খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
খাগড়াছড়িতে আমন ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। জেলার সমতল ভূমিতে আমনের প্রচুর ফলন হয়েছে। মাঠে এখন পাকা ধানের সুবাস বইছে। ধান মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কিষানিরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম পাওয়ায় খুশি নন কৃষকেরা। মাঠপর্যায়ে ধানের ‘ন্যায্য’ দাম না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তাঁরা। জেলা সদর, মাটিরাঙ্গা, দীঘিনালা উপজেলার কৃষকপর্যায়ে কথা বললে এই অবস্থা জানা গেছে।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় ২৮ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। ফলনও ভালো। প্রতি হেক্টরে উফশী জাতের ফলন হয়েছে প্রায় ৪ মেট্রিক টন এবং হাইব্রিড ৬ মেট্রিক টন।
কৃষকদের অভিযোগ—ধানের বীজ, কীটনাশক, সারের দাম বৃদ্ধি ও শ্রমিককে বাড়তি মজুরি দিতে হয়েছে। এতে মণপ্রতি ধান উৎপাদনে খরচ কমপক্ষে সাড়ে ৮০০ টাকা। এ কারণে ধানের দাম মণপ্রতি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৭০০ টাকায়। এতে মণপ্রতি ক্ষতি ১৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত।
দীঘিনালার সুধীর মেম্বারপাড়ার কৃষক সুধীর বিশ্বাস বলেন, ‘চলতি মৌসুমে ৫ কানি জমিতে আমনের চাষ করেছি। যেভাবে ফলন হয়েছে, তা মোটামুটি ভালো। তবে দাম কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়। অথচ প্রতি মণ ধানের দাম ১ হাজার ১০০ টাকা হওয়া দরকার।’
একই এলাকার আয়নাল হক বলেন, ধানের মণপ্রতি উৎপাদন খরচ ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা অথচ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বেশি, কিন্তু ধানের দাম কম। মিলারেরা ইচ্ছেমতো ধান কেনেন।
কৃষক শ্যামচরণ দাশ বলেন, ‘যে হারে ফলন হয়েছে, সেই হারে ধানের মূল্য পাচ্ছি না। একটা কামলার দৈনিক মজুরি ৬০০ টাকা। অথচ ধানের মণ ৭০০ টাকা।’
একই এলাকার কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ‘ধানের চাষ করেছি, ফলন ভালো হয়েছে। তবে সারের দাম বেশি। হালচাষ ও কামলার দাম বেশি। এখন আমাদের ধান চাষ করে পোষায় না।’
খাগড়াছড়ির ধান ব্যবসায়ী সেলিম, বাচ্চু সওদাগর জানান, এখন বাজারে ধান কেনা শুরু হয়েছে। তবে ধান ভালো করে না শুকানোর কারণে কেনাবেচা কম হচ্ছে। প্রতি মণ ধান কেনাবেচা হচ্ছে ৭০০ থেকে সাড়ে ৭০০ টাকায়। বাজারে ধানের জোগান বাড়লে দাম আরও কমে যাবে।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. শফি উদ্দিন বলেন, এখনো কৃষক ধান কাটা শেষ করেননি। আমরা আশা করছি, ধানের দাম আরও বাড়বে। ইতিমধ্যে সরকার পরিকল্পনা করেছে কৃষক থেকে ধান কিনবে; তখন তাঁরা ন্যায্যমূল্য পাবেন। আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে সরকারিভাবে ধান ক্রয় শুরু হবে।
খাগড়াছড়িতে আমন ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। জেলার সমতল ভূমিতে আমনের প্রচুর ফলন হয়েছে। মাঠে এখন পাকা ধানের সুবাস বইছে। ধান মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কিষানিরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম পাওয়ায় খুশি নন কৃষকেরা। মাঠপর্যায়ে ধানের ‘ন্যায্য’ দাম না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তাঁরা। জেলা সদর, মাটিরাঙ্গা, দীঘিনালা উপজেলার কৃষকপর্যায়ে কথা বললে এই অবস্থা জানা গেছে।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় ২৮ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। ফলনও ভালো। প্রতি হেক্টরে উফশী জাতের ফলন হয়েছে প্রায় ৪ মেট্রিক টন এবং হাইব্রিড ৬ মেট্রিক টন।
কৃষকদের অভিযোগ—ধানের বীজ, কীটনাশক, সারের দাম বৃদ্ধি ও শ্রমিককে বাড়তি মজুরি দিতে হয়েছে। এতে মণপ্রতি ধান উৎপাদনে খরচ কমপক্ষে সাড়ে ৮০০ টাকা। এ কারণে ধানের দাম মণপ্রতি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৭০০ টাকায়। এতে মণপ্রতি ক্ষতি ১৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত।
দীঘিনালার সুধীর মেম্বারপাড়ার কৃষক সুধীর বিশ্বাস বলেন, ‘চলতি মৌসুমে ৫ কানি জমিতে আমনের চাষ করেছি। যেভাবে ফলন হয়েছে, তা মোটামুটি ভালো। তবে দাম কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়। অথচ প্রতি মণ ধানের দাম ১ হাজার ১০০ টাকা হওয়া দরকার।’
একই এলাকার আয়নাল হক বলেন, ধানের মণপ্রতি উৎপাদন খরচ ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা অথচ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বেশি, কিন্তু ধানের দাম কম। মিলারেরা ইচ্ছেমতো ধান কেনেন।
কৃষক শ্যামচরণ দাশ বলেন, ‘যে হারে ফলন হয়েছে, সেই হারে ধানের মূল্য পাচ্ছি না। একটা কামলার দৈনিক মজুরি ৬০০ টাকা। অথচ ধানের মণ ৭০০ টাকা।’
একই এলাকার কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ‘ধানের চাষ করেছি, ফলন ভালো হয়েছে। তবে সারের দাম বেশি। হালচাষ ও কামলার দাম বেশি। এখন আমাদের ধান চাষ করে পোষায় না।’
খাগড়াছড়ির ধান ব্যবসায়ী সেলিম, বাচ্চু সওদাগর জানান, এখন বাজারে ধান কেনা শুরু হয়েছে। তবে ধান ভালো করে না শুকানোর কারণে কেনাবেচা কম হচ্ছে। প্রতি মণ ধান কেনাবেচা হচ্ছে ৭০০ থেকে সাড়ে ৭০০ টাকায়। বাজারে ধানের জোগান বাড়লে দাম আরও কমে যাবে।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. শফি উদ্দিন বলেন, এখনো কৃষক ধান কাটা শেষ করেননি। আমরা আশা করছি, ধানের দাম আরও বাড়বে। ইতিমধ্যে সরকার পরিকল্পনা করেছে কৃষক থেকে ধান কিনবে; তখন তাঁরা ন্যায্যমূল্য পাবেন। আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে সরকারিভাবে ধান ক্রয় শুরু হবে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৯ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১১ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে