রবিউল আলম, ঢাকা
নোয়াখালী সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফিরোজ আলম ২০১৭ সালের প্রথম দিকে স্নাতক প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে চার বছর মেয়াদি স্নাতক শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০২২ সালে এসেও এই শিক্ষার্থী এখনো স্নাতক শেষ করতে পারেননি। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর স্নাতক চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয় ফিরোজের। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি এই পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চলমান সব পরীক্ষা স্থগিত করেছে। এতে ফিরোজসহ তাঁর শিক্ষাবর্ষের প্রায় ২ লাখ ৩৬ হাজার শিক্ষার্থী বিপাকে পড়েছেন।
স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ছাড়াও ২ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ৪ লাখ ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীর এবং ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালের এলএলবি প্রথম পর্বের পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণায় এখন এসব শিক্ষার্থীও বিপাকে পড়েছেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা এলেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল খোলা রেখে সেশনজট নিরসনে সশরীরে পরীক্ষা নেবে বলে জানিয়েছে। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সে পথে না হেঁটে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ফিরোজ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় তিন বছর এই পরীক্ষার অপেক্ষায় ছিলাম। এর আগে অনেক আন্দোলনের পর এই পরীক্ষা ডিসেম্বরে শুরু হয়েছে। এখন আবার হুটহাট সিদ্ধান্তে সেই পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেল। এদিকে ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনের শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি। আমরা আসলে যাব কোথায়?’
আল-আমিন নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল পরীক্ষাটা শেষ হলে পরিবারের হাল ধরব। কিন্তু পরীক্ষা কখন শেষ হবে, নিজেও জানি না। আর কতকাল পরিবারকে অপেক্ষা করাব? এখন কাউকে চেহারা দেখাতেও লজ্জা লাগে।’
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর শুরু হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ স্নাতক চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা। ইতিমধ্যে ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাকি তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা যথাক্রমে ২৩, ২৭ ও ৩১ জানুয়ারি হওয়ার কথা ছিল। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এই পরীক্ষাগুলো স্থগিত হয়েছে। স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাজশাহী, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি হয়েছে।
এ ব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অবস্থাটা ভিন্ন। আমাদের লাখ লাখ শিক্ষার্থী সারা দেশে পরীক্ষা দিয়ে থাকে। যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাত্র দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ, তারপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে আমরা পরীক্ষা নিয়ে নেব। কমসংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিলে বিষয়টি ভাবতে পারতাম। কিন্তু এত এত শিক্ষার্থীর মধ্যে কেউ যদি আক্রান্ত হয়ে কিছু হয়ে যায়, তাহলে তার দায়ভার কে নেবে?’
সাত কলেজের পরীক্ষা চলবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের আর মাত্র একটি পরীক্ষা বাকি ছিল। শনিবার তাঁদের শেষ পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তাঁরা জানতে পারেন, পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আগাম নোটিশ ছাড়াই চলমান পরীক্ষা হঠাৎ স্থগিতের প্রতিবাদে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলন শুরু করেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে সাত কলেজের পরীক্ষা চলবে বলে জানানো হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজ কর্তৃপক্ষের অনলাইন সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। তিনি বলেন, অনলাইন বৈঠকে পরীক্ষা চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ সেশনজট নিরসনের জন্যই এই সিদ্ধান্ত ৷
নোয়াখালী সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফিরোজ আলম ২০১৭ সালের প্রথম দিকে স্নাতক প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে চার বছর মেয়াদি স্নাতক শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০২২ সালে এসেও এই শিক্ষার্থী এখনো স্নাতক শেষ করতে পারেননি। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর স্নাতক চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয় ফিরোজের। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি এই পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চলমান সব পরীক্ষা স্থগিত করেছে। এতে ফিরোজসহ তাঁর শিক্ষাবর্ষের প্রায় ২ লাখ ৩৬ হাজার শিক্ষার্থী বিপাকে পড়েছেন।
স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ছাড়াও ২ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ৪ লাখ ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীর এবং ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালের এলএলবি প্রথম পর্বের পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণায় এখন এসব শিক্ষার্থীও বিপাকে পড়েছেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা এলেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল খোলা রেখে সেশনজট নিরসনে সশরীরে পরীক্ষা নেবে বলে জানিয়েছে। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সে পথে না হেঁটে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ফিরোজ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় তিন বছর এই পরীক্ষার অপেক্ষায় ছিলাম। এর আগে অনেক আন্দোলনের পর এই পরীক্ষা ডিসেম্বরে শুরু হয়েছে। এখন আবার হুটহাট সিদ্ধান্তে সেই পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেল। এদিকে ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনের শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি। আমরা আসলে যাব কোথায়?’
আল-আমিন নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল পরীক্ষাটা শেষ হলে পরিবারের হাল ধরব। কিন্তু পরীক্ষা কখন শেষ হবে, নিজেও জানি না। আর কতকাল পরিবারকে অপেক্ষা করাব? এখন কাউকে চেহারা দেখাতেও লজ্জা লাগে।’
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর শুরু হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ স্নাতক চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা। ইতিমধ্যে ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাকি তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা যথাক্রমে ২৩, ২৭ ও ৩১ জানুয়ারি হওয়ার কথা ছিল। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এই পরীক্ষাগুলো স্থগিত হয়েছে। স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাজশাহী, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি হয়েছে।
এ ব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অবস্থাটা ভিন্ন। আমাদের লাখ লাখ শিক্ষার্থী সারা দেশে পরীক্ষা দিয়ে থাকে। যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাত্র দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ, তারপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে আমরা পরীক্ষা নিয়ে নেব। কমসংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিলে বিষয়টি ভাবতে পারতাম। কিন্তু এত এত শিক্ষার্থীর মধ্যে কেউ যদি আক্রান্ত হয়ে কিছু হয়ে যায়, তাহলে তার দায়ভার কে নেবে?’
সাত কলেজের পরীক্ষা চলবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের আর মাত্র একটি পরীক্ষা বাকি ছিল। শনিবার তাঁদের শেষ পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তাঁরা জানতে পারেন, পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আগাম নোটিশ ছাড়াই চলমান পরীক্ষা হঠাৎ স্থগিতের প্রতিবাদে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলন শুরু করেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে সাত কলেজের পরীক্ষা চলবে বলে জানানো হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজ কর্তৃপক্ষের অনলাইন সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। তিনি বলেন, অনলাইন বৈঠকে পরীক্ষা চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ সেশনজট নিরসনের জন্যই এই সিদ্ধান্ত ৷
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১১ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৩ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে