সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
বেড়ানোর নাম করে চট্টগ্রাম নগরীতে এসে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে আটজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের বাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায়। গত বৃহস্পতিবার ডবলমুরিং এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে পুলিশ। পরে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়ার হাসান মাহমুদ (৪০), ঢাকার মিরপুরের আনোয়ার হোসেন সোহাগ (৩৫), লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের মো. আব্দুল মতিন (৫০), রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গাঁওপাড়ার হামিদুল ইসলাম হামজা (২২), মাদারীপুর জেলা সদরের সুমন আল হাসান (২৬), চট্টগ্রামে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটার মো. আব্দুল কাদের (৫০) এবং রাউজান উপজেলার কদলপুর গ্রামের দুই সহোদর মো. রানা (২৭) ও মো. বাবলু (২৭)।
পুলিশ জানায়, নির্দিষ্ট সময় পরপর তাঁরা চট্টগ্রাম শহরে জড়ো হতেন। বেড়ানোর ছলে শহরে এসে জড়িয়ে পড়তেন ছিনতাই, ডাকাতি ও পকেট কাটার মতো অপরাধে। পরে ভাগের টাকা নিয়ে ফিরে যেতেন নিজ নিজ এলাকায়।
ডবলমুরিং থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর দেওয়ানহাট মোড়ের পোস্টার পাড় জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় ডাকাতির চেষ্টার সময় তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি স্টিলের টিপ ছোরা, ১৪টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন ও নগদ ১৫ হাজার ৭০০ টাকা জব্দ হয়। এ ঘটনায় মামলার পর তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং) মো. আরিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসামিরা ছিনতাই, ডাকাতি, পকেটমারিসহ নানা অপরাধে জড়িত। মাস দু-এক আগেও এই গ্যাংয়ের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জামিনে বেরিয়ে পরে তাঁরা আবারও এসব অপকর্মে লিপ্ত হন।
পুলিশের ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) তথ্য অনুযায়ী, হাসান মাহমুদের বিরুদ্ধে গত বছর সিএমপির ডবলমুরিং থানায় একটি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) দুটি ও নারায়ণগঞ্জে দুটি মামলা রয়েছে। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যাচেষ্টা ও দ্রুত বিচার আইনে এসব মামলা হয়েছে। সুমন আল হাসানের বিরুদ্ধে গাজীপুর ও ডিএমপিতে তিনটি মামলা রয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, খুলশী থানায় একটি করে মামলা রয়েছে।
নেতৃত্বে দুই সহোদর: এই চক্রটির নেতৃত্ব দেন দুই সহোদর মো. রানা (২৭) এবং মো. বাবলু (২৭)। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা পেশাদার অপরাধী। নগরীর হালিশহরে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। চট্টগ্রামের বাইরে থাকা আসা অন্যদের তাঁরা হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করেন। সস্তার আবাসিক হোটেলে কক্ষ ভাড়া নিতেন তাঁরা। সেখান থেকেই সময়-সুযোগ বুঝে তাঁরা নগরীতে বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়াতেন।
উকিল খরচ জোগাতে ছিনতাই: গত বছরের ১০ নভেম্বর ডবলমুরিং এলাকায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা হাসান মাহমুদ। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছিল আব্দুল কাদেরও। তখন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হাসান মাহমুদ বলেছিলেন, একটি মামলার তারিখ ছিল। তাই তিনি চট্টগ্রামে আসেন। একপর্যায়ে পুলিশের কাছে তিনি দাবি করেন, মামলার খরচের কিছু টাকা জোগাড় করার জন্য ছিনতাই করেন তিনি। উকিলকে খরচ দিয়ে নিজ বাড়িতে চলে যেতেন বলেও দাবি করেন হাসান।
সৌদিতে ধরা: এই চক্রটির বয়স্ক সদস্য আব্দুল কাদের জেলার কর্ণফুলী উপজেলার বাসিন্দা। ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি চুরিতে জড়িত বলে জানায় পুলিশ। তাদের ভাষ্য, আব্দুল কাদের একসময় সৌদি আরবে থাকতেন। সেখানে চুরি করতে গিয়ে একবার ধরা পড়েন তিনি। পরে কাদেরের হাতের তিনটি আঙুল কেটে ফেলা হয়। এরপর দেশে ফিরে আসেন।
সিএমপির সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং) মো. আরিফ হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জানা গেছে, চক্রটির সদস্যরা চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন শুধুমাত্র এসব অপকর্ম করতে।
বেড়ানোর নাম করে চট্টগ্রাম নগরীতে এসে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে আটজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের বাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায়। গত বৃহস্পতিবার ডবলমুরিং এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে পুলিশ। পরে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়ার হাসান মাহমুদ (৪০), ঢাকার মিরপুরের আনোয়ার হোসেন সোহাগ (৩৫), লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের মো. আব্দুল মতিন (৫০), রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গাঁওপাড়ার হামিদুল ইসলাম হামজা (২২), মাদারীপুর জেলা সদরের সুমন আল হাসান (২৬), চট্টগ্রামে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটার মো. আব্দুল কাদের (৫০) এবং রাউজান উপজেলার কদলপুর গ্রামের দুই সহোদর মো. রানা (২৭) ও মো. বাবলু (২৭)।
পুলিশ জানায়, নির্দিষ্ট সময় পরপর তাঁরা চট্টগ্রাম শহরে জড়ো হতেন। বেড়ানোর ছলে শহরে এসে জড়িয়ে পড়তেন ছিনতাই, ডাকাতি ও পকেট কাটার মতো অপরাধে। পরে ভাগের টাকা নিয়ে ফিরে যেতেন নিজ নিজ এলাকায়।
ডবলমুরিং থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর দেওয়ানহাট মোড়ের পোস্টার পাড় জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় ডাকাতির চেষ্টার সময় তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি স্টিলের টিপ ছোরা, ১৪টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন ও নগদ ১৫ হাজার ৭০০ টাকা জব্দ হয়। এ ঘটনায় মামলার পর তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং) মো. আরিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসামিরা ছিনতাই, ডাকাতি, পকেটমারিসহ নানা অপরাধে জড়িত। মাস দু-এক আগেও এই গ্যাংয়ের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জামিনে বেরিয়ে পরে তাঁরা আবারও এসব অপকর্মে লিপ্ত হন।
পুলিশের ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) তথ্য অনুযায়ী, হাসান মাহমুদের বিরুদ্ধে গত বছর সিএমপির ডবলমুরিং থানায় একটি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) দুটি ও নারায়ণগঞ্জে দুটি মামলা রয়েছে। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যাচেষ্টা ও দ্রুত বিচার আইনে এসব মামলা হয়েছে। সুমন আল হাসানের বিরুদ্ধে গাজীপুর ও ডিএমপিতে তিনটি মামলা রয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, খুলশী থানায় একটি করে মামলা রয়েছে।
নেতৃত্বে দুই সহোদর: এই চক্রটির নেতৃত্ব দেন দুই সহোদর মো. রানা (২৭) এবং মো. বাবলু (২৭)। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা পেশাদার অপরাধী। নগরীর হালিশহরে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। চট্টগ্রামের বাইরে থাকা আসা অন্যদের তাঁরা হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করেন। সস্তার আবাসিক হোটেলে কক্ষ ভাড়া নিতেন তাঁরা। সেখান থেকেই সময়-সুযোগ বুঝে তাঁরা নগরীতে বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়াতেন।
উকিল খরচ জোগাতে ছিনতাই: গত বছরের ১০ নভেম্বর ডবলমুরিং এলাকায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা হাসান মাহমুদ। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছিল আব্দুল কাদেরও। তখন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হাসান মাহমুদ বলেছিলেন, একটি মামলার তারিখ ছিল। তাই তিনি চট্টগ্রামে আসেন। একপর্যায়ে পুলিশের কাছে তিনি দাবি করেন, মামলার খরচের কিছু টাকা জোগাড় করার জন্য ছিনতাই করেন তিনি। উকিলকে খরচ দিয়ে নিজ বাড়িতে চলে যেতেন বলেও দাবি করেন হাসান।
সৌদিতে ধরা: এই চক্রটির বয়স্ক সদস্য আব্দুল কাদের জেলার কর্ণফুলী উপজেলার বাসিন্দা। ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি চুরিতে জড়িত বলে জানায় পুলিশ। তাদের ভাষ্য, আব্দুল কাদের একসময় সৌদি আরবে থাকতেন। সেখানে চুরি করতে গিয়ে একবার ধরা পড়েন তিনি। পরে কাদেরের হাতের তিনটি আঙুল কেটে ফেলা হয়। এরপর দেশে ফিরে আসেন।
সিএমপির সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং) মো. আরিফ হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জানা গেছে, চক্রটির সদস্যরা চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন শুধুমাত্র এসব অপকর্ম করতে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে