দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দশমিনায় অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় আটটি বীর নিবাস নির্মাণকাজের বরাদ্দ দেওয়া হয়। পাঁচটি ভবনের নির্মাণকাজ ৭০-৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। কিন্তু কার্যাদেশ বাস্তবায়নের সময় শেষ হলেও তিনটি ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ওই প্রকল্পের আওতায় উপজেলার অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি উপজেলায় অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে ১৯টি আবেদনপত্র পেয়ে সরেজমিন যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে ১২ জনের নাম সুপারিশ করে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে ১২ জনের বিপরীতে ৮ জনের নামে ঘর বরাদ্দ আসে।
জানা যায়, মেসার্স খন্দকার কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মো. কামরুল খন্দকার উপজেলায় ওই প্রকল্পের আটটি পাকা ভবন নির্মাণের ঠিকাদার নির্বাচিত হন, যার কার্যাদেশ ৪ নভেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত উল্লেখ ছিল।
ঠিকাদার মো. কামরুল খন্দকার বলেন, ‘প্রকল্পের সদস্যসচিব ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রবিউল হোসেন ওই তিনটি ভবনের কাজের সাইট আমাকে বুঝিয়ে দেননি।’
উপজেলার দশমিনা সদর ইউনিয়নের আরজবেগী গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. লাল মিয়া বলেন, ‘পিআইও রবিউল হোসেন আমাকে সন্ধ্যার পর দেখা করতে বলেছিলেন। আমি দেখা করিনি, তাই আমার ঘরের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়নি।’
দশমিনা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রবিউল হোসেন বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. লাল মিয়া বালু দ্বারা নতুন ভরাট করা জমিতে ঘর নির্মাণ করতে চাচ্ছেন না। নতুন ভরাট করা জমিতে ঘর নির্মাণ করা নিষেধ—মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনায় তাঁর ঘর নির্মাণকাজ শুরু করতে পারিনি। প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজেম আলী শিকদারের ছেলে নাসির শিকদারের জমিসংক্রান্ত জটিলতা থাকায় ওই ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করা যায়নি। এখন তাঁর নামে ওই জমির নামজারি হয়েছে। এখন কাজ শুরু করা যাবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গণি হাওলাদার পূর্বে একটি ঘর পেয়েছেন, যদিও সেটি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নয়, কিন্তু সরকারি। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ওই ভবনের কাজ শুরু করা হবে।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই প্রকল্পের বিভাগীয় উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহমান বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ পরিদর্শন করি। এমন অভিযোগ কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা করলে ইউএনও মহোদয়ের সঙ্গে আলাপ করে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আবাসন বরাদ্দ কমিটির সভাপতি ও দশমিনা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমার কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে আমি অবশ্যই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
পটুয়াখালীর দশমিনায় অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় আটটি বীর নিবাস নির্মাণকাজের বরাদ্দ দেওয়া হয়। পাঁচটি ভবনের নির্মাণকাজ ৭০-৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। কিন্তু কার্যাদেশ বাস্তবায়নের সময় শেষ হলেও তিনটি ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ওই প্রকল্পের আওতায় উপজেলার অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি উপজেলায় অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে ১৯টি আবেদনপত্র পেয়ে সরেজমিন যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে ১২ জনের নাম সুপারিশ করে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে ১২ জনের বিপরীতে ৮ জনের নামে ঘর বরাদ্দ আসে।
জানা যায়, মেসার্স খন্দকার কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মো. কামরুল খন্দকার উপজেলায় ওই প্রকল্পের আটটি পাকা ভবন নির্মাণের ঠিকাদার নির্বাচিত হন, যার কার্যাদেশ ৪ নভেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত উল্লেখ ছিল।
ঠিকাদার মো. কামরুল খন্দকার বলেন, ‘প্রকল্পের সদস্যসচিব ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রবিউল হোসেন ওই তিনটি ভবনের কাজের সাইট আমাকে বুঝিয়ে দেননি।’
উপজেলার দশমিনা সদর ইউনিয়নের আরজবেগী গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. লাল মিয়া বলেন, ‘পিআইও রবিউল হোসেন আমাকে সন্ধ্যার পর দেখা করতে বলেছিলেন। আমি দেখা করিনি, তাই আমার ঘরের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়নি।’
দশমিনা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রবিউল হোসেন বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. লাল মিয়া বালু দ্বারা নতুন ভরাট করা জমিতে ঘর নির্মাণ করতে চাচ্ছেন না। নতুন ভরাট করা জমিতে ঘর নির্মাণ করা নিষেধ—মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনায় তাঁর ঘর নির্মাণকাজ শুরু করতে পারিনি। প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজেম আলী শিকদারের ছেলে নাসির শিকদারের জমিসংক্রান্ত জটিলতা থাকায় ওই ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করা যায়নি। এখন তাঁর নামে ওই জমির নামজারি হয়েছে। এখন কাজ শুরু করা যাবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গণি হাওলাদার পূর্বে একটি ঘর পেয়েছেন, যদিও সেটি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নয়, কিন্তু সরকারি। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ওই ভবনের কাজ শুরু করা হবে।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই প্রকল্পের বিভাগীয় উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহমান বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ পরিদর্শন করি। এমন অভিযোগ কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা করলে ইউএনও মহোদয়ের সঙ্গে আলাপ করে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আবাসন বরাদ্দ কমিটির সভাপতি ও দশমিনা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমার কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে আমি অবশ্যই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে