আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ
দুর্নীতির দায়ে বদরগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের নকল নবিশ মনিরুল ইসলাম মুন্না ও হাফিজুর রহমান চাকরিচ্যুত হয়েছেন। তবে প্রতি দলিলে ১ হাজার ২০০ টাকা করে ঘুষ আদায় অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবরেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান কাজীর পক্ষে নকলনবিশ আনোয়ার ও অফিস পিয়ন মোস্তফার মাধ্যমে এই টাকা নেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, সাবরেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে জেলা রেজিস্ট্রারকে দিয়ে মনিরুল ও হাফিজুরকে চাকরিচ্যুতির ব্যবস্থা করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তাঁরা অফিসের পিয়ন, মোহরার ও অফিস সহকারীকে সাংবাদিকের ভয় দেখিয়ে কোনো কাজ করতে দেন না। এ ছাড়া রাজনৈতিক প্রভাবে অফিস চত্বরে দোকান বসিয়ে টাকা আদায় করতেন। মনিরুল দলিলের নম্বর বসার সময়ে জমি গ্রহীতার কাছ থেকে টাকা নিতেন।
তবে দুজন নিজেদের নির্দোষ দাবি করে জানান, সাবরেজিস্ট্রার নিজের অপকর্ম ঢাকতে তাঁদের চাকরিচ্যুত করার ব্যবস্থা করেন। মনিরুল বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে নিবন্ধক অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক বরাবর একটি অভিযোগ করা হয়। অভিযোগে স্বাক্ষর ছিল মতিয়ার নামে একজনের। তিনি অফিসের সব কর্মচারী ও নকল নবিশের পক্ষে ওই অভিযোগ দায়ের করেন। তবে মতিয়ার নামে অফিসে কেউ নেই। এটি একটি উড়ন্ত চিঠি। সেটির তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছিলেন রংপুরের পীরগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রার খালেদা সুলতানা।’
মনিরুল আরও বলেন, ‘শুধু সাবরেজিস্ট্রারের নির্দেশে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে নিতাম। আদায়ের তিন ভাগের দুই ভাগ টাকা সাবরেজিস্ট্রার নিতেন। তা ছাড়া অন্য অভিযোগগুলো ছিল মিথ্যা। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে তো আগে সাবরেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি।’
এদিকে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, প্রতি দলিলে ১ হাজার ২০০ টাকা করে আদায় চালিয়ে যাচ্ছেন সাবরেজিস্ট্রার। এ সুযোগে দলিল লেখক সমিতির নেতারা ২ থেকে ৪ হাজার টাকা জমি গ্রহীতার কাছ থেকে সমিতির নামে আদায় করছেন। এসব টাকা দলিল লেখকের মাধ্যমে নেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করে একজন দলিল লেখক বলেন, ‘আমাদের দলিল লেখার সময় বাড়তি টাকা দলিল গ্রহীতার কাছ থেকে নিতে হয়। কারণ সাবরেজিস্ট্রার এবং সমিতির নেতাদের দিতে হয়। সাবরেজিস্ট্রারের নামে টাকা নকলনবিশ আনোয়ার আমাদের কাছ থেকে আদায় করেন।’
আনোয়ারের কাজ হলো বলাম বই লেখা। কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে, আনোয়ার ও পিয়ন মোস্তফা দলিল লেখকের দ্বারে দ্বারে ঘুরে টাকা আদায় করছেন। এ বিষয়ে তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গত বুধবার আমরুলবাড়ি গ্রামের নুর আলম ৮০ হাজার টাকার একটি দলিল করেন। দলিলে চালানসহ তাঁর সর্বোচ্চ খরচ হওয়ার কথা ৬ হাজার টাকা। কিন্তু দলিল লেখক মমদেল বাশার তাঁর কাছ থেকে নেন ৯ হাজার টাকা।
দলিল লেখককে বাড়তি টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে নুর আলম বলেন, ‘অফিসোত বলে খরচ লাগে। এই কথা বলে দলিল লেখক বেশি টাকা নিয়েছেন।’
এ বিষয়ে দলিল লেখক মমদেল বলেন, ‘পার্টিকে হিসাব দিয়ে টাকা নিয়েছি। টাকা নেওয়ার আগে দুই জায়গায় শুনে আমার কাছে এসেছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘অফিস খরচ কবলা দলিলে সাবরেজিস্ট্রারকে ১ হাজার ৪৪০ টাকা দিয়েছি।’
দুই দলিল লেখক জানান, টাকা না দিলে দলিল পার করার সময়ে লেখককে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। এই টাকার ভাগ পান অফিসের পিয়ন থেকে শুরু করে ওপর পর্যন্ত। এ কারণে সাবরেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে লেখালেখি করে লাভ হয় না।
যোগাযোগ করা হলে বদরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক চৌধুরী টুটুল বলেন, ‘সাবরেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আমার কাছেও আসে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’
তবে সাবরেজিস্ট্রার মিজানুর দাবি করেন, তিনি কারও কাছ থেকে টাকা নেন না। কিছু লোক তাঁর পেছনে লেগেছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে রংপর জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম প্রামানিক বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করেছেন মহাপরিদর্শক নিবন্ধক। এখানে কারও হাত নেই। তবে সাবরেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাইনি।’
দুর্নীতির দায়ে বদরগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের নকল নবিশ মনিরুল ইসলাম মুন্না ও হাফিজুর রহমান চাকরিচ্যুত হয়েছেন। তবে প্রতি দলিলে ১ হাজার ২০০ টাকা করে ঘুষ আদায় অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবরেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান কাজীর পক্ষে নকলনবিশ আনোয়ার ও অফিস পিয়ন মোস্তফার মাধ্যমে এই টাকা নেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, সাবরেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে জেলা রেজিস্ট্রারকে দিয়ে মনিরুল ও হাফিজুরকে চাকরিচ্যুতির ব্যবস্থা করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তাঁরা অফিসের পিয়ন, মোহরার ও অফিস সহকারীকে সাংবাদিকের ভয় দেখিয়ে কোনো কাজ করতে দেন না। এ ছাড়া রাজনৈতিক প্রভাবে অফিস চত্বরে দোকান বসিয়ে টাকা আদায় করতেন। মনিরুল দলিলের নম্বর বসার সময়ে জমি গ্রহীতার কাছ থেকে টাকা নিতেন।
তবে দুজন নিজেদের নির্দোষ দাবি করে জানান, সাবরেজিস্ট্রার নিজের অপকর্ম ঢাকতে তাঁদের চাকরিচ্যুত করার ব্যবস্থা করেন। মনিরুল বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে নিবন্ধক অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক বরাবর একটি অভিযোগ করা হয়। অভিযোগে স্বাক্ষর ছিল মতিয়ার নামে একজনের। তিনি অফিসের সব কর্মচারী ও নকল নবিশের পক্ষে ওই অভিযোগ দায়ের করেন। তবে মতিয়ার নামে অফিসে কেউ নেই। এটি একটি উড়ন্ত চিঠি। সেটির তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছিলেন রংপুরের পীরগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রার খালেদা সুলতানা।’
মনিরুল আরও বলেন, ‘শুধু সাবরেজিস্ট্রারের নির্দেশে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে নিতাম। আদায়ের তিন ভাগের দুই ভাগ টাকা সাবরেজিস্ট্রার নিতেন। তা ছাড়া অন্য অভিযোগগুলো ছিল মিথ্যা। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে তো আগে সাবরেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি।’
এদিকে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, প্রতি দলিলে ১ হাজার ২০০ টাকা করে আদায় চালিয়ে যাচ্ছেন সাবরেজিস্ট্রার। এ সুযোগে দলিল লেখক সমিতির নেতারা ২ থেকে ৪ হাজার টাকা জমি গ্রহীতার কাছ থেকে সমিতির নামে আদায় করছেন। এসব টাকা দলিল লেখকের মাধ্যমে নেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করে একজন দলিল লেখক বলেন, ‘আমাদের দলিল লেখার সময় বাড়তি টাকা দলিল গ্রহীতার কাছ থেকে নিতে হয়। কারণ সাবরেজিস্ট্রার এবং সমিতির নেতাদের দিতে হয়। সাবরেজিস্ট্রারের নামে টাকা নকলনবিশ আনোয়ার আমাদের কাছ থেকে আদায় করেন।’
আনোয়ারের কাজ হলো বলাম বই লেখা। কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে, আনোয়ার ও পিয়ন মোস্তফা দলিল লেখকের দ্বারে দ্বারে ঘুরে টাকা আদায় করছেন। এ বিষয়ে তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গত বুধবার আমরুলবাড়ি গ্রামের নুর আলম ৮০ হাজার টাকার একটি দলিল করেন। দলিলে চালানসহ তাঁর সর্বোচ্চ খরচ হওয়ার কথা ৬ হাজার টাকা। কিন্তু দলিল লেখক মমদেল বাশার তাঁর কাছ থেকে নেন ৯ হাজার টাকা।
দলিল লেখককে বাড়তি টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে নুর আলম বলেন, ‘অফিসোত বলে খরচ লাগে। এই কথা বলে দলিল লেখক বেশি টাকা নিয়েছেন।’
এ বিষয়ে দলিল লেখক মমদেল বলেন, ‘পার্টিকে হিসাব দিয়ে টাকা নিয়েছি। টাকা নেওয়ার আগে দুই জায়গায় শুনে আমার কাছে এসেছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘অফিস খরচ কবলা দলিলে সাবরেজিস্ট্রারকে ১ হাজার ৪৪০ টাকা দিয়েছি।’
দুই দলিল লেখক জানান, টাকা না দিলে দলিল পার করার সময়ে লেখককে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। এই টাকার ভাগ পান অফিসের পিয়ন থেকে শুরু করে ওপর পর্যন্ত। এ কারণে সাবরেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে লেখালেখি করে লাভ হয় না।
যোগাযোগ করা হলে বদরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক চৌধুরী টুটুল বলেন, ‘সাবরেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আমার কাছেও আসে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’
তবে সাবরেজিস্ট্রার মিজানুর দাবি করেন, তিনি কারও কাছ থেকে টাকা নেন না। কিছু লোক তাঁর পেছনে লেগেছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে রংপর জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম প্রামানিক বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করেছেন মহাপরিদর্শক নিবন্ধক। এখানে কারও হাত নেই। তবে সাবরেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাইনি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে