গোপালপুর প্রতিনিধি
গোপালপুর থেকে ১০ টাকা কেজি দরের ১১১ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় কয়েকটি খালি বস্তাও উদ্ধার করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চাল উদ্ধার করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া ইসলাম সীমা। তবে এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, উপজেলার নগদা শিমলা বাজারের চাল ব্যবসায়ী বিপ্লব হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি ওজনের ৬৯ বস্তা এবং ৫০ কেজি ওজনের ১৬ বস্তা চাল এবং খালি বস্তা উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসন। পরে নগদা শিমলা বাজারের চাল ব্যবসায়ী আয়নাল হোসেনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ৫০ কেজি ওজনের ২৬ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে চাল ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যান।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া ইসলাম সীমা বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আটক করা হয়। নিয়মিত মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে গোপালপুরে ন্যায্যমূল্যের চাল চুরি থামছেই না। অধিকাংশ ডিলার সরকারি দলের নেতা-কর্মী ও প্রভাবশালীদের আত্মীয়স্বজন হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাপে পড়ছে।
জানা গেছে, উপজেলার পৌরসভা ও সাত ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় ১০ হাজার ৫২৬টি পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরের চাল সরবরাহ করা হয়। এ জন্য ডিলার রয়েছে ২১ জন। প্রতিটি কার্ডহোল্ডার মার্চ, এপ্রিল ও সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর—এ পাঁচ মাসের প্রতি মাসে ৩০ কেজি হারে ১৫০ কেজি চাল পেয়ে থাকে। অভিযোগ রয়েছে—সচ্ছল পরিবারে অনেকে কার্ড পেয়েছেন। তাঁরা এসব চাল ওঠানোর পর বিক্রি করে দেন।
চাল বিতরণের ট্যাগ কর্মকর্তা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাসেল বলেন, ‘চাল নেওয়ার পর ভোক্তারা কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার সময় এসব চাল বিক্রি করে দেন। আর একশ্রেণির ব্যবসায়ী তা কিনে মজুত করেন। প্রশাসন অবৈধভাবে মজুত করা সেই চাল আটক করে মামলা দেন।’
দেখা যায়, গত এক বছরে ছয়বার চোরাই চাল উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। চাল উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা হয়।
হেমনগর ইউপি চেয়ারম্যান রওশন খান আইয়ুব বলেন, ‘এই ইউপির তিন ডিলার দলীয় নেতা। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহমুদুল রঞ্জু, সম্পাদক আনিসুর রহমান হীরা এবং ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম এই চালের ডিলার। দলীয় নেতারা এভাবে ডিলারশিপ পাওয়ায় কোনো অঘটন ঘটলে প্রশাসন তদবিরের চাপে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। ফলে চাল চুরি বন্ধ হয় না।’
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ ইবনে হোসাইন বলেন, ‘ন্যায্যমূল্যে চাল হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গোপালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘চাল চুরির একাধিক ঘটনায় সরকার ও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ মল্লিক বলেন, ‘কিছু অসাধু মানুষ এই কাজ করে থাকেন। তবে চাল চুরির সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।’
গোপালপুর থেকে ১০ টাকা কেজি দরের ১১১ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় কয়েকটি খালি বস্তাও উদ্ধার করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চাল উদ্ধার করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া ইসলাম সীমা। তবে এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, উপজেলার নগদা শিমলা বাজারের চাল ব্যবসায়ী বিপ্লব হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি ওজনের ৬৯ বস্তা এবং ৫০ কেজি ওজনের ১৬ বস্তা চাল এবং খালি বস্তা উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসন। পরে নগদা শিমলা বাজারের চাল ব্যবসায়ী আয়নাল হোসেনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ৫০ কেজি ওজনের ২৬ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে চাল ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যান।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া ইসলাম সীমা বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আটক করা হয়। নিয়মিত মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে গোপালপুরে ন্যায্যমূল্যের চাল চুরি থামছেই না। অধিকাংশ ডিলার সরকারি দলের নেতা-কর্মী ও প্রভাবশালীদের আত্মীয়স্বজন হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাপে পড়ছে।
জানা গেছে, উপজেলার পৌরসভা ও সাত ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় ১০ হাজার ৫২৬টি পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরের চাল সরবরাহ করা হয়। এ জন্য ডিলার রয়েছে ২১ জন। প্রতিটি কার্ডহোল্ডার মার্চ, এপ্রিল ও সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর—এ পাঁচ মাসের প্রতি মাসে ৩০ কেজি হারে ১৫০ কেজি চাল পেয়ে থাকে। অভিযোগ রয়েছে—সচ্ছল পরিবারে অনেকে কার্ড পেয়েছেন। তাঁরা এসব চাল ওঠানোর পর বিক্রি করে দেন।
চাল বিতরণের ট্যাগ কর্মকর্তা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাসেল বলেন, ‘চাল নেওয়ার পর ভোক্তারা কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার সময় এসব চাল বিক্রি করে দেন। আর একশ্রেণির ব্যবসায়ী তা কিনে মজুত করেন। প্রশাসন অবৈধভাবে মজুত করা সেই চাল আটক করে মামলা দেন।’
দেখা যায়, গত এক বছরে ছয়বার চোরাই চাল উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। চাল উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা হয়।
হেমনগর ইউপি চেয়ারম্যান রওশন খান আইয়ুব বলেন, ‘এই ইউপির তিন ডিলার দলীয় নেতা। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহমুদুল রঞ্জু, সম্পাদক আনিসুর রহমান হীরা এবং ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম এই চালের ডিলার। দলীয় নেতারা এভাবে ডিলারশিপ পাওয়ায় কোনো অঘটন ঘটলে প্রশাসন তদবিরের চাপে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। ফলে চাল চুরি বন্ধ হয় না।’
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ ইবনে হোসাইন বলেন, ‘ন্যায্যমূল্যে চাল হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গোপালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘চাল চুরির একাধিক ঘটনায় সরকার ও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ মল্লিক বলেন, ‘কিছু অসাধু মানুষ এই কাজ করে থাকেন। তবে চাল চুরির সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে