শামিমুজ্জামান, খুলনা
নির্মাণের ১০ বছরেও পূর্ণতা পায়নি খুলনা মহানগরী সংলগ্ন গল্লামারি বধ্যভূমির স্মৃতিসৌধ। এর কোনো সীমানা প্রাচীর নেই। রাতের আঁধারে এখানে বসে বখাটেদের আড্ডা। এ নিয়ে সচেতন মহল ও মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, গল্লামারি বধ্যভূমি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন। ওই সময় পাক সেনা কিংবা তাদের দোসর রাজাকার ও আলবদরেরা মুক্তিকামী মানুষদের ধরে এখানে এনে হত্যা করতো। এই সব মানুষের স্মরণে বটিয়াঘাটা উপজেলার গল্লামারী বধ্যভূমির তিন একর জমিতে ক্ষুদ্র পরিসরে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয় ১৯৯৫ সালে। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে পূর্ণাঙ্গ স্মৃতিসৌধ নির্মাণের কাজ শুরু করে খুলনা জেলা পরিষদ।
২০১১ সালে ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বর্তমান স্মৃতিসৌধটি উদ্বোধন করা হয়। ওই সময় মাস্টারপ্ল্যানের মধ্যে ছিল সীমানা প্রাচীর, লাইব্রেরি, অ্যাপ্রোচ রোড, পার্কিং ইয়ার্ড, সীমানা প্রাচীর, গেট, গার্ড ও ওয়েটিং রুম, রেস্টুরেন্ট, বৃক্ষরোপণ ও ফুলের বাগান তৈরি, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন ও ফোয়ারা। কিন্তু গত ১০ বছরের মধ্যে তার কিছুই হয়নি।
এই নিয়ে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ। এ ব্যাপারে খুলনা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের কমান্ডার অধ্যাপক মো. আলমগীর কবির বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানে স্বাধীনতাকামী হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির মুখে এখানে ১৯৯৫ সালে ক্ষুদ্র পরিসরে স্মৃতিসৌধ হয়। ২০১১ সালে স্মৃতিসৌধটি উদ্বোধন করা হয়। তবে মাস্টার প্ল্যান অনুয়ায়ী সবকিছু বাস্তবায়ন হয়নি এখনো।
কবে হবে তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। জমি নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি পানি জমি। এখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা মানুষ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন। এখানে নেই রেস্ট হাউস। হয়নি লাইব্রেরি। সীমানা প্রাচীর নেই। রাতের আঁধারে বখাটেরা আড্ডা দেয় এই পবিত্র ভূমিতে।
এদিকে খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের কমান্ডার সরদার মাহবুবর রহমান বলেন, বধ্যভূমি আরও দৃষ্টিনন্দন করা যেতো। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতার কারণে তা হয়নি। তিনি বধ্যভূমির মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের দাবি জানান। তিনি আরও বলেন, রাতে এখানে বখাটেরা আড্ডা দেয়। এমন খবর শুনলে খারাপ লাগে।
স্থানীয় ফজলুল হক বলেন, সীমানা প্রাচীর না থাকায় স্মৃতিসৌধ চত্বরে অনাকাঙ্ক্ষিত লোকজনের পদচারণা, গবাদি পশু চারণ এবং মাদকসেবীদের আড্ডায় সৌধের পরিবেশ ও পরিচ্ছন্নতা নষ্ট হচ্ছে। এখানে থাকা উন্মুক্ত মঞ্চটি এখন আর ব্যবহার উপযোগী নেই। মেঝে ফেটে গেছে। মঞ্চ দেয়ালটিও খসে পড়ছে।
অপরদিকে জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ পূর্ণাঙ্গতার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলা পরিষদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
অপরদিকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশিদ বলেন, ২ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়ে আরও ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৪৯৪ টাকা যোগ করে মূল স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। নকশা অনুযায়ী বাকি কাজ সম্পন্ন করতে আরও ৯ কোটি টাকা প্রয়োজন। এ অর্থ পেলে সৌধটির পূর্ণতা দেওয়া সম্ভব হবে। এখানে সীমানা প্রাচীর দিতে না পারায় মাদকসেবীদের আড্ডা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধটি পূর্ণাঙ্গতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিতে আনতে পারলে এটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
নির্মাণের ১০ বছরেও পূর্ণতা পায়নি খুলনা মহানগরী সংলগ্ন গল্লামারি বধ্যভূমির স্মৃতিসৌধ। এর কোনো সীমানা প্রাচীর নেই। রাতের আঁধারে এখানে বসে বখাটেদের আড্ডা। এ নিয়ে সচেতন মহল ও মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, গল্লামারি বধ্যভূমি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন। ওই সময় পাক সেনা কিংবা তাদের দোসর রাজাকার ও আলবদরেরা মুক্তিকামী মানুষদের ধরে এখানে এনে হত্যা করতো। এই সব মানুষের স্মরণে বটিয়াঘাটা উপজেলার গল্লামারী বধ্যভূমির তিন একর জমিতে ক্ষুদ্র পরিসরে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয় ১৯৯৫ সালে। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে পূর্ণাঙ্গ স্মৃতিসৌধ নির্মাণের কাজ শুরু করে খুলনা জেলা পরিষদ।
২০১১ সালে ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বর্তমান স্মৃতিসৌধটি উদ্বোধন করা হয়। ওই সময় মাস্টারপ্ল্যানের মধ্যে ছিল সীমানা প্রাচীর, লাইব্রেরি, অ্যাপ্রোচ রোড, পার্কিং ইয়ার্ড, সীমানা প্রাচীর, গেট, গার্ড ও ওয়েটিং রুম, রেস্টুরেন্ট, বৃক্ষরোপণ ও ফুলের বাগান তৈরি, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন ও ফোয়ারা। কিন্তু গত ১০ বছরের মধ্যে তার কিছুই হয়নি।
এই নিয়ে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ। এ ব্যাপারে খুলনা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের কমান্ডার অধ্যাপক মো. আলমগীর কবির বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানে স্বাধীনতাকামী হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির মুখে এখানে ১৯৯৫ সালে ক্ষুদ্র পরিসরে স্মৃতিসৌধ হয়। ২০১১ সালে স্মৃতিসৌধটি উদ্বোধন করা হয়। তবে মাস্টার প্ল্যান অনুয়ায়ী সবকিছু বাস্তবায়ন হয়নি এখনো।
কবে হবে তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। জমি নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি পানি জমি। এখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা মানুষ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন। এখানে নেই রেস্ট হাউস। হয়নি লাইব্রেরি। সীমানা প্রাচীর নেই। রাতের আঁধারে বখাটেরা আড্ডা দেয় এই পবিত্র ভূমিতে।
এদিকে খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের কমান্ডার সরদার মাহবুবর রহমান বলেন, বধ্যভূমি আরও দৃষ্টিনন্দন করা যেতো। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতার কারণে তা হয়নি। তিনি বধ্যভূমির মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের দাবি জানান। তিনি আরও বলেন, রাতে এখানে বখাটেরা আড্ডা দেয়। এমন খবর শুনলে খারাপ লাগে।
স্থানীয় ফজলুল হক বলেন, সীমানা প্রাচীর না থাকায় স্মৃতিসৌধ চত্বরে অনাকাঙ্ক্ষিত লোকজনের পদচারণা, গবাদি পশু চারণ এবং মাদকসেবীদের আড্ডায় সৌধের পরিবেশ ও পরিচ্ছন্নতা নষ্ট হচ্ছে। এখানে থাকা উন্মুক্ত মঞ্চটি এখন আর ব্যবহার উপযোগী নেই। মেঝে ফেটে গেছে। মঞ্চ দেয়ালটিও খসে পড়ছে।
অপরদিকে জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ পূর্ণাঙ্গতার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলা পরিষদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
অপরদিকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশিদ বলেন, ২ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়ে আরও ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৪৯৪ টাকা যোগ করে মূল স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। নকশা অনুযায়ী বাকি কাজ সম্পন্ন করতে আরও ৯ কোটি টাকা প্রয়োজন। এ অর্থ পেলে সৌধটির পূর্ণতা দেওয়া সম্ভব হবে। এখানে সীমানা প্রাচীর দিতে না পারায় মাদকসেবীদের আড্ডা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধটি পূর্ণাঙ্গতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিতে আনতে পারলে এটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে