ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এদিকে গ্রেপ্তারের ভয়ে অনেকেই এলাকা ছেড়েছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকা অনেকটাই পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্ত রঞ্জন রায় আজকের পত্রিকাকে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওসি চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, ‘গত সোমবার রাত ৯টার দিকে রুহিয়া থানার রাজাগাঁও ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ আসাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তৌকির আহম্মেদ বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। মামলার আরজিতে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের সময় সরকারি কর্মকর্তাকে বাধা প্রদান, আঘাত করাসহ সরকারি মালামাল লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে।’
গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজাগাঁও ইউনিয়নের আসাননগর এলাকা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকায় শুধু নারী, বৃদ্ধ ও শিশুরা আছে। শীতের সকালে চায়ের দোকান ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে যে আড্ডা হচ্ছিল, তাও নেই।
রফিকুল ইসলাম নামে স্থানীয় একজন বলেন, ‘মামলার খবর শোনার পর থেকে এলাকার মানুষের মাঝে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকা অনেকটা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আসাননগর গ্রামের এক নারী বলেন, ‘মামলার কথা শুনে বাড়ির পুরুষেরা পালিয়ে আছে। এদিকে বাড়িতে বাজার-সদাই নেই। সমস্যায় আছি। ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমরা আতঙ্কে আছি।’
একই এলাকার নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক নারী বলেন, ‘আমার স্বামী রিকশা চালিয়ে সংসার চালায়। ভোটের দিন মারামারির সময় আমরা পরিবারের কোনো সদস্যই যাইনি। পরে শুনেছি সবার নামে মামলা হয়েছে। এখন আমার স্বামী গ্রেপ্তারের ভয়ে বাসায় থাকে না। তিন সন্তান নিয়ে এখন আমি কিভাবে সংসার চালাই বলেন? খুব খারাপ অবস্থায় আছি।’
তবে রুহিয়া থানার ওসি চিত্ত রঞ্জন রায় বলেন, ‘তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদেরই গ্রেপ্তার করা হবে। কাউকে হয়রানি করা হবে না।’
প্রসঙ্গত, গত রোববার চতুর্থ দফা নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২০টি ইউপিতে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ আসাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রের দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই হামিদুর রহমান নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। হামিদুর আসাননগর গ্রামের বাসিন্দা।
নিহত হামিদুরের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী কোনো প্রার্থীর সমর্থক বা কর্মী ছিলেন না। শেষ মুহূর্তে ভোটের ফলাফল জানতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।’
এ বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান বলেন, ‘উত্তেজিত জনতাকে নিবৃত্ত করার জন্য পুলিশ গুলি ছোড়ে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এদিকে গ্রেপ্তারের ভয়ে অনেকেই এলাকা ছেড়েছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকা অনেকটাই পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্ত রঞ্জন রায় আজকের পত্রিকাকে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওসি চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, ‘গত সোমবার রাত ৯টার দিকে রুহিয়া থানার রাজাগাঁও ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ আসাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তৌকির আহম্মেদ বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। মামলার আরজিতে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের সময় সরকারি কর্মকর্তাকে বাধা প্রদান, আঘাত করাসহ সরকারি মালামাল লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে।’
গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজাগাঁও ইউনিয়নের আসাননগর এলাকা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকায় শুধু নারী, বৃদ্ধ ও শিশুরা আছে। শীতের সকালে চায়ের দোকান ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে যে আড্ডা হচ্ছিল, তাও নেই।
রফিকুল ইসলাম নামে স্থানীয় একজন বলেন, ‘মামলার খবর শোনার পর থেকে এলাকার মানুষের মাঝে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকা অনেকটা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আসাননগর গ্রামের এক নারী বলেন, ‘মামলার কথা শুনে বাড়ির পুরুষেরা পালিয়ে আছে। এদিকে বাড়িতে বাজার-সদাই নেই। সমস্যায় আছি। ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমরা আতঙ্কে আছি।’
একই এলাকার নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক নারী বলেন, ‘আমার স্বামী রিকশা চালিয়ে সংসার চালায়। ভোটের দিন মারামারির সময় আমরা পরিবারের কোনো সদস্যই যাইনি। পরে শুনেছি সবার নামে মামলা হয়েছে। এখন আমার স্বামী গ্রেপ্তারের ভয়ে বাসায় থাকে না। তিন সন্তান নিয়ে এখন আমি কিভাবে সংসার চালাই বলেন? খুব খারাপ অবস্থায় আছি।’
তবে রুহিয়া থানার ওসি চিত্ত রঞ্জন রায় বলেন, ‘তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদেরই গ্রেপ্তার করা হবে। কাউকে হয়রানি করা হবে না।’
প্রসঙ্গত, গত রোববার চতুর্থ দফা নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২০টি ইউপিতে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ আসাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রের দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই হামিদুর রহমান নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। হামিদুর আসাননগর গ্রামের বাসিন্দা।
নিহত হামিদুরের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী কোনো প্রার্থীর সমর্থক বা কর্মী ছিলেন না। শেষ মুহূর্তে ভোটের ফলাফল জানতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।’
এ বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান বলেন, ‘উত্তেজিত জনতাকে নিবৃত্ত করার জন্য পুলিশ গুলি ছোড়ে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৪ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৭ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে