সম্পাদকীয়
গাড়ির মালিকানা যারই হোক না কেন, সেগুলো থাকবে কার অধিকারে, সেটা জানতে হলে আপনাদের পড়তে হবে আজকের পত্রিকার বুধবারের মূল খবরটি। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যা ঘটছে, তার একটাই নাম হতে পারে—জোর যার মুল্লুক তার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৩১টি গাড়ি নাকি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কিন্তু এ ব্যাপারে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে বলে মনে হয় না। তাই হয়তো দিনের পর দিন চকচকে গাড়িগুলো ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করছেন এই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শুধু কি তাই! বছরে এই গাড়িগুলোর জন্য খরচ হয় ২ কোটি টাকা। সেই টাকা দিতে হয় অধিদপ্তরকেই!
যে গাড়িগুলোর যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে, তার মধ্যে ক্যারিবয়, পাজেরোর সংখ্যাই বেশি। এই অরাজকতা ঠেকানো যাঁদের দায়িত্ব, তাঁরা যদি নিজেদের দায়িত্ব পালন না করেন, তাহলে বাইরে থেকে কথা বলে কোনো কাজ হবে না। চক্ষুলজ্জা থাকলে অধিদপ্তরের গাড়িকে ব্যক্তিগত গাড়ির মতো কেউ ব্যবহার করতে পারেন না। বুঝতে হবে, যাঁরা এই গাড়িগুলো দখলে রেখেছেন, তাঁদের বেশির ভাগই সরকারি আমলা। তাঁদের মধ্যে আবার নিম্নপদস্থ কর্মচারীও রয়েছেন। আমরা যদি এখন কঠোর কিছু শব্দ লিখে নিজেদের দায়িত্ব পালন করা হয়েছে বলে মনে করি, তাহলে আসলে নিজেদেরই ফাঁকি দেওয়া হবে।
রাজনৈতিক নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে আমলাতন্ত্রের শিকড় অনেক গভীরে চলে যায়। জনগণের সেবক তখন হয়ে যান জনগণের চালক। আমাদের দেশে সরকারি আমলাদের দাপট কেমন, সেটা যেকোনো ভুক্তভোগীই বলতে পারবেন। বর্তমান কালে আমলারাই সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী—এ কথা বললে মনে হয় খুব বেশি বাড়িয়ে বলা হয় না। কর্মজীবনে তাঁরা যত রকমের সুযোগ-সুবিধা পান, তা বিস্ময়কর। ব্রিটিশ আমল থেকেই আমলারা এই অগ্রাধিকার পেয়ে আসছেন। একবার দেশভাগ হলো, একবার দেশ স্বাধীন হলো, অথচ আমলাতন্ত্র রয়ে গেল আগের মতোই। জনগণের সেবক আর হলেন না তাঁরা। রাষ্ট্রের কার্যাবলি সম্পাদন করার ক্ষেত্রে আমলারা যে সুযোগ ও ক্ষমতা ভোগ করেন, তাতে বোঝা যায়, এই ব্যক্তিরা কর্মক্ষেত্রে রাজার ক্ষমতাপ্রাপ্ত।
সাধারণভাবেই যখন তাঁদের হাতে অপার ক্ষমতা, তখন অধিদপ্তরের গাড়ি কেন মন্ত্রণালয়ের বড়-ছোট আমলারা ব্যবহার করেন, সেই প্রশ্ন তুলবে কে? ‘সরকার কা মাল, দরিয়া মে ঢাল’ বলে একটি প্রবাদের কথা আমরা জানি। এর সঙ্গে যোগ করা যায়, ‘সরকারের মাল হলেই আমলাদের তা ব্যবহারের অধিকার রয়েছে। কেউ যেন সে ব্যাপারে
টুঁ শব্দটি না করে।’
শুধু তো একটি মন্ত্রণালয়ের কথা উঠে এসেছে খবরে। সবগুলো মন্ত্রণালয়ে খবর নিলে দেখা যাবে, প্রায় সবখানেই সততার অভাব। যে যার মতো করে অনৈতিকভাবে ক্ষমতা ভোগ করে যাচ্ছে। এর প্রতিকার করতে পারে রাজনৈতিক নেতৃত্বই। কিন্তু নানা কারণে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এই আমলাতন্ত্রের কাছে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় থাকে বলে প্রতিকার হয় না। এই প্রবণতার অবসান দরকার।
গাড়ির মালিকানা যারই হোক না কেন, সেগুলো থাকবে কার অধিকারে, সেটা জানতে হলে আপনাদের পড়তে হবে আজকের পত্রিকার বুধবারের মূল খবরটি। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যা ঘটছে, তার একটাই নাম হতে পারে—জোর যার মুল্লুক তার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৩১টি গাড়ি নাকি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কিন্তু এ ব্যাপারে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে বলে মনে হয় না। তাই হয়তো দিনের পর দিন চকচকে গাড়িগুলো ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করছেন এই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শুধু কি তাই! বছরে এই গাড়িগুলোর জন্য খরচ হয় ২ কোটি টাকা। সেই টাকা দিতে হয় অধিদপ্তরকেই!
যে গাড়িগুলোর যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে, তার মধ্যে ক্যারিবয়, পাজেরোর সংখ্যাই বেশি। এই অরাজকতা ঠেকানো যাঁদের দায়িত্ব, তাঁরা যদি নিজেদের দায়িত্ব পালন না করেন, তাহলে বাইরে থেকে কথা বলে কোনো কাজ হবে না। চক্ষুলজ্জা থাকলে অধিদপ্তরের গাড়িকে ব্যক্তিগত গাড়ির মতো কেউ ব্যবহার করতে পারেন না। বুঝতে হবে, যাঁরা এই গাড়িগুলো দখলে রেখেছেন, তাঁদের বেশির ভাগই সরকারি আমলা। তাঁদের মধ্যে আবার নিম্নপদস্থ কর্মচারীও রয়েছেন। আমরা যদি এখন কঠোর কিছু শব্দ লিখে নিজেদের দায়িত্ব পালন করা হয়েছে বলে মনে করি, তাহলে আসলে নিজেদেরই ফাঁকি দেওয়া হবে।
রাজনৈতিক নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে আমলাতন্ত্রের শিকড় অনেক গভীরে চলে যায়। জনগণের সেবক তখন হয়ে যান জনগণের চালক। আমাদের দেশে সরকারি আমলাদের দাপট কেমন, সেটা যেকোনো ভুক্তভোগীই বলতে পারবেন। বর্তমান কালে আমলারাই সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী—এ কথা বললে মনে হয় খুব বেশি বাড়িয়ে বলা হয় না। কর্মজীবনে তাঁরা যত রকমের সুযোগ-সুবিধা পান, তা বিস্ময়কর। ব্রিটিশ আমল থেকেই আমলারা এই অগ্রাধিকার পেয়ে আসছেন। একবার দেশভাগ হলো, একবার দেশ স্বাধীন হলো, অথচ আমলাতন্ত্র রয়ে গেল আগের মতোই। জনগণের সেবক আর হলেন না তাঁরা। রাষ্ট্রের কার্যাবলি সম্পাদন করার ক্ষেত্রে আমলারা যে সুযোগ ও ক্ষমতা ভোগ করেন, তাতে বোঝা যায়, এই ব্যক্তিরা কর্মক্ষেত্রে রাজার ক্ষমতাপ্রাপ্ত।
সাধারণভাবেই যখন তাঁদের হাতে অপার ক্ষমতা, তখন অধিদপ্তরের গাড়ি কেন মন্ত্রণালয়ের বড়-ছোট আমলারা ব্যবহার করেন, সেই প্রশ্ন তুলবে কে? ‘সরকার কা মাল, দরিয়া মে ঢাল’ বলে একটি প্রবাদের কথা আমরা জানি। এর সঙ্গে যোগ করা যায়, ‘সরকারের মাল হলেই আমলাদের তা ব্যবহারের অধিকার রয়েছে। কেউ যেন সে ব্যাপারে
টুঁ শব্দটি না করে।’
শুধু তো একটি মন্ত্রণালয়ের কথা উঠে এসেছে খবরে। সবগুলো মন্ত্রণালয়ে খবর নিলে দেখা যাবে, প্রায় সবখানেই সততার অভাব। যে যার মতো করে অনৈতিকভাবে ক্ষমতা ভোগ করে যাচ্ছে। এর প্রতিকার করতে পারে রাজনৈতিক নেতৃত্বই। কিন্তু নানা কারণে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এই আমলাতন্ত্রের কাছে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় থাকে বলে প্রতিকার হয় না। এই প্রবণতার অবসান দরকার।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে