মাসুদুর রহমান মাসুম, ঝিকরগাছা
ঝিকরগাছায় চলতি মৌসুমে আলুর ফলন বিপর্যয় হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় আলু চাষে কৃষকদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। উৎপাদন খরচও অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি হয়েছে। এতে প্রতি বিঘায় আলু চাষে ৫-৭ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের।
চাষিরা জানান, এ বছর চাষের শুরুতে দুই দফা ভারী বৃষ্টির কারণে অনেকেরই দুইবার করে বীজ লাগাতে হয়েছে। এতে যেমন পরিশ্রম হয়েছে তেমন অতিরিক্ত খরচও হয়েছে। কিন্তু মৌসুম শেষে আলুর দাম না পাওয়ায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তাঁদের। তবে গত এক সপ্তাহে পাইকারি বাজারে আলুর দাম একটু ভালো হওয়ায় লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, চলতি বছর এ উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা হয়েছিল ৪৬০ হেক্টর জমি। চাষ হয়েছে ৪১০ হেক্টর জমিতে। যেখানে গত বছর চাষ হয়েছিল ৪৫০ হেক্টর জমিতে। এরপরেও এ বছর আলুর দাম না থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন আলু চাষিরা।
আরও জানা যায়, এ বছর ডায়মন্ড ও কার্ডিনাল আলু বেশি চাষ হয়েছে। এসবের পাশাপাশি বেনেলা, মালটা, স্টিকসহ কয়েকটি জাতের আলু কমবেশি চাষ হয়েছে। পাইকারি বাজারে এসব আলুর দাম ভালো থাকলেও ফলন বিপর্যয়ের কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের।
কৃষকেরা জানান, আলু লাগানোর ৯০ দিন পর ওঠাতে হয়। তবে যারা বীজের জন্য চাষ করেন তাঁদের ৭৫ দিনের মাথায় ওঠাতে হয়। অবশ্য তাঁদের চাষ শুরু করতে হয় অপেক্ষাকৃত পরে। ইতিমধ্যে চাষিরা আলু ওঠাতে শুরু করেছেন। শুরুতে আলুর কাঙ্ক্ষিত দাম ছিল না তবে গত এক সপ্তাহে বাজারে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে লোকসানের পরিমাণ কিছুটা কমতে শুরু হয়েছে চাষিদের।
সরেজমিনে কথা হয় রাজাপুর গ্রামের আলু চাষি নুর বিল্লা লাভলুর সঙ্গে। তিনি বলেন, `এ বছর উপজেলার বল্লার মাঠে সাত বিঘা জমিতে ডায়মন্ড ও স্টিক জাতের আলু চাষ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে ৪০ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘায় আলুর গড় ফলন পেয়েছি ৬৫ মণ। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় বিশেষ করে চাষের শুরুতেই দুই দফা বৃষ্টিতে ফলন বিপর্যয়ের পাশাপাশি আলুতে দাগ ধরেছে।’
লাভলু আরও বলেন, `বর্তমান পাইকারি বাজারে প্রতি মণ আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। সে হিসেবে প্রতি বিঘা জমিতে ৫-৭ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।’
বোধখানা গ্রামের আলী হোসেন বলেন, `এ বছর নয় বিঘা জমিতে কার্ডিনাল জাতের আলু চাষ করেছি। অতিবৃষ্টির কারণে ফলন ভালো হয়নি। ইতিমধ্যে এক বিঘা জমির আলু তুলে ফলন পেয়েছি ৬০ মণ। যেখানে আবহাওয়া ভালো থাকলে ৯০-৯৫ মণ। প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১৫ টাকা। পাইকারি বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১২-১৩ টাকা করে। এ বছর দাম মোটামুটি ভালো থাকলেও ফলন কম পাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, `এ বছর অসময়ে কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে ফলন একটু কম হয়েছে। তবে দাম ভালো থাকায় কৃষকের ক্ষতির পরিমাণ সহনীয় পর্যায়ে আছে।’
ঝিকরগাছায় চলতি মৌসুমে আলুর ফলন বিপর্যয় হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় আলু চাষে কৃষকদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। উৎপাদন খরচও অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি হয়েছে। এতে প্রতি বিঘায় আলু চাষে ৫-৭ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের।
চাষিরা জানান, এ বছর চাষের শুরুতে দুই দফা ভারী বৃষ্টির কারণে অনেকেরই দুইবার করে বীজ লাগাতে হয়েছে। এতে যেমন পরিশ্রম হয়েছে তেমন অতিরিক্ত খরচও হয়েছে। কিন্তু মৌসুম শেষে আলুর দাম না পাওয়ায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তাঁদের। তবে গত এক সপ্তাহে পাইকারি বাজারে আলুর দাম একটু ভালো হওয়ায় লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, চলতি বছর এ উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা হয়েছিল ৪৬০ হেক্টর জমি। চাষ হয়েছে ৪১০ হেক্টর জমিতে। যেখানে গত বছর চাষ হয়েছিল ৪৫০ হেক্টর জমিতে। এরপরেও এ বছর আলুর দাম না থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন আলু চাষিরা।
আরও জানা যায়, এ বছর ডায়মন্ড ও কার্ডিনাল আলু বেশি চাষ হয়েছে। এসবের পাশাপাশি বেনেলা, মালটা, স্টিকসহ কয়েকটি জাতের আলু কমবেশি চাষ হয়েছে। পাইকারি বাজারে এসব আলুর দাম ভালো থাকলেও ফলন বিপর্যয়ের কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের।
কৃষকেরা জানান, আলু লাগানোর ৯০ দিন পর ওঠাতে হয়। তবে যারা বীজের জন্য চাষ করেন তাঁদের ৭৫ দিনের মাথায় ওঠাতে হয়। অবশ্য তাঁদের চাষ শুরু করতে হয় অপেক্ষাকৃত পরে। ইতিমধ্যে চাষিরা আলু ওঠাতে শুরু করেছেন। শুরুতে আলুর কাঙ্ক্ষিত দাম ছিল না তবে গত এক সপ্তাহে বাজারে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে লোকসানের পরিমাণ কিছুটা কমতে শুরু হয়েছে চাষিদের।
সরেজমিনে কথা হয় রাজাপুর গ্রামের আলু চাষি নুর বিল্লা লাভলুর সঙ্গে। তিনি বলেন, `এ বছর উপজেলার বল্লার মাঠে সাত বিঘা জমিতে ডায়মন্ড ও স্টিক জাতের আলু চাষ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে ৪০ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘায় আলুর গড় ফলন পেয়েছি ৬৫ মণ। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় বিশেষ করে চাষের শুরুতেই দুই দফা বৃষ্টিতে ফলন বিপর্যয়ের পাশাপাশি আলুতে দাগ ধরেছে।’
লাভলু আরও বলেন, `বর্তমান পাইকারি বাজারে প্রতি মণ আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। সে হিসেবে প্রতি বিঘা জমিতে ৫-৭ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।’
বোধখানা গ্রামের আলী হোসেন বলেন, `এ বছর নয় বিঘা জমিতে কার্ডিনাল জাতের আলু চাষ করেছি। অতিবৃষ্টির কারণে ফলন ভালো হয়নি। ইতিমধ্যে এক বিঘা জমির আলু তুলে ফলন পেয়েছি ৬০ মণ। যেখানে আবহাওয়া ভালো থাকলে ৯০-৯৫ মণ। প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১৫ টাকা। পাইকারি বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১২-১৩ টাকা করে। এ বছর দাম মোটামুটি ভালো থাকলেও ফলন কম পাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, `এ বছর অসময়ে কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে ফলন একটু কম হয়েছে। তবে দাম ভালো থাকায় কৃষকের ক্ষতির পরিমাণ সহনীয় পর্যায়ে আছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে