বিরস
নাসিরুদ্দিন হোজ্জা একদিন কাজির আসনে বসে একটি বিচার করছিলেন। প্রথমে ফরিয়াদি তাঁর বক্তব্য দিতে শুরু করেন। আসামির সম্পর্কে তাঁর অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণ দিচ্ছেন। হোজ্জা মনোযোগ দিয়ে তাঁর কথা শুনছেন। বলা শেষ হলে হোজ্জা মাথা ঝাঁকিয়ে বললেন, ‘তোমার কথাই ঠিক।’
এবার আসামি বলে উঠল, ‘হুজুর, আমার দুইটা কথা ছিল।’
হোজ্জা বললেন, ‘ঠিক আছে, তুমি তোমার বক্তব্য বলো।’
আসামির বক্তব্যও মনোযোগ দিয়ে শোনার পর হোজ্জা বললেন, ‘তোমার কথাই ঠিক।’
হোজ্জার স্ত্রী পর্দার আড়ালে এতক্ষণ সব কথা শুনছিলেন। বিরক্ত হয়ে স্বামীকে তিনি বললেন, ‘দুজনই ঠিক হয় কীভাবে? হয় আসামির কথা ঠিক অথবা ফরিয়াদির কথা ঠিক।’
হোজ্জা স্ত্রীর দিকে ফিরে সমর্থনসূচক হাসি দিয়ে বললেন, ‘বিবি, তোমার কথাই ঠিক।’
খ. গ্রামোফোন আবিষ্কারের পর টমাস আলভা অ্যাডিসনের জন্য একটি সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা সভায় সাধারণত যাঁর উদ্দেশ্যে আয়োজন তাঁর সম্পর্কে প্রশংসাসূচক বক্তব্যই দেওয়া হয়। কিন্তু ওই সভায় এক তরুণী তাঁর বক্তৃতায় অ্যাডিসনকে অযথাই আক্রমণ করে বললেন, ‘কী এক ঘোড়ার ডিমের যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন, সারাক্ষণ কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর করতেই থাকে। আর তাই নিয়ে এত মাতামাতি! ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না…।’
তরুণী বলেই যাচ্ছেন। থামার কোনো লক্ষণ নেই।
অ্যাডিসন চুপ করে শুনে গেলেন। বক্তৃতা দিতে উঠে তিনি বললেন, ‘ম্যাডাম, আপনি ভুল করছেন। আসলে সারাক্ষণ কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর করার যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন ঈশ্বর। আমি যেটা আবিষ্কার করেছি, সেটি ইচ্ছেমতো থামানো যায়।’
গ. এক জেলা সদরের আদালতে একটি মামলায় সাক্ষী হিসেবে হাজির করা হয়েছে এমন একজনকে, যিনি এলাকায় ঠোঁটকাটা শিমুল খালা নামে পরিচিত।
বাদীপক্ষের উকিল রহমত আলী শিমুল খালাকে ঘাবড়ে দেওয়ার জন্য প্রথমেই জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনি আমায় চেনেন?’
শিমুল খালার ঝটপট উত্তর, ওমা চিনব না কেন? তুমি রহমত। তোমায় ল্যাংটা বয়স থেকেই চিনি। পুরো বখে যাওয়া ছেলে ছিলে। মিথ্যা কথা বলতে। লোক ঠকানোয় ওস্তাদ ছিলে। আরও অনেক গুণ তোমার ছিল, সেসব আর বলছি না। নিজেকে মস্ত কেউকেটা ভাবতে যদিও কানাকড়ির মুরোদ ছিল না। তোমাকে আমি ভালোই চিনি।’
রহমত আলী স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। ভেবে পাচ্ছিলেন না কী বলবেন। একটু ভেবে উল্টোদিকে বসা বিবাদীপক্ষের উকিল তমাল মজুমদারের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে বললেন, ‘ওনাকে চেনেন?’
শিমুল খালার উত্তর, ওমা চিনব না কেন? ও তো তমাল, খুব ভালো করেই চিনি। অলস অকর্মণ্য। কারও সঙ্গে সদ্ভাব ছিল না। পাঁড় মাতাল। শহরের সবচেয়ে পিশাচ উকিল। বউয়ের চোখে ধুলো দিয়ে তিনটে ছুড়ির সঙ্গে ফষ্টিনষ্টি করে। তার মধ্যে একজন তোমার বউ। ওকে ছোট থেকেই চিনি।’
বিবাদীপক্ষের উকিল অসুস্থ বোধ করতে লাগলেন। এমন সময় জজ সাহেব দুই উকিলকে কাছে ডাকলেন। উকিলদ্বয় কাছে যাওয়ার পর নিচু গলায় শান্ত স্বরে জজ সাহেব বললেন, ‘দুই গর্দভের একজনও যদি ওই নারীকে প্রশ্ন করো যে আমায় চেনে কি না, তাহলে তোমাদের আমি ফাঁসির কাষ্ঠে চড়াব।’
ঘ. একজন ভদ্রমহিলা তাঁর স্বামীর জন্য নিজ হাতে চা বানিয়ে এনেছেন। বেচারা স্বামী মাত্র অফিস থেকে ফিরেছেন। অন্যান্য দিনের চেয়ে তাঁকে একটু বেশিই খাতির করা হচ্ছে। এ নিয়ে স্বামীপ্রবর কিছুটা ধন্দে আছেন। ঠিক মেলাতে পারছেন না আজকের এই অতিরিক্ত আপ্যায়নের বিষয়টি।
রাতের খাবারের সময় স্বামীর পাতে তরকারি তুলে দিতে দিতে স্ত্রী বললেন, ‘আজ দুপুরে খুব সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখেছি৷ কী স্বপ্ন শুনতে চাও?
স্বামী ভয়ে ভয়ে বলেন, কী?
স্ত্রী: দেখলাম, আমরা এক বিশাল মার্কেটে বেড়াতে গেছি। আর তুমি আমাকে সেখানে একটা দামি হীরার নেকলেস কিনে দিয়েছ। আচ্ছা, এর মানে কী বলো তো?’
স্বামী: ‘ও আচ্ছা, আমি তো ভাবলাম, কি না কি! এই স্বপ্নের মানে তোমাকে আগামীকাল জানাতে পারব।’
স্ত্রী খুব খুশি। মনে মনে ভাবছে, বর তার খুব একটা খারাপ না।
পরের দিন স্বামী ভদ্রলোক অফিস থেকে ফিরলেন হাতে একটা প্যাকেট নিয়ে। ঘরে ঢুকেই সেটা দিলেন স্ত্রীর হাতে। স্ত্রী মহা উৎসাহে ভেতরে গিয়ে প্যাকেট খুলে দেখেন, একটা বই। বইটির নাম ‘খোয়াবনামা’।
নাসিরুদ্দিন হোজ্জা একদিন কাজির আসনে বসে একটি বিচার করছিলেন। প্রথমে ফরিয়াদি তাঁর বক্তব্য দিতে শুরু করেন। আসামির সম্পর্কে তাঁর অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণ দিচ্ছেন। হোজ্জা মনোযোগ দিয়ে তাঁর কথা শুনছেন। বলা শেষ হলে হোজ্জা মাথা ঝাঁকিয়ে বললেন, ‘তোমার কথাই ঠিক।’
এবার আসামি বলে উঠল, ‘হুজুর, আমার দুইটা কথা ছিল।’
হোজ্জা বললেন, ‘ঠিক আছে, তুমি তোমার বক্তব্য বলো।’
আসামির বক্তব্যও মনোযোগ দিয়ে শোনার পর হোজ্জা বললেন, ‘তোমার কথাই ঠিক।’
হোজ্জার স্ত্রী পর্দার আড়ালে এতক্ষণ সব কথা শুনছিলেন। বিরক্ত হয়ে স্বামীকে তিনি বললেন, ‘দুজনই ঠিক হয় কীভাবে? হয় আসামির কথা ঠিক অথবা ফরিয়াদির কথা ঠিক।’
হোজ্জা স্ত্রীর দিকে ফিরে সমর্থনসূচক হাসি দিয়ে বললেন, ‘বিবি, তোমার কথাই ঠিক।’
খ. গ্রামোফোন আবিষ্কারের পর টমাস আলভা অ্যাডিসনের জন্য একটি সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা সভায় সাধারণত যাঁর উদ্দেশ্যে আয়োজন তাঁর সম্পর্কে প্রশংসাসূচক বক্তব্যই দেওয়া হয়। কিন্তু ওই সভায় এক তরুণী তাঁর বক্তৃতায় অ্যাডিসনকে অযথাই আক্রমণ করে বললেন, ‘কী এক ঘোড়ার ডিমের যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন, সারাক্ষণ কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর করতেই থাকে। আর তাই নিয়ে এত মাতামাতি! ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না…।’
তরুণী বলেই যাচ্ছেন। থামার কোনো লক্ষণ নেই।
অ্যাডিসন চুপ করে শুনে গেলেন। বক্তৃতা দিতে উঠে তিনি বললেন, ‘ম্যাডাম, আপনি ভুল করছেন। আসলে সারাক্ষণ কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর করার যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন ঈশ্বর। আমি যেটা আবিষ্কার করেছি, সেটি ইচ্ছেমতো থামানো যায়।’
গ. এক জেলা সদরের আদালতে একটি মামলায় সাক্ষী হিসেবে হাজির করা হয়েছে এমন একজনকে, যিনি এলাকায় ঠোঁটকাটা শিমুল খালা নামে পরিচিত।
বাদীপক্ষের উকিল রহমত আলী শিমুল খালাকে ঘাবড়ে দেওয়ার জন্য প্রথমেই জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনি আমায় চেনেন?’
শিমুল খালার ঝটপট উত্তর, ওমা চিনব না কেন? তুমি রহমত। তোমায় ল্যাংটা বয়স থেকেই চিনি। পুরো বখে যাওয়া ছেলে ছিলে। মিথ্যা কথা বলতে। লোক ঠকানোয় ওস্তাদ ছিলে। আরও অনেক গুণ তোমার ছিল, সেসব আর বলছি না। নিজেকে মস্ত কেউকেটা ভাবতে যদিও কানাকড়ির মুরোদ ছিল না। তোমাকে আমি ভালোই চিনি।’
রহমত আলী স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। ভেবে পাচ্ছিলেন না কী বলবেন। একটু ভেবে উল্টোদিকে বসা বিবাদীপক্ষের উকিল তমাল মজুমদারের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে বললেন, ‘ওনাকে চেনেন?’
শিমুল খালার উত্তর, ওমা চিনব না কেন? ও তো তমাল, খুব ভালো করেই চিনি। অলস অকর্মণ্য। কারও সঙ্গে সদ্ভাব ছিল না। পাঁড় মাতাল। শহরের সবচেয়ে পিশাচ উকিল। বউয়ের চোখে ধুলো দিয়ে তিনটে ছুড়ির সঙ্গে ফষ্টিনষ্টি করে। তার মধ্যে একজন তোমার বউ। ওকে ছোট থেকেই চিনি।’
বিবাদীপক্ষের উকিল অসুস্থ বোধ করতে লাগলেন। এমন সময় জজ সাহেব দুই উকিলকে কাছে ডাকলেন। উকিলদ্বয় কাছে যাওয়ার পর নিচু গলায় শান্ত স্বরে জজ সাহেব বললেন, ‘দুই গর্দভের একজনও যদি ওই নারীকে প্রশ্ন করো যে আমায় চেনে কি না, তাহলে তোমাদের আমি ফাঁসির কাষ্ঠে চড়াব।’
ঘ. একজন ভদ্রমহিলা তাঁর স্বামীর জন্য নিজ হাতে চা বানিয়ে এনেছেন। বেচারা স্বামী মাত্র অফিস থেকে ফিরেছেন। অন্যান্য দিনের চেয়ে তাঁকে একটু বেশিই খাতির করা হচ্ছে। এ নিয়ে স্বামীপ্রবর কিছুটা ধন্দে আছেন। ঠিক মেলাতে পারছেন না আজকের এই অতিরিক্ত আপ্যায়নের বিষয়টি।
রাতের খাবারের সময় স্বামীর পাতে তরকারি তুলে দিতে দিতে স্ত্রী বললেন, ‘আজ দুপুরে খুব সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখেছি৷ কী স্বপ্ন শুনতে চাও?
স্বামী ভয়ে ভয়ে বলেন, কী?
স্ত্রী: দেখলাম, আমরা এক বিশাল মার্কেটে বেড়াতে গেছি। আর তুমি আমাকে সেখানে একটা দামি হীরার নেকলেস কিনে দিয়েছ। আচ্ছা, এর মানে কী বলো তো?’
স্বামী: ‘ও আচ্ছা, আমি তো ভাবলাম, কি না কি! এই স্বপ্নের মানে তোমাকে আগামীকাল জানাতে পারব।’
স্ত্রী খুব খুশি। মনে মনে ভাবছে, বর তার খুব একটা খারাপ না।
পরের দিন স্বামী ভদ্রলোক অফিস থেকে ফিরলেন হাতে একটা প্যাকেট নিয়ে। ঘরে ঢুকেই সেটা দিলেন স্ত্রীর হাতে। স্ত্রী মহা উৎসাহে ভেতরে গিয়ে প্যাকেট খুলে দেখেন, একটা বই। বইটির নাম ‘খোয়াবনামা’।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে