প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বানিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। পৃথিবীতে অনেক নেতা আসবেন। অনেক নেতা এসেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মতো নেতা পৃথিবীতে বিরল। তিনি একজন বিচক্ষণ এবং সাহসী নেতা। তাঁর নেতৃত্বেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু হয়েছে। ২৫ জুন সেতু উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। দেশি-বিদেশি অনেক ষড়যন্ত্রের মধ্যেও নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।’

গতকাল শনিবার সকালে ভোলায় জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। দীর্ঘ ছয় বছর পর শনিবার শহরের সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভার্চ্যুয়ালি সংযুক্ত হয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি তাঁর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনোই কারও বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা উড়িয়েছে। এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগ। দেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। এগিয়ে যাওয়ার নামই বাংলাদেশ।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বাংলার মাটি এখনো রক্তাক্ত হয়ে আছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় উন্নয়নের পতাকা হাতে দাঁড়িয়েছেন। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল, তারা আজ নিজেরাই ইতিহাস থেকে মুছে যাচ্ছে।’

ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লার সভাপতিত্বে সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য গোলাম রাব্বানী, আনিসুর রহমান, ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল।

ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ফজলুল কাদের মজনু মোল্লাকে সভাপতি, আবদুল মমিন টুলুকে সিনিয়র সহসভাপতি ও মইনুল হোসেন বিপ্লবকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩ বছরের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনে ডেলিগেট, কাউন্সিলরসহ হাজার হাজার নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন ঘিরে সম্মেলনস্থল ভোলা সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠসহ ভোলা সদর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এদিকে সম্মেলন চলাকালে বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী সম্মেলনস্থলে ঢুকতে চাইলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। তখন পুলিশের সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি হয়।