তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৫ ফুট প্রস্থের একটা ঘর। ছোট্ট সেই ঘরে কাজে নিবিষ্ট ১৭ জন শ্রমিক। কেউ জুতার তলা তৈরিতে হাত লাগাচ্ছেন। কেউবা আটা দিয়ে লাগাচ্ছিলেন ফিতা, চুমকি ও জরি। এরপর সেলাই শেষে জোড়ায় জোড়ায় জুতা ভরছিলেন প্যাকেটে। গতকাল শনিবার বেলা ৩টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর পূর্বমাদারবাড়ির নছু মালুম লেনের ‘দিপালী সুজ’ নামের একটি জুতার কারখানার চিত্র এটি। ঈদ উপলক্ষে কারখানাগুলোতে ব্যস্ততা বাড়লেও বিক্রি নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন মালিকেরা। এ জন্য চীন ও ভারত থেকে জুতা আসা, কাঁচামালের দাম দ্বিগুণ এবং করোনার বন্ধে দক্ষ শ্রমিক হারানোর বিষয়টি সামনে আনছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাকিব সুজ নামের কারখানার মালিক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘একটা সময় খুব কদর ছিল আমাদের জুতার। সপ্তাহে ২০০ ডজন ফরমায়েশ পেতাম। এখন সেটি কমতে কমতে ৫০ ডজনে ঠেকেছে। কাঁচামালের দামও দ্বিগুণ। সবাই হিমশিম খাচ্ছেন, তবু ছেড়ে যেতে পারছেন না। কেননা অনেক কারখানার মালিকই ঋণের জালে বন্দী।’
জুতা তৈরির ব্যবসা নিয়ে তাই শঙ্কিত অনেকেই। সেই শঙ্কা আরও বাড়ল চট্টগ্রাম ক্ষুদ্র পাদুকা শিল্প মালিক গ্রুপের সভাপতি মঞ্জু খানের কথায়। তিনি বলেন, ‘আগে স্বাভাবিক সময়ে ঈদে ৮০ কোটি টাকার ব্যবসা হতো। এবার ৫০ কোটি টাকা হবে কি না সেটিও সন্দেহ।’
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, পশ্চিম মাদারবাড়ি, অভয়মিত্র ঘাট, জলসা মার্কেট ও নালাপাড়ায় গড়ে ওঠা প্রায় ৪০০ কারখানাই এখন জেগে আছে রাত-দিন। এ ব্যস্ততা চলবে ২৫ রমজান পর্যন্ত। তত দিন বাড়ি কিংবা বাসায় যাওয়ার ছুটি নেই মালিক-শ্রমিকদের। এই কদিন কারখানাগুলোই হয়ে উঠেছে তাঁদের ঘরবাড়ি।
চট্টগ্রাম ক্ষুদ্র পাদুকা শিল্প মালিক গ্রুপের সভাপতি মঞ্জু খান জানান, বহু বছর আগে এই জুতা-স্যান্ডেলের কারখানাগুলো গড়ে ওঠে। এসব কারখানায় বানানো জুতার বেশির ভাগই যায় নগরীর নূপুর মার্কেট, লাকি প্লাজা, শপিং সেন্টারসহ বিভিন্ন মার্কেটে। সেখান থেকে আরেক দফা বিক্রি হয়ে চলে যায় চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলাতে। তবে কয়েক বছর ধরে চীন ও ভারত থেকে আসা জুতায় মার্কেটগুলো ভরে যায়। এ কারণে বেশির ভাগ কারখানাতেই সারা বছর জুতা তৈরি হয় না। আর এখন মূলত ঈদ ঘিরেই তাঁদের মূল ব্যবসা।
কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কারখানাগুলোতে চামড়ার জুতা তৈরি হয় না বললেই চলে। এখানে বেশির ভাগ জুতাই তৈরি হয় রেক্সিন দিয়ে। তবে ক্রেতারা ফরমায়েশ দিলে চামড়ার জুতাও তৈরি হয়। ফেসবুক থেকে বিভিন্ন জুতার নকশা সংগ্রহ করে সে অনুযায়ী তৈরি হয় করা বেশির ভাগ কারখানায়। এ ছাড়া ভারত-চীন থেকে আমদানি করা জুতার নকশাও কেউ কেউ নকল করেন। এখানকার কারখানাগুলোর বিশেষত্ব হলো, সেলাই ছাড়া জুতা তৈরির বাকি সব কাজই হয় হাতে।
গতকাল কয়েকটি কারখানা ঘুরে কথা হয় শ্রমিকদের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, প্রতিটি জুতা তৈরিতে চারজন শ্রমিকের হাতের ছোঁয়া লাগাতে হয়। একজন জুতার তলা তৈরি করেন, আরেকজন করেন ওপরের অংশ। এরপর দুটি অংশ জোড়া লাগান আরেকজন। শেষে চূড়ান্তভাবে তৈরির পর প্যাকেটে ভরেন একজন। প্রতি ডজন জুতা এখানে ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এতে লাভ হয় ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা। এখানকার মালিক ও শ্রমিকদের বেশির ভাগই মানিকগঞ্জ ও ভৈরব এলাকার।
বাজারে বিদেশি জুতার চাপে এমনিতেই এখানকার জুতার চাহিদা পড়তির দিকে। এর মধ্যে গত দুই বছর করোনার কারণে ব্যবসা হয়নি বললেই চলে। এখন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আগের সেই ব্যবসা নেই। সেটিই বলছিলেন পিএম সুজ কারখানার মালিক খায়রুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনার সময় অনেক দক্ষ শ্রমিক কাজ না থাকায় চলে গেছেন। তাঁরা আর এ পেশায় ফেরেননি। এখন ব্যবসাও আগের মতো নেই। কোনোমতে টিকে আছি।’
৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৫ ফুট প্রস্থের একটা ঘর। ছোট্ট সেই ঘরে কাজে নিবিষ্ট ১৭ জন শ্রমিক। কেউ জুতার তলা তৈরিতে হাত লাগাচ্ছেন। কেউবা আটা দিয়ে লাগাচ্ছিলেন ফিতা, চুমকি ও জরি। এরপর সেলাই শেষে জোড়ায় জোড়ায় জুতা ভরছিলেন প্যাকেটে। গতকাল শনিবার বেলা ৩টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর পূর্বমাদারবাড়ির নছু মালুম লেনের ‘দিপালী সুজ’ নামের একটি জুতার কারখানার চিত্র এটি। ঈদ উপলক্ষে কারখানাগুলোতে ব্যস্ততা বাড়লেও বিক্রি নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন মালিকেরা। এ জন্য চীন ও ভারত থেকে জুতা আসা, কাঁচামালের দাম দ্বিগুণ এবং করোনার বন্ধে দক্ষ শ্রমিক হারানোর বিষয়টি সামনে আনছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাকিব সুজ নামের কারখানার মালিক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘একটা সময় খুব কদর ছিল আমাদের জুতার। সপ্তাহে ২০০ ডজন ফরমায়েশ পেতাম। এখন সেটি কমতে কমতে ৫০ ডজনে ঠেকেছে। কাঁচামালের দামও দ্বিগুণ। সবাই হিমশিম খাচ্ছেন, তবু ছেড়ে যেতে পারছেন না। কেননা অনেক কারখানার মালিকই ঋণের জালে বন্দী।’
জুতা তৈরির ব্যবসা নিয়ে তাই শঙ্কিত অনেকেই। সেই শঙ্কা আরও বাড়ল চট্টগ্রাম ক্ষুদ্র পাদুকা শিল্প মালিক গ্রুপের সভাপতি মঞ্জু খানের কথায়। তিনি বলেন, ‘আগে স্বাভাবিক সময়ে ঈদে ৮০ কোটি টাকার ব্যবসা হতো। এবার ৫০ কোটি টাকা হবে কি না সেটিও সন্দেহ।’
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, পশ্চিম মাদারবাড়ি, অভয়মিত্র ঘাট, জলসা মার্কেট ও নালাপাড়ায় গড়ে ওঠা প্রায় ৪০০ কারখানাই এখন জেগে আছে রাত-দিন। এ ব্যস্ততা চলবে ২৫ রমজান পর্যন্ত। তত দিন বাড়ি কিংবা বাসায় যাওয়ার ছুটি নেই মালিক-শ্রমিকদের। এই কদিন কারখানাগুলোই হয়ে উঠেছে তাঁদের ঘরবাড়ি।
চট্টগ্রাম ক্ষুদ্র পাদুকা শিল্প মালিক গ্রুপের সভাপতি মঞ্জু খান জানান, বহু বছর আগে এই জুতা-স্যান্ডেলের কারখানাগুলো গড়ে ওঠে। এসব কারখানায় বানানো জুতার বেশির ভাগই যায় নগরীর নূপুর মার্কেট, লাকি প্লাজা, শপিং সেন্টারসহ বিভিন্ন মার্কেটে। সেখান থেকে আরেক দফা বিক্রি হয়ে চলে যায় চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলাতে। তবে কয়েক বছর ধরে চীন ও ভারত থেকে আসা জুতায় মার্কেটগুলো ভরে যায়। এ কারণে বেশির ভাগ কারখানাতেই সারা বছর জুতা তৈরি হয় না। আর এখন মূলত ঈদ ঘিরেই তাঁদের মূল ব্যবসা।
কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কারখানাগুলোতে চামড়ার জুতা তৈরি হয় না বললেই চলে। এখানে বেশির ভাগ জুতাই তৈরি হয় রেক্সিন দিয়ে। তবে ক্রেতারা ফরমায়েশ দিলে চামড়ার জুতাও তৈরি হয়। ফেসবুক থেকে বিভিন্ন জুতার নকশা সংগ্রহ করে সে অনুযায়ী তৈরি হয় করা বেশির ভাগ কারখানায়। এ ছাড়া ভারত-চীন থেকে আমদানি করা জুতার নকশাও কেউ কেউ নকল করেন। এখানকার কারখানাগুলোর বিশেষত্ব হলো, সেলাই ছাড়া জুতা তৈরির বাকি সব কাজই হয় হাতে।
গতকাল কয়েকটি কারখানা ঘুরে কথা হয় শ্রমিকদের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, প্রতিটি জুতা তৈরিতে চারজন শ্রমিকের হাতের ছোঁয়া লাগাতে হয়। একজন জুতার তলা তৈরি করেন, আরেকজন করেন ওপরের অংশ। এরপর দুটি অংশ জোড়া লাগান আরেকজন। শেষে চূড়ান্তভাবে তৈরির পর প্যাকেটে ভরেন একজন। প্রতি ডজন জুতা এখানে ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এতে লাভ হয় ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা। এখানকার মালিক ও শ্রমিকদের বেশির ভাগই মানিকগঞ্জ ও ভৈরব এলাকার।
বাজারে বিদেশি জুতার চাপে এমনিতেই এখানকার জুতার চাহিদা পড়তির দিকে। এর মধ্যে গত দুই বছর করোনার কারণে ব্যবসা হয়নি বললেই চলে। এখন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আগের সেই ব্যবসা নেই। সেটিই বলছিলেন পিএম সুজ কারখানার মালিক খায়রুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনার সময় অনেক দক্ষ শ্রমিক কাজ না থাকায় চলে গেছেন। তাঁরা আর এ পেশায় ফেরেননি। এখন ব্যবসাও আগের মতো নেই। কোনোমতে টিকে আছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে