গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে করতোয়া নদীর অন্তত ৩০টি স্থানে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলার কারণে ভাঙছে নদীর পাড়। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও বিভিন্ন এলাকার সড়ক।
অবাধে বালু তোলায় হুমকিতে কাটাখালি ব্রিজ, বাঁধ ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ছাড়াও নানা স্থাপনা।
অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে নদী দখল করে বালু তুলছেন অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা। তাঁদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মী ও প্রভাবশালীরা জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
আর তাতে স্থানীয়রা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। মাঝেমধ্যে প্রশাসন অভিযান চালালেও বালু তোলা বন্ধ না হচ্ছ না। এ ক্ষেত্রে উপেক্ষা করা হচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালির নির্মাণাধীন ব্রিজের পূর্ব পাশে নদীতে তিনটি ড্রেজার বসিয়ে বালু তোলা হচ্ছে।
ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে সমসপাড়া গ্রামের একাধিক স্থান থেকে। শুধু কাটাখালি ব্রিজ ও সমসপাড়া নয়, করতোয়া নদীর ৩০টি স্থানে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। সবচেয়ে বেশি বালু তোলা হচ্ছে হচ্ছে পুলপাড়া, চকরহিমারপুর, বগুলাগাড়ী, খলসি, কাইয়াগঞ্জ, শাকপালা, কাটাখালি, ধর্মপুর ও ফুলবাড়ি এলাকায়।
কোথাও বড় ড্রেজার আবার কোথাও শক্তিশালী ভেকু মেশিন বসিয়ে দিনরাত বালু তুলছে স্থানীয় একটি চক্র। নদীতে বসানো ড্রেজারের সঙ্গে মোটা পাইপ লাগিয়ে বালু তুলে এক-দুই কিলোমিটার দূরে ফেলা হয়। বিভিন্ন মহলকে ‘ম্যানেজ’ করে বালু তোলার কথা স্বীকার করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বালু ব্যবসায়ী।
এলাকাবাসী জানান, বছরের পর বছর ধরে করতোয়া নদীর বিভিন্ন স্থানে চলছে বালু উত্তোলন। তবে মহাসড়কের ছয় লেনের কাজ শুরুর পর থেকে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বেড়েছে।
তাঁদের অভিযোগ, অবৈধ বালু ব্যবসার সঙ্গে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত।
মাঝেমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালালেও বালু উত্তোলন বন্ধ হয় না। এসব বালু ফসলি জমিসহ বিভিন্ন সড়কের পাশে স্তূপ করে রাখা হয়। বালু পরিবহনে দিনরাত ট্রাক্টর ও ট্রাক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বিকট শব্দ ও ধুলাবালিতে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদী থেকে তোলা বালু সরকারি-বেসরকারি অবকাঠামো নির্মাণ এবং রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের ছয় লেনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ভূমি মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এক বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সুশীল চন্দ্র সরকার। তিনি বলেন,
প্রশাসনের জোরালো পদক্ষেপ নেই। তাই বালু লুটের মহোৎসবে মেতেছে সংঘবদ্ধ চক্র। অবাধে বালু তোলার মাধ্যমে প্রভাবশালীদের পকেট ভারী হচ্ছে। কিন্তু বিপুল রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে নিজেদের নেওয়া পদক্ষেপের কথা জানিয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু সাঈদ বলেন, ‘গত পাঁচ মাসে করতোয়া নদীসহ বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৬০টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৫টি মামলায় বালু উত্তোলনে জড়িতদের নয় লাখ টাকার বেশি জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়েছে। স্থায়ীভাবে বালু তোলা বন্ধে সচেতন মহল, রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সদিচ্ছা প্রয়োজন বলে মন্তব্যও করেন তিনি
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বলেন, ‘বালু তোলা বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। জড়িতদের দণ্ড দেওয়া হচ্ছে, জরিমানা করা হচ্ছে। এরপরও চুরি করে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হচ্ছে যাচ্ছে না।’
ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব বালু উত্তোলন বন্ধের যে নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভূমি মন্ত্রণালয় যেভাবে প্রতিবেদন চেয়েছিল আমরা সেভাবে প্রতিবেদন দিয়েছি। সেখানে উল্লেখ করেছি, জোরালো অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হবে।’
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে করতোয়া নদীর অন্তত ৩০টি স্থানে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলার কারণে ভাঙছে নদীর পাড়। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও বিভিন্ন এলাকার সড়ক।
অবাধে বালু তোলায় হুমকিতে কাটাখালি ব্রিজ, বাঁধ ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ছাড়াও নানা স্থাপনা।
অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে নদী দখল করে বালু তুলছেন অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা। তাঁদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মী ও প্রভাবশালীরা জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
আর তাতে স্থানীয়রা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। মাঝেমধ্যে প্রশাসন অভিযান চালালেও বালু তোলা বন্ধ না হচ্ছ না। এ ক্ষেত্রে উপেক্ষা করা হচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালির নির্মাণাধীন ব্রিজের পূর্ব পাশে নদীতে তিনটি ড্রেজার বসিয়ে বালু তোলা হচ্ছে।
ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে সমসপাড়া গ্রামের একাধিক স্থান থেকে। শুধু কাটাখালি ব্রিজ ও সমসপাড়া নয়, করতোয়া নদীর ৩০টি স্থানে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। সবচেয়ে বেশি বালু তোলা হচ্ছে হচ্ছে পুলপাড়া, চকরহিমারপুর, বগুলাগাড়ী, খলসি, কাইয়াগঞ্জ, শাকপালা, কাটাখালি, ধর্মপুর ও ফুলবাড়ি এলাকায়।
কোথাও বড় ড্রেজার আবার কোথাও শক্তিশালী ভেকু মেশিন বসিয়ে দিনরাত বালু তুলছে স্থানীয় একটি চক্র। নদীতে বসানো ড্রেজারের সঙ্গে মোটা পাইপ লাগিয়ে বালু তুলে এক-দুই কিলোমিটার দূরে ফেলা হয়। বিভিন্ন মহলকে ‘ম্যানেজ’ করে বালু তোলার কথা স্বীকার করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বালু ব্যবসায়ী।
এলাকাবাসী জানান, বছরের পর বছর ধরে করতোয়া নদীর বিভিন্ন স্থানে চলছে বালু উত্তোলন। তবে মহাসড়কের ছয় লেনের কাজ শুরুর পর থেকে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বেড়েছে।
তাঁদের অভিযোগ, অবৈধ বালু ব্যবসার সঙ্গে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত।
মাঝেমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালালেও বালু উত্তোলন বন্ধ হয় না। এসব বালু ফসলি জমিসহ বিভিন্ন সড়কের পাশে স্তূপ করে রাখা হয়। বালু পরিবহনে দিনরাত ট্রাক্টর ও ট্রাক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বিকট শব্দ ও ধুলাবালিতে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদী থেকে তোলা বালু সরকারি-বেসরকারি অবকাঠামো নির্মাণ এবং রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের ছয় লেনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ভূমি মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এক বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সুশীল চন্দ্র সরকার। তিনি বলেন,
প্রশাসনের জোরালো পদক্ষেপ নেই। তাই বালু লুটের মহোৎসবে মেতেছে সংঘবদ্ধ চক্র। অবাধে বালু তোলার মাধ্যমে প্রভাবশালীদের পকেট ভারী হচ্ছে। কিন্তু বিপুল রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে নিজেদের নেওয়া পদক্ষেপের কথা জানিয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু সাঈদ বলেন, ‘গত পাঁচ মাসে করতোয়া নদীসহ বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৬০টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৫টি মামলায় বালু উত্তোলনে জড়িতদের নয় লাখ টাকার বেশি জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়েছে। স্থায়ীভাবে বালু তোলা বন্ধে সচেতন মহল, রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সদিচ্ছা প্রয়োজন বলে মন্তব্যও করেন তিনি
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বলেন, ‘বালু তোলা বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। জড়িতদের দণ্ড দেওয়া হচ্ছে, জরিমানা করা হচ্ছে। এরপরও চুরি করে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হচ্ছে যাচ্ছে না।’
ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব বালু উত্তোলন বন্ধের যে নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভূমি মন্ত্রণালয় যেভাবে প্রতিবেদন চেয়েছিল আমরা সেভাবে প্রতিবেদন দিয়েছি। সেখানে উল্লেখ করেছি, জোরালো অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৪ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৭ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে