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বক্তব্য দেন ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিরাজুল ইসলাম, ২ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁন মিয়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মনির মজুমদার, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. বাদলসহ একাধিক নেতা।
নেতারা অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর আবদুর রশিদ সওদাগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন। এক সময় এ মুদাফরগঞ্জ ইউনিয়ন উপজেলার মুজিবনগর হিসেবে পরিচিত ছিল। অথচ আবদুর রশিদের কারণে ইউনিয়ন এখন জামায়াত-বিএনপির অভয়াশ্রয়ম হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে।
বক্তারা আরও বলেন, সভাপতি দলীয় নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে জামায়াত-বিএনপির অনুসারীদের দলীয় পদ-পদবি পাইয়ে দিচ্ছেন। তিনি আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ ভূঁইয়া। অন্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম হিরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবদুর রশিদ সওদাগর এক সময় স্থানীয় মাওলানা বাজারের মুদি দোকানের ব্যবসায়ী ছিলেন। চেয়ারম্যান হওয়ার আগে এই পদে চারবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, আবদুর রশিদ সওদাগর নির্বাচিত হওয়ার পর পরিশ্রমী নেতা-কর্মীদের এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন করছেন। তিনি বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে চলেন। ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করছেন।
অভিযোগ উঠেছে, তাঁর ছেলে জিয়া উদ্দিন লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি অতীতে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও বাবা প্রভাব খাটিয়ে ছেলেকে এ পদ পাইয়ে দেন।
এ ছাড়া আবদুর রশিদ সওদাগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তিদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন বলেও অভিযোগ।
এসব বিষয়ে দক্ষিণ মুদাফরগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির মজুমদার বলেন, নেতা-কর্মীরা সত্য কথা বলছেন। চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ সওদাগর এ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দেওয়া বক্তব্যগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়ার কোনো কারণ নেই।
অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ সওদাগর বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ৩৬ বছর এই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এটাই আমার বড় অপরাধ। দলীয় হাইকমান্ড আমাকে পরিবর্তন করেন না।’ দলীয় নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রতিটি দলীয় নেতা-কর্মীদের কাজ দেওয়া হয়েছে। আমি তাঁদের থেকে শতভাগ কাজ বুঝে নেওয়ায় তাঁরা এখন আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।’
ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এসব কমিটি নিয়ন্ত্রণ করেন উপজেলার নেতারা। আমার কোনো হাত নেই। আমি শুধু অতিথি হিসেবে সভায় বসে ছিলাম। কোনো বাণিজ্য করি নাই।’ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতির পদ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমি চার বছর দুই মাস এ ইউপির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। সামনে আবারও নির্বাচন আসছে, তাই আমার বিরুদ্ধে এ অপপ্রচার।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে