মহসিন মিঠু
প্রায় ১৬ বছর পর শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে, ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশ ত্যাগ করেছেন তিনি। অনেকেই বলছেন যে স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্ত হলো বাংলাদেশ। মুক্তির আনন্দ প্রকাশ করতে গিয়ে অনেকেই দাবি করেছেন, এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। নিঃসন্দেহে এটি বিজয়ের আনন্দ উদ্যাপনের একটি মুহূর্ত, তবে এটি জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণও বটে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত দেশে নির্বাচিত বা অনির্বাচিত কোনো সরকার নেই, তাই প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। চারদিকে চলছে বিশৃঙ্খলার রাজত্ব, যার প্রমাণ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা। এমনই এক সময়ে পুলিশ বাহিনী ক্ষুব্ধ নাগরিকদের দ্বারা আক্রমণের ভয়ে কর্মবিরতি পালন করছে। দায়িত্বশীলদের অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে এবং অবিলম্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে হবে।
ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলন দেশের আপামর জনগণের মনে আশা জাগিয়েছে, সমাজকে মৌলিকভাবে সংস্কারের সুযোগ দিয়েছে। জনগণ আর কোনো সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না—যেখানে দুর্নীতি, রাজনৈতিক হত্যা, গুম, নিপীড়ন ও অসমতা অব্যাহত থাকবে এবং শুধু দেয়ালে কার ছবি থাকবে সেটির পরিবর্তন হবে। তাই স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের স্বস্তি এবং ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় ও আশাবাদ থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ, এর কাজের পরিধি ও পদ্ধতি অনিশ্চিত।
দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, বাংলাদেশ এর আগেও একই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে, যেখানে স্বৈরাচারী বা ক্ষমতাসীন সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। আমরা স্মরণ করতে পারি ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানের কথা, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের জোরপূর্বক পদত্যাগ করানোর ঘটনা বা ২০০৬ সালের ইয়াজউদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নাটক, যার ফলে লগি-বইঠার রক্তাক্ত যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির কথা, যার সমাপ্তি ঘটেছিল সেই ওয়ান-ইলেভেনের মাধ্যমে। আর তিনটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনের পরে এবারের স্বৈরাচার পতনের যে স্মৃতি আমাদের হয়েছে, তা ভুলে যাওয়া কখনোই সম্ভব নয়। এর আগে যতবারই অরাজনৈতিক সরকার গঠিত হয়েছে, তারা শুরুতে অনেক আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত জনগণের আশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিটি ক্ষমতার পালাবদলের পরেই মানুষ স্বৈরাচারী আচরণ, দুর্নীতি ও নিপীড়নের অবসান আশা করেছিল। দুর্ভাগ্যবশত, প্রতিটি নির্বাচিত সরকারই দুর্নীতি, নির্যাতন ও নিপীড়নের ধারাবাহিকতায় তার আগের সরকারকে অনেক ছাড়িয়ে গেছে। জনগণ এই অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি চায় না।
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার এই মুহূর্তটি জাতি কীভাবে কাজে লাগাবে?
কেমন হবে আগামী দিনগুলো?
প্রথমত, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কীভাবে গঠন করা যায়, তার মেয়াদ ও লক্ষ্য নিয়ে আইনি ও সাংবিধানিক প্রশ্ন রয়েছে। সরকার গঠনের পদ্ধতি ও বৈধতা সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞদের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত, তবে এই নির্দলীয় সরকারের লক্ষ্য ও সময়কাল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলোচনার অবকাশ রয়েছে।
অনেকে হয়তো বলবেন যে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, যেখানে প্রত্যেকের সমান সুযোগ রয়েছে এবং সেটি ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। তবে সাধারণ জনগণ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা, যাঁরা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছেন, তাঁরা বৃহত্তর এই মাহেন্দ্রক্ষণ কাজে লাগিয়ে দেশে বড়সড় সংস্কারের প্রত্যাশা করেন, যেখানে পারিবারিক রাজনীতির পরিবর্তে যোগ্যতাভিত্তিক মুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ থাকবে, অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের নীতি ও রীতি প্রতিষ্ঠিত হবে, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট-মুক্ত হবে দেশ, পুলিশ বাহিনীকে ঢেলে সাজানোর মাধ্যমে নিপীড়ক থেকে জনগণের সেবকে পরিণত করা হবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, এই নতুন অরাজনৈতিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি তার লক্ষ্য বা ম্যান্ডেট শুধু একটি অবাধ নির্বাচন পরিচালনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবে, নাকি একটি উন্নত, দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠায় দেশের প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পর্কিত জনগণের দাবি পূরণে তার লক্ষ্য প্রসারিত করবে?
রাজনীতিবিদদের সঙ্গে অতীত অভিজ্ঞতা
দুর্ভাগ্যবশত, অতীতে বাংলাদেশের জনগণের কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই ভালো অভিজ্ঞতা নেই। গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার সরকার যেমন দুর্নীতি ও নিপীড়নের নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, এর আগের নির্বাচিত বিএনপি সরকারের সময়েও প্রায় একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ‘হাওয়া ভবনের ছায়া সরকার’, বিরোধী দলের জনসভায় সামরিক গ্রেনেড হামলা, কুখ্যাত ‘জজ মিয়া’ নাটক, দেশব্যাপী জঙ্গি হামলার পৃষ্ঠপোষকতা আমাদের স্মৃতিতে এখনো তাজা। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে সামরিক বাহিনীর সহায়তায় সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হলে দুর্নীতির অভিযোগের ভয়ে অনেকেই তাদের বিলাসবহুল গাড়ি রাস্তায় ফেলে যাচ্ছিলেন। ইতিহাস থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি—‘যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় রাবণ’। যখনই যে দল ক্ষমতায় গেছে, তারা তাদের পূর্বসূরিদের ভুলের পুনরাবৃত্তিই শুধু করেনি, বরং মাত্রায় তাদের ছাড়িয়ে গেছে। জনগণ ভবিষ্যতে এ রকম পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না। বৈষম্যবিরোধী এই আন্দোলনের শহীদেরা এবং সমগ্র জাতি এই সদ্য অর্জিত মুক্তিকে রক্ষা করতে চায় এবং জাতি হিসেবে এটি আমাদের অধিকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের মানুষের এই প্রত্যাশা কীভাবে পূরণ করতে পারে?
লেখক: অর্গানাইজেশনাল ট্রান্সফরমেশন এক্সপার্ট, উত্তর আমেরিকা
প্রায় ১৬ বছর পর শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে, ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশ ত্যাগ করেছেন তিনি। অনেকেই বলছেন যে স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্ত হলো বাংলাদেশ। মুক্তির আনন্দ প্রকাশ করতে গিয়ে অনেকেই দাবি করেছেন, এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। নিঃসন্দেহে এটি বিজয়ের আনন্দ উদ্যাপনের একটি মুহূর্ত, তবে এটি জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণও বটে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত দেশে নির্বাচিত বা অনির্বাচিত কোনো সরকার নেই, তাই প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। চারদিকে চলছে বিশৃঙ্খলার রাজত্ব, যার প্রমাণ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা। এমনই এক সময়ে পুলিশ বাহিনী ক্ষুব্ধ নাগরিকদের দ্বারা আক্রমণের ভয়ে কর্মবিরতি পালন করছে। দায়িত্বশীলদের অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে এবং অবিলম্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে হবে।
ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলন দেশের আপামর জনগণের মনে আশা জাগিয়েছে, সমাজকে মৌলিকভাবে সংস্কারের সুযোগ দিয়েছে। জনগণ আর কোনো সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না—যেখানে দুর্নীতি, রাজনৈতিক হত্যা, গুম, নিপীড়ন ও অসমতা অব্যাহত থাকবে এবং শুধু দেয়ালে কার ছবি থাকবে সেটির পরিবর্তন হবে। তাই স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের স্বস্তি এবং ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় ও আশাবাদ থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ, এর কাজের পরিধি ও পদ্ধতি অনিশ্চিত।
দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, বাংলাদেশ এর আগেও একই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে, যেখানে স্বৈরাচারী বা ক্ষমতাসীন সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। আমরা স্মরণ করতে পারি ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানের কথা, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের জোরপূর্বক পদত্যাগ করানোর ঘটনা বা ২০০৬ সালের ইয়াজউদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নাটক, যার ফলে লগি-বইঠার রক্তাক্ত যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির কথা, যার সমাপ্তি ঘটেছিল সেই ওয়ান-ইলেভেনের মাধ্যমে। আর তিনটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনের পরে এবারের স্বৈরাচার পতনের যে স্মৃতি আমাদের হয়েছে, তা ভুলে যাওয়া কখনোই সম্ভব নয়। এর আগে যতবারই অরাজনৈতিক সরকার গঠিত হয়েছে, তারা শুরুতে অনেক আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত জনগণের আশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিটি ক্ষমতার পালাবদলের পরেই মানুষ স্বৈরাচারী আচরণ, দুর্নীতি ও নিপীড়নের অবসান আশা করেছিল। দুর্ভাগ্যবশত, প্রতিটি নির্বাচিত সরকারই দুর্নীতি, নির্যাতন ও নিপীড়নের ধারাবাহিকতায় তার আগের সরকারকে অনেক ছাড়িয়ে গেছে। জনগণ এই অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি চায় না।
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার এই মুহূর্তটি জাতি কীভাবে কাজে লাগাবে?
কেমন হবে আগামী দিনগুলো?
প্রথমত, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কীভাবে গঠন করা যায়, তার মেয়াদ ও লক্ষ্য নিয়ে আইনি ও সাংবিধানিক প্রশ্ন রয়েছে। সরকার গঠনের পদ্ধতি ও বৈধতা সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞদের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত, তবে এই নির্দলীয় সরকারের লক্ষ্য ও সময়কাল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলোচনার অবকাশ রয়েছে।
অনেকে হয়তো বলবেন যে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, যেখানে প্রত্যেকের সমান সুযোগ রয়েছে এবং সেটি ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। তবে সাধারণ জনগণ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা, যাঁরা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছেন, তাঁরা বৃহত্তর এই মাহেন্দ্রক্ষণ কাজে লাগিয়ে দেশে বড়সড় সংস্কারের প্রত্যাশা করেন, যেখানে পারিবারিক রাজনীতির পরিবর্তে যোগ্যতাভিত্তিক মুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ থাকবে, অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের নীতি ও রীতি প্রতিষ্ঠিত হবে, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট-মুক্ত হবে দেশ, পুলিশ বাহিনীকে ঢেলে সাজানোর মাধ্যমে নিপীড়ক থেকে জনগণের সেবকে পরিণত করা হবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, এই নতুন অরাজনৈতিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি তার লক্ষ্য বা ম্যান্ডেট শুধু একটি অবাধ নির্বাচন পরিচালনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবে, নাকি একটি উন্নত, দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠায় দেশের প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পর্কিত জনগণের দাবি পূরণে তার লক্ষ্য প্রসারিত করবে?
রাজনীতিবিদদের সঙ্গে অতীত অভিজ্ঞতা
দুর্ভাগ্যবশত, অতীতে বাংলাদেশের জনগণের কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই ভালো অভিজ্ঞতা নেই। গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার সরকার যেমন দুর্নীতি ও নিপীড়নের নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, এর আগের নির্বাচিত বিএনপি সরকারের সময়েও প্রায় একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ‘হাওয়া ভবনের ছায়া সরকার’, বিরোধী দলের জনসভায় সামরিক গ্রেনেড হামলা, কুখ্যাত ‘জজ মিয়া’ নাটক, দেশব্যাপী জঙ্গি হামলার পৃষ্ঠপোষকতা আমাদের স্মৃতিতে এখনো তাজা। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে সামরিক বাহিনীর সহায়তায় সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হলে দুর্নীতির অভিযোগের ভয়ে অনেকেই তাদের বিলাসবহুল গাড়ি রাস্তায় ফেলে যাচ্ছিলেন। ইতিহাস থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি—‘যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় রাবণ’। যখনই যে দল ক্ষমতায় গেছে, তারা তাদের পূর্বসূরিদের ভুলের পুনরাবৃত্তিই শুধু করেনি, বরং মাত্রায় তাদের ছাড়িয়ে গেছে। জনগণ ভবিষ্যতে এ রকম পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না। বৈষম্যবিরোধী এই আন্দোলনের শহীদেরা এবং সমগ্র জাতি এই সদ্য অর্জিত মুক্তিকে রক্ষা করতে চায় এবং জাতি হিসেবে এটি আমাদের অধিকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের মানুষের এই প্রত্যাশা কীভাবে পূরণ করতে পারে?
লেখক: অর্গানাইজেশনাল ট্রান্সফরমেশন এক্সপার্ট, উত্তর আমেরিকা
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে