অন্যের পক্ষে কোরবানি করার বিধান

ইজাজুল হক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২২, ১৫: ১৪

প্রাপ্তবয়স্ক সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য কোরবানি ওয়াজিব। যে ব্যক্তি ১০ জিলহজ ফজরের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জাকাতের নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে, তাকে সামর্থ্যবান বিবেচনা করা হবে। এর বাইরে অন্যান্য লোকদের জন্য কোরবানি আবশ্যক নয়। তবে কেউ মানত করলে বা কোরবানি ওয়াজিব না হওয়া সত্ত্বেও কোরবানির নিয়তে পশু কিনে ফেললে তাকেও কোরবানি দিতে হবে।

নিজের কোরবানির পাশাপাশি অন্য ব্যক্তির জন্যও কোরবানি করা যাবে। কারও অবর্তমানে তার অনুমতি সাপেক্ষে তার জন্য কোরবানি করা যাবে। অবশ্য, স্ত্রী-সন্তানের পক্ষ থেকে অনুমতি ছাড়াও কোরবানি করা যাবে। বিশেষ করে, মৃত মা-বাবা কোরবানি করার অসিয়ত করে না গেলে তাঁদের জন্য কোরবানি করা মুস্তাহাব এবং সেই পশুর মাংস সবাই খেতে পারবে। আর অসিয়ত করে গেলে মাংস তাঁদের পরিবারের সদস্যরা খেতে পারবে না; গরিবদের খাওয়াতে হবে।

সামর্থ্যবান ব্যক্তিরা মহানবী (সা.)-এর জন্য কোরবানি করতে পারবে, এটি সৌভাগ্যের বিষয়। প্রবাসীরা নিজেদের বর্তমান অবস্থানেও কোরবানি করতে পারবে, আবার দেশেও পরিবারের সদস্য বা অন্য কারও মাধ্যমে কোরবানি করাতে পারবে। এ ছাড়া কোরবানি করার জন্য বিশ্বস্ত কোনো ব্যক্তি বা স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে কোরবানির টাকা দিয়ে দেওয়াও বৈধ। তারা কোরবানি করে মাংসগুলো দুস্থ-অসহায় মানুষের মধ্যে বণ্টন করে দেবে।

দূরের কারও পক্ষ থেকে কোরবানি দেওয়া হলে তার অবস্থানস্থলে কোরবানির দিন হলেই তার পক্ষ থেকে কোরবানি করা যাবে, এর আগে নয়। অবশ্য সে ঈদুল আজহার নামাজ পড়েছে কি পড়েনি, তা ধর্তব্য নয়। বরং পশু যেখানে আছে, সেখানে নামাজ সম্পন্ন হলেই পশু জবাই করা যাবে।

সূত্র: বিবিধ ফতোয়া গ্রন্থ

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত