কুমিল্লা ও ফরিদপুর প্রতিনিধি
পদ্মা ও মেঘনা নামে নতুন দুই বিভাগের নামকরণের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর পরামর্শে কুমিল্লা ও আশপাশের জেলা নিয়ে মেঘনা নদীর নামে এবং ফরিদপুর ও আশপাশের এলাকা নিয়ে পদ্মা নদীর নামে বিভাগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হতে পারেনি ফরিদপুর ও কুমিল্লার মানুষ। এ বিষয়ে তারা সরাসরি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদও জানিয়েছেন অনেকে। নামকরণ নিয়ে অসন্তুষ্টি থাকলেও বিভাগ ঘোষণার খবরে উৎফুল্ল প্রায় সবাই। বিভাগ হওয়ার পর স্থানীয় পর্যায়ে সুযোগ-সুবিধা ও সম্ভাবনা বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফরিদপুর: ফরিদপুর সচেতন নাগরিক কমিটির কমিটির সভাপতি শিপ্রাগো স্বামী বলেন, ফরিদপুর নামে হলে বেশি খুশি হতাম। তারপরও বিভাগ হলে এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে সেটাও বা কম কিসে।
একই মত ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমানেরও। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ফরিদপুর অঞ্চলের মানুষ শিল্পকলকারখানা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। যে কারণে এ অঞ্চলের মানুষের বেকারত্ব বেশি, বিভাগটি আমরা পেলে বাড়বে কর্মসংস্থান। আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি হবে।’
ফরিদপুরকে বিভাগ ঘোষণার সিদ্ধান্তে সাধুবাদ জানিয়ে ফরিদপুরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল ফয়েজ শাহ নেওয়াজ বলেন, দেশ স্বাধীনের পর ফরিদপুর দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে। বিভাগ ঘোষণার পাশাপাশি এই অঞ্চলের শিক্ষার প্রসারে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনেরও দাবি জানান তিনি। বৃহত্তর ফরিদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীও।
এদিকে ফরিদপুর জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবজাল হোসেন খান পলাশের মতে, দেশের প্রাচীনতম একটি জেলার নাম বাদ দিয়ে নতুন নামে বিভাগ করা কতটা যৌক্তিক তা ভেবে দেখা উচিত। তিনিও এই অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। একই দাবি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন এবং জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শেখ শহিদুল ইসলামেরও।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাম নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন ফরিদপুরবাসী। কিবরিয়া স্বপন নামে যুবদলের এক নেতা লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগ-বিএনপি বুঝি না, আমাদের প্রিয় ফরিদপুরকে পদ্মায় বিসর্জন দিতে পারব না।’ মোহাম্মদ ফরহাদ মিয়া নামে একজন লিখেছেন, ‘ফরিদপুর নামে বিভাগ চাই, পদ্মা নামে দরকার নাই। সোনালি আঁশে ভরপুর, ভালোবাসি ফরিদপুর।’
কুমিল্লা: কুমিল্লা জেলায় মেঘনা নামে একটি উপজেলা আছে। জেলার একটি উপজেলার নামে বিভাগ না হয়ে কুমিল্লা নামে হলে ভালো হয়, বিভাগের নামকরণ প্রসঙ্গে এভাবেই নিজের মত জানালেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু জাফর। তাঁর মতো মনোভাব প্রকাশ করেছেন কুমিল্লার বেশির ভাগ মানুষ।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কুমিল্লার সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান বলেন, ‘কুমিল্লা বিভাগের দাবি ৬০ লাখ মানুষের। অন্য নামে বিভাগ হলে কুমিল্লার মানুষ মন থেকে মানবে না।’
যুদ্ধকালীন জেলা কমান্ডার ও কুমিল্লা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ওমর ফারুক বলেন, ‘আমাদের আকাঙ্ক্ষা, আমাদের স্বপ্ন কুমিল্লা নামেই বিভাগ হোক। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এটা আমাদের আবদার।’
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক নীতিশ সাহা বলেন, বিভাগের নাম মেঘনা হওয়ার খবরে আনন্দে বিষাদের ছায়া পড়েছে। কুমিল্লা নামে বিভাগ হলে ফেনী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আপত্তি নেই দাবি করে বিভাগের নাম বাছাই করতে প্রয়োজনে গণভোটের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি সানাউল হক বলেন, ‘ভারতবর্ষের অনেক জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তি কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেছেন। এ মহাদেশের মানুষগুলোর কাছে কুমিল্লা অনেক সুপরিচিতি একটি নাম। মাত্র একজন মোশতাক দিয়ে কুমিল্লার বিশাল ইতিহাস-ঐতিহ্য অমান্য করা যায় না। কুমিল্লা নামে বিভাগ করার জন্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আকুল আবেদন করছি।’
বিএমএ কুমিল্লার সভাপতি ডা. আবদুল বাকি আনিস বলেন, ‘মেঘনা হলো খুনি মোশতাকের সংসদীয় আসন। এ নামে আমরা বিভাগ চাই না।’
কুমিল্লা নামেই বিভাগ করার দাবি জানিয়েছেন জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মিজানুর রহমান, আবৃত্তি জোট কুমিল্লার সভাপতি বদরুল হুদা জেনু, সাপ্তাহিক অভিবাদন সম্পাদক আবুল হাসানাত বাবুলসহ অনেকে। কুমিল্লার বেশির ভাগ মানুষের ধারণা, তাঁদের দাবির কথা চিন্তা করে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লা নামেই বিভাগ দেবেন।
পদ্মা ও মেঘনা নামে নতুন দুই বিভাগের নামকরণের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর পরামর্শে কুমিল্লা ও আশপাশের জেলা নিয়ে মেঘনা নদীর নামে এবং ফরিদপুর ও আশপাশের এলাকা নিয়ে পদ্মা নদীর নামে বিভাগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হতে পারেনি ফরিদপুর ও কুমিল্লার মানুষ। এ বিষয়ে তারা সরাসরি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদও জানিয়েছেন অনেকে। নামকরণ নিয়ে অসন্তুষ্টি থাকলেও বিভাগ ঘোষণার খবরে উৎফুল্ল প্রায় সবাই। বিভাগ হওয়ার পর স্থানীয় পর্যায়ে সুযোগ-সুবিধা ও সম্ভাবনা বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফরিদপুর: ফরিদপুর সচেতন নাগরিক কমিটির কমিটির সভাপতি শিপ্রাগো স্বামী বলেন, ফরিদপুর নামে হলে বেশি খুশি হতাম। তারপরও বিভাগ হলে এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে সেটাও বা কম কিসে।
একই মত ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমানেরও। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ফরিদপুর অঞ্চলের মানুষ শিল্পকলকারখানা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। যে কারণে এ অঞ্চলের মানুষের বেকারত্ব বেশি, বিভাগটি আমরা পেলে বাড়বে কর্মসংস্থান। আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি হবে।’
ফরিদপুরকে বিভাগ ঘোষণার সিদ্ধান্তে সাধুবাদ জানিয়ে ফরিদপুরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল ফয়েজ শাহ নেওয়াজ বলেন, দেশ স্বাধীনের পর ফরিদপুর দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে। বিভাগ ঘোষণার পাশাপাশি এই অঞ্চলের শিক্ষার প্রসারে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনেরও দাবি জানান তিনি। বৃহত্তর ফরিদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীও।
এদিকে ফরিদপুর জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবজাল হোসেন খান পলাশের মতে, দেশের প্রাচীনতম একটি জেলার নাম বাদ দিয়ে নতুন নামে বিভাগ করা কতটা যৌক্তিক তা ভেবে দেখা উচিত। তিনিও এই অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। একই দাবি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন এবং জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শেখ শহিদুল ইসলামেরও।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাম নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন ফরিদপুরবাসী। কিবরিয়া স্বপন নামে যুবদলের এক নেতা লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগ-বিএনপি বুঝি না, আমাদের প্রিয় ফরিদপুরকে পদ্মায় বিসর্জন দিতে পারব না।’ মোহাম্মদ ফরহাদ মিয়া নামে একজন লিখেছেন, ‘ফরিদপুর নামে বিভাগ চাই, পদ্মা নামে দরকার নাই। সোনালি আঁশে ভরপুর, ভালোবাসি ফরিদপুর।’
কুমিল্লা: কুমিল্লা জেলায় মেঘনা নামে একটি উপজেলা আছে। জেলার একটি উপজেলার নামে বিভাগ না হয়ে কুমিল্লা নামে হলে ভালো হয়, বিভাগের নামকরণ প্রসঙ্গে এভাবেই নিজের মত জানালেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু জাফর। তাঁর মতো মনোভাব প্রকাশ করেছেন কুমিল্লার বেশির ভাগ মানুষ।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কুমিল্লার সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান বলেন, ‘কুমিল্লা বিভাগের দাবি ৬০ লাখ মানুষের। অন্য নামে বিভাগ হলে কুমিল্লার মানুষ মন থেকে মানবে না।’
যুদ্ধকালীন জেলা কমান্ডার ও কুমিল্লা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ওমর ফারুক বলেন, ‘আমাদের আকাঙ্ক্ষা, আমাদের স্বপ্ন কুমিল্লা নামেই বিভাগ হোক। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এটা আমাদের আবদার।’
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক নীতিশ সাহা বলেন, বিভাগের নাম মেঘনা হওয়ার খবরে আনন্দে বিষাদের ছায়া পড়েছে। কুমিল্লা নামে বিভাগ হলে ফেনী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আপত্তি নেই দাবি করে বিভাগের নাম বাছাই করতে প্রয়োজনে গণভোটের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি সানাউল হক বলেন, ‘ভারতবর্ষের অনেক জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তি কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেছেন। এ মহাদেশের মানুষগুলোর কাছে কুমিল্লা অনেক সুপরিচিতি একটি নাম। মাত্র একজন মোশতাক দিয়ে কুমিল্লার বিশাল ইতিহাস-ঐতিহ্য অমান্য করা যায় না। কুমিল্লা নামে বিভাগ করার জন্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আকুল আবেদন করছি।’
বিএমএ কুমিল্লার সভাপতি ডা. আবদুল বাকি আনিস বলেন, ‘মেঘনা হলো খুনি মোশতাকের সংসদীয় আসন। এ নামে আমরা বিভাগ চাই না।’
কুমিল্লা নামেই বিভাগ করার দাবি জানিয়েছেন জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মিজানুর রহমান, আবৃত্তি জোট কুমিল্লার সভাপতি বদরুল হুদা জেনু, সাপ্তাহিক অভিবাদন সম্পাদক আবুল হাসানাত বাবুলসহ অনেকে। কুমিল্লার বেশির ভাগ মানুষের ধারণা, তাঁদের দাবির কথা চিন্তা করে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লা নামেই বিভাগ দেবেন।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে