ওমর ফারুক, ঢাকা
দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে মা-বাবাদের একটা অভিন্ন স্বপ্ন থাকে—তাঁদের সন্তান হবে চিকিৎসক, প্রকৌশলী কিংবা সরকারি চাকুরে। এখানে ব্যতিক্রম সাতক্ষীরার তাহাজ্জত হোসেন চৌধুরী। তিনি চেয়েছেন, ছেলে ক্রিকেটারই হবে।
যেনতেন ক্রিকেটার নয়, ওয়াসিম আকরামের মতো বাঁহাতি পেসার হওয়া চাই। কিন্তু ছেলে যে জন্মগত ডান হাতি। প্রকৃতি বাদ সাধলেও পিছু হটেননি তাহাজ্জত চৌধুরী। ছেলের ডান হাত বেঁধে রাখার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাঁর চেষ্টা বৃথা যায়নি। ছেলে বাঁহাতি পেসারই হয়েছেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণের পর এখন বড়দের মঞ্চেও দ্যুতি ছড়াচ্ছেন—মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, এবার বিপিএল অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করে হইচই ফেলে দিয়েছেন। ৪ ম্যাচে নিয়েছেন ৮ উইকেট। ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পেছনে মজার গল্পটা মৃত্যুঞ্জয় শোনালেন আজকের পত্রিকাকে, ‘আমি জন্মগতভাবে বাঁহাতি নই, বাবাই আমাকে বাঁহাতি বানিয়েছেন। আমার বয়স যখন ৪ কিংবা ৫, তখনই আমার ডান হাত বেঁধে রাখা শুরু করেন তিনি। আব্বু ওয়াসিম আকরামের ভক্ত, আমাকেও বাঁহাতি বানাতেই এই পরিকল্পনা করেন। তাঁর ইচ্ছাতেই আজ আমি বাঁহাতি পেসার।’
বিপিএল অভিষেকে হ্যাটট্রিক করে মৃত্যুঞ্জয় বলেছিলেন, তাঁর একটা স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তবে এখনো বড় স্বপ্নটা পূরণ হতে বাকি। আর সব ক্রিকেটারের মতো মৃত্যুঞ্জয় চান জাতীয় দলে খেলতে। এই স্বপ্ন পূরণে তাঁকে উতরে যেতে হবে কঠিন কঠিন সব চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে বাঁহাতি পেস বোলিংয়ে তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলামদের সঙ্গে। মৃত্যুঞ্জয় অবশ্য চ্যালেঞ্জটা ভালোভাবেই নিচ্ছেন, ‘ক্রিকেটে সবই চ্যালেঞ্জিং। এখানে চ্যালেঞ্জ না নিলে কখনোই ভালো করা যায় না। একজন ক্রিকেটার হিসেবে সব সময়ই লক্ষ্য দেশের হয়ে খেলা। আমার লক্ষ্য শুধু জাতীয় দলে খেলা না, লম্বা সময় দলকে সেবা দিতে চাই। জাতীয় দলে খেলতে হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে যেতে হয়। যখন এমন প্রতিযোগিতা থাকে তখন ভালো করারও আগ্রহ থাকে। এতে প্রতিনিয়ত উন্নতি করারও সুযোগ থাকবে।’
মৃত্যুঞ্জয়ের বোলিংয়ের শক্তি হচ্ছে গতি আর সুইং। যদিও বিপিএলে ধারাবাহিক সেটার দেখা মিলছে না। এর কারণ ব্যাখ্যায় মৃত্যুঞ্জয় বলছেন, ‘আমার নতুন বলে বোলিং করা হচ্ছে না। দলের সমন্বয়ের কারণে হচ্ছে না। স্লগ ওভারে বোলিং করতে হয় বলেই কাটার বা বৈচিত্র্যে বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। কোচও (শন টেইট) আমাকে স্লগ ওভারে ভালো করার পরামর্শ দিচ্ছেন। যখন নতুন বলে বোলিং করার সুযোগ হবে তখন আবার গতি ও সুইং দেখা যাবে।’ চট্টগ্রামের ফাস্ট বোলিং কোচ টেইটকে নিয়ে বিশেষ মুগ্ধতা তৈরি হয়েছে মৃত্যুঞ্জয়ের। বললেন, ‘শন (টেইট) এমন একজন কোচ যে আগে জানতে চায় বোলারের শক্তি কোথায়। যার যে শক্তি, সে অনুযায়ী তিনি কাজ করেন। নিজের চিন্তাভাবনা কখনোই আমাদের ওপর চাপিয়ে দেন না।’
ছোট্ট এ ক্যারিয়ারে একাধিকবার বড় চোটে পড়েছেন মৃত্যুঞ্জয়। তাঁর আদর্শ মাশরাফি বিন মুর্তজা, তিনি কি আর চোটের কাছে হার মানেন? মাশরাফিতে অনুপ্রাণিত হয়ে মৃত্যুঞ্জয় চোটকে জয় করেই এগোচ্ছেন। বলছিলেন ‘মাশরাফি ভাই আমাদের কাছে আদর্শ। অনুপ্রেরণা পেতে হলে মাশরাফি ভাইকে দেখেই পাওয়া উচিত।’
এখনো মৃত্যুঞ্জয়ের অনেক পথ বাকি। তবে এই বিপিএলে যেভাবে নিজেকে তুলে ধরেছেন, এটা ধরে রাখতে পারলে মোস্তাফিজ-শরীফুলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বাঁহাতি পেস বোলিংয়ে একটা বিপ্লবই ঘটিয়ে ফেলতে পারেন।
দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে মা-বাবাদের একটা অভিন্ন স্বপ্ন থাকে—তাঁদের সন্তান হবে চিকিৎসক, প্রকৌশলী কিংবা সরকারি চাকুরে। এখানে ব্যতিক্রম সাতক্ষীরার তাহাজ্জত হোসেন চৌধুরী। তিনি চেয়েছেন, ছেলে ক্রিকেটারই হবে।
যেনতেন ক্রিকেটার নয়, ওয়াসিম আকরামের মতো বাঁহাতি পেসার হওয়া চাই। কিন্তু ছেলে যে জন্মগত ডান হাতি। প্রকৃতি বাদ সাধলেও পিছু হটেননি তাহাজ্জত চৌধুরী। ছেলের ডান হাত বেঁধে রাখার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাঁর চেষ্টা বৃথা যায়নি। ছেলে বাঁহাতি পেসারই হয়েছেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণের পর এখন বড়দের মঞ্চেও দ্যুতি ছড়াচ্ছেন—মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, এবার বিপিএল অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করে হইচই ফেলে দিয়েছেন। ৪ ম্যাচে নিয়েছেন ৮ উইকেট। ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পেছনে মজার গল্পটা মৃত্যুঞ্জয় শোনালেন আজকের পত্রিকাকে, ‘আমি জন্মগতভাবে বাঁহাতি নই, বাবাই আমাকে বাঁহাতি বানিয়েছেন। আমার বয়স যখন ৪ কিংবা ৫, তখনই আমার ডান হাত বেঁধে রাখা শুরু করেন তিনি। আব্বু ওয়াসিম আকরামের ভক্ত, আমাকেও বাঁহাতি বানাতেই এই পরিকল্পনা করেন। তাঁর ইচ্ছাতেই আজ আমি বাঁহাতি পেসার।’
বিপিএল অভিষেকে হ্যাটট্রিক করে মৃত্যুঞ্জয় বলেছিলেন, তাঁর একটা স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তবে এখনো বড় স্বপ্নটা পূরণ হতে বাকি। আর সব ক্রিকেটারের মতো মৃত্যুঞ্জয় চান জাতীয় দলে খেলতে। এই স্বপ্ন পূরণে তাঁকে উতরে যেতে হবে কঠিন কঠিন সব চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে বাঁহাতি পেস বোলিংয়ে তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলামদের সঙ্গে। মৃত্যুঞ্জয় অবশ্য চ্যালেঞ্জটা ভালোভাবেই নিচ্ছেন, ‘ক্রিকেটে সবই চ্যালেঞ্জিং। এখানে চ্যালেঞ্জ না নিলে কখনোই ভালো করা যায় না। একজন ক্রিকেটার হিসেবে সব সময়ই লক্ষ্য দেশের হয়ে খেলা। আমার লক্ষ্য শুধু জাতীয় দলে খেলা না, লম্বা সময় দলকে সেবা দিতে চাই। জাতীয় দলে খেলতে হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে যেতে হয়। যখন এমন প্রতিযোগিতা থাকে তখন ভালো করারও আগ্রহ থাকে। এতে প্রতিনিয়ত উন্নতি করারও সুযোগ থাকবে।’
মৃত্যুঞ্জয়ের বোলিংয়ের শক্তি হচ্ছে গতি আর সুইং। যদিও বিপিএলে ধারাবাহিক সেটার দেখা মিলছে না। এর কারণ ব্যাখ্যায় মৃত্যুঞ্জয় বলছেন, ‘আমার নতুন বলে বোলিং করা হচ্ছে না। দলের সমন্বয়ের কারণে হচ্ছে না। স্লগ ওভারে বোলিং করতে হয় বলেই কাটার বা বৈচিত্র্যে বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। কোচও (শন টেইট) আমাকে স্লগ ওভারে ভালো করার পরামর্শ দিচ্ছেন। যখন নতুন বলে বোলিং করার সুযোগ হবে তখন আবার গতি ও সুইং দেখা যাবে।’ চট্টগ্রামের ফাস্ট বোলিং কোচ টেইটকে নিয়ে বিশেষ মুগ্ধতা তৈরি হয়েছে মৃত্যুঞ্জয়ের। বললেন, ‘শন (টেইট) এমন একজন কোচ যে আগে জানতে চায় বোলারের শক্তি কোথায়। যার যে শক্তি, সে অনুযায়ী তিনি কাজ করেন। নিজের চিন্তাভাবনা কখনোই আমাদের ওপর চাপিয়ে দেন না।’
ছোট্ট এ ক্যারিয়ারে একাধিকবার বড় চোটে পড়েছেন মৃত্যুঞ্জয়। তাঁর আদর্শ মাশরাফি বিন মুর্তজা, তিনি কি আর চোটের কাছে হার মানেন? মাশরাফিতে অনুপ্রাণিত হয়ে মৃত্যুঞ্জয় চোটকে জয় করেই এগোচ্ছেন। বলছিলেন ‘মাশরাফি ভাই আমাদের কাছে আদর্শ। অনুপ্রেরণা পেতে হলে মাশরাফি ভাইকে দেখেই পাওয়া উচিত।’
এখনো মৃত্যুঞ্জয়ের অনেক পথ বাকি। তবে এই বিপিএলে যেভাবে নিজেকে তুলে ধরেছেন, এটা ধরে রাখতে পারলে মোস্তাফিজ-শরীফুলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বাঁহাতি পেস বোলিংয়ে একটা বিপ্লবই ঘটিয়ে ফেলতে পারেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে