ইমতিয়াজ আহমেদ, শিবচর (মাদারীপুর)
ছয়বারের এমপি তিনি। এর মধ্যে ১৯৯১ সাল থেকে টানা পাঁচবার। নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনের কারণেই ৩১ বছর ধরে শিবচর নিয়ে তেমন ভাবতে হয়নি আওয়ামী লীগকে। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাতিজা জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ লিটনকে সামনে রেখেই আগামী জাতীয় নির্বাচনের দল সাজাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আর মতভেদের কারণে এখনো দল গোছাতে পারেনি বিএনপি। বাকি দলগুলোকে মাঠেই দেখা যাচ্ছে না।
পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ বিধৌত জনপদ শিবচর। মূলত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগনে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর (দাদাভাই) হাত ধরেই এ এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আওয়ামী চেতনা তৈরি হয়। নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়ে। এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টি এবং এর পর থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপি। তবে বিপুল ভোটের ব্যবধানেই আওয়ামী লীগের কাছে বরাবর পরাজিত হয়েছে তারা।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত শিবচরে ইতিপূর্বে জাতীয়ভাবে যে দলই সরকার গঠন করেছে, সব সময় আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছে। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসনটিতে আওয়ামী লীগের বিকল্প হিসেবে ভোটাররা অন্য কোনো দলকে ভাবতে পারেন না। শিবচরের উন্নয়নের দিক বিবেচনায় দলটির কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।
আওয়ামী লীগ থেকে একমাত্র নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনই মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন একাধিক নেতা। বিএনপি এখনো নির্বাচন নিয়ে তেমন তৎপর না হলেও আলোচনায় আছেন বেশ কয়েকজন নেতা। দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন গত নির্বাচনে অংশ নেওয়া সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলু, আবু জাফর চৌধুরী ও চৌধুরী নাদিরা আক্তার। জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন মো. জহিরুল ইসলাম মিন্টু।
নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনকে ঘিরেই শিবচর আওয়ামী লীগের রাজনীতি। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পদ-পদবি নিয়ে কোনো মতবিরোধ নেই। ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে দলের জন্য সবাই একত্র হয়ে কাজ করছেন বলে উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিম বলেন, একসময় শিবচরে সরকারি কর্মকর্তারা কেউ আসতে চাইতেন না। রাস্তাঘাট ছিল না। এখন শিবচরে এলেই চোখ জুড়িয়ে যায়।
অন্যদিকে শিবচর উপজেলা বিএনপিতে মতপার্থক্য প্রবলভাবে বিদ্যমান। বেশ কয়েকজন নেতা নিজস্ব মতানুযায়ী দলীয় কর্মসূচি পালন করে থাকেন। মতপার্থক্য থাকার কারণে উপজেলা পর্যায়ে দলটি সুসংগঠিত হতে পারছে না। সম্প্রতি জাতীয় সম্মেলন ঘিরে চাঙা হতে চেষ্টা করছে শিবচর উপজেলা বিএনপি।
তবে দীর্ঘ ছয় বছরেও উপজেলা বিএনপির কোনো কমিটি গঠিত হয়নি। একাধিক ভাগে ভাগ হয়ে দলীয় নানা কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করছেন নেতারা। উপজেলায় দলের এই অবস্থা থেকে বের হয়ে এসে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে কাজ করার প্রত্যাশা একাধিক বিএনপি নেতার।
মাঠের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের পরেই বিএনপির অবস্থান। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে কমিটিবিহীন উপজেলা বিএনপিতে সভাপতি পদের প্রত্যাশী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে কমপক্ষে পাঁচজনের। তাঁরাই দলীয় কর্মসূচিসহ বিভিন্ন সময় বিএনপির কর্মসূচি-মিটিং-দিবস উদ্যাপন ভিন্ন ভিন্নভাবে করে থাকেন। প্রত্যেকেরই আলাদা করে কর্মী-সমর্থক রয়েছে।
জানতে চাইলে গত সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলু বলেন, ‘উপজেলা বিএনপিসহ সব অঙ্গসংগঠনের কমিটি গঠন খুবই জরুরি। আমরা কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম নাজমুল হুদা চৌধুরী মিঠুর সহধর্মিণী চৌধুরী নাদিরা আক্তার বলেন, ‘আমি ছয় বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি। তবে উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির কোনো কমিটি নেই। তৃণমূলেও কোনো কমিটি নেই। কমিটি গঠন হলে সবাই একত্র হয়ে কাজ করা যেত।’
জাতীয় পার্টি থেকে গত নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মাদারীপুর জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম মিন্টু। আগামী নির্বাচনেও তিনি এ আসনে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানান। জহিরুল ইসলাম মিন্টু বলেন, সবকিছু দলের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।
ছয়বারের এমপি তিনি। এর মধ্যে ১৯৯১ সাল থেকে টানা পাঁচবার। নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনের কারণেই ৩১ বছর ধরে শিবচর নিয়ে তেমন ভাবতে হয়নি আওয়ামী লীগকে। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাতিজা জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ লিটনকে সামনে রেখেই আগামী জাতীয় নির্বাচনের দল সাজাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আর মতভেদের কারণে এখনো দল গোছাতে পারেনি বিএনপি। বাকি দলগুলোকে মাঠেই দেখা যাচ্ছে না।
পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ বিধৌত জনপদ শিবচর। মূলত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগনে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর (দাদাভাই) হাত ধরেই এ এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আওয়ামী চেতনা তৈরি হয়। নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়ে। এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টি এবং এর পর থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপি। তবে বিপুল ভোটের ব্যবধানেই আওয়ামী লীগের কাছে বরাবর পরাজিত হয়েছে তারা।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত শিবচরে ইতিপূর্বে জাতীয়ভাবে যে দলই সরকার গঠন করেছে, সব সময় আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছে। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসনটিতে আওয়ামী লীগের বিকল্প হিসেবে ভোটাররা অন্য কোনো দলকে ভাবতে পারেন না। শিবচরের উন্নয়নের দিক বিবেচনায় দলটির কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।
আওয়ামী লীগ থেকে একমাত্র নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনই মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন একাধিক নেতা। বিএনপি এখনো নির্বাচন নিয়ে তেমন তৎপর না হলেও আলোচনায় আছেন বেশ কয়েকজন নেতা। দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন গত নির্বাচনে অংশ নেওয়া সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলু, আবু জাফর চৌধুরী ও চৌধুরী নাদিরা আক্তার। জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন মো. জহিরুল ইসলাম মিন্টু।
নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনকে ঘিরেই শিবচর আওয়ামী লীগের রাজনীতি। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পদ-পদবি নিয়ে কোনো মতবিরোধ নেই। ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে দলের জন্য সবাই একত্র হয়ে কাজ করছেন বলে উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিম বলেন, একসময় শিবচরে সরকারি কর্মকর্তারা কেউ আসতে চাইতেন না। রাস্তাঘাট ছিল না। এখন শিবচরে এলেই চোখ জুড়িয়ে যায়।
অন্যদিকে শিবচর উপজেলা বিএনপিতে মতপার্থক্য প্রবলভাবে বিদ্যমান। বেশ কয়েকজন নেতা নিজস্ব মতানুযায়ী দলীয় কর্মসূচি পালন করে থাকেন। মতপার্থক্য থাকার কারণে উপজেলা পর্যায়ে দলটি সুসংগঠিত হতে পারছে না। সম্প্রতি জাতীয় সম্মেলন ঘিরে চাঙা হতে চেষ্টা করছে শিবচর উপজেলা বিএনপি।
তবে দীর্ঘ ছয় বছরেও উপজেলা বিএনপির কোনো কমিটি গঠিত হয়নি। একাধিক ভাগে ভাগ হয়ে দলীয় নানা কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করছেন নেতারা। উপজেলায় দলের এই অবস্থা থেকে বের হয়ে এসে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে কাজ করার প্রত্যাশা একাধিক বিএনপি নেতার।
মাঠের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের পরেই বিএনপির অবস্থান। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে কমিটিবিহীন উপজেলা বিএনপিতে সভাপতি পদের প্রত্যাশী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে কমপক্ষে পাঁচজনের। তাঁরাই দলীয় কর্মসূচিসহ বিভিন্ন সময় বিএনপির কর্মসূচি-মিটিং-দিবস উদ্যাপন ভিন্ন ভিন্নভাবে করে থাকেন। প্রত্যেকেরই আলাদা করে কর্মী-সমর্থক রয়েছে।
জানতে চাইলে গত সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলু বলেন, ‘উপজেলা বিএনপিসহ সব অঙ্গসংগঠনের কমিটি গঠন খুবই জরুরি। আমরা কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম নাজমুল হুদা চৌধুরী মিঠুর সহধর্মিণী চৌধুরী নাদিরা আক্তার বলেন, ‘আমি ছয় বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি। তবে উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির কোনো কমিটি নেই। তৃণমূলেও কোনো কমিটি নেই। কমিটি গঠন হলে সবাই একত্র হয়ে কাজ করা যেত।’
জাতীয় পার্টি থেকে গত নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মাদারীপুর জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম মিন্টু। আগামী নির্বাচনেও তিনি এ আসনে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানান। জহিরুল ইসলাম মিন্টু বলেন, সবকিছু দলের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে