তাহিরপুরে বোরো ধানের ফলন বাড়ানোসহ একযোগে কাটার লক্ষ্যে সমলয় চাষাবাদের জন্য ট্রে পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করছেন কৃষকেরা। ভালো মানের চারা উৎপাদনে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এই প্রথমবার ট্রেতে বীজ বপন করছেন তাঁরা।

উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বিন্নাকুলী এলাকায় দেখা যায় এ বীজতলা তৈরির এক ভিন্ন চিত্র। এ সময় উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারাও উপস্থিত থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেন।

উপজেলা কৃষি সূত্রমতে, বর্তমানে মানুষ বাড়লেও, বাড়ছে না কৃষিজমি। স্বল্প জমিতে বেশি ধান উৎপাদন করে খাদ্যের চাহিদা পূরণ করা বেশ দুরূহ ব্যাপার। তাই কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এ উপজেলায় প্রথমবারের মতো উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

এরই মধ্যে সরকারি কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় কৃষকেরা নতুন মাত্রায় ট্রেতে বীজতলা তৈরি শুরু করেছেন। তাঁরা যন্ত্র দিয়ে মাটিভর্তি ট্রেতে বপন করছেন জনকরাজ জাতের বীজ ধান।

বিন্নাকুলী গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বোরো চাষাবাদে আগে কখনো ট্রেতে ধানের চারা উৎপাদন করা হয়নি। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় এই প্রথমে ট্রেতে বীজ বপন করা হচ্ছে। তাঁদের পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়তো ভালো চারা ও অধিক ফলন নেওয়া যেতে পারে।’

বাদাঘাট ইউনিয়ন ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আবুল হাসান বলেন, বোরো ধান সমলয় চাষাবাদের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ৩০০ কেজির জনকরাজ বীজতলা তৈরির লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এটি অর্জনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

সমলয় চাষাবাদ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান উদ দৌলা জানান, সমকালে ঘটিত বা একযোগে কৃষকের ফসল উৎপাদনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ ছাড়া এ কার্যক্রমে সহজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকদের অধিক ফলন ঘরে তোলা সম্ভব।