কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের দাঙ্গার বিল থেকে বালু লুট বন্ধ হয়নি। পরিবেশ-প্রতিবেশের তোয়াক্কা না করে একটি প্রভাবশালী চক্র প্রায় দেড় বছর ধরে এই বিল এবং আশপাশের পাহাড়ি টিলা কেটে মাটি ও বালু লুট করছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি চক্রটি পরিবেশ অধিদপ্তরে হাজির হয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায় স্বীকার করে জরিমানা দেয়। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে বালু উত্তোলন করবে না মর্মে অঙ্গীকার করে। তবে সেটি তারা মানছে না।
জানা গেছে, সম্প্রতি চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর এই চক্রের এমরানুল হক, সোনা মিয়া, নুরুন্নবী পুতু, শাহজাহান, সাইফুল এহেসান, আশরাফুল ইসলাম সজীবসহ ২৫ জনকে নোটিশ দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযুক্তদের ১৭ জন হাজির হয়ে দায় স্বীকার করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের জেব্রা পয়েন্ট-সংলগ্ন দাঙ্গার বিলের পরিবেশ-প্রতিবেশ ধ্বংস করে দুই লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করেছে। এ জন্য ২০ জনকে (প্রতিজনকে ৩০ হাজার টাকা) ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মুফিদুল আলম জরিমানা আদায়ের পর বালু উত্তোলনকারীদের চারটি নির্দেশনা দেন। নির্দেশনাগুলো হলো: আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে; কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে জড়িত থাকলে তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে হবে এবং তাদের নাম, ঠিকানা প্রকাশ করতে হবে; ওই এলাকায় বালু উত্তোলনের কোনো ধরনের সরঞ্জাম মজুত করা যাবে না এবং সাত দিনের মধ্যে এসব নির্দেশনা প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে জনপ্রতি দৈনিক ১০০০ টাকা হারে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের এ কার্যক্রমের ১২ দিন পরও অভিযুক্তরা এক দিনের জন্যও বালু লুট বন্ধ করেনি বলে স্থানীয় বাসিন্দা ও ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকেরা অভিযোগ করেছেন। তাঁরা বলছেন, বরং তাঁরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
দাঙ্গার বিলের জমির মালিকদের একজন রেজাউল কবির চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘শুনেছি পরিবেশ অধিদপ্তর জরিমানা আদায় করেছে। এই জরিমানার অর্থ তুলতে তারা শ্যালো মেশিনের (খননযন্ত্র) সংখ্যা আরও বাড়িয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁরা আমাদের কয়েক একর জমি থেকে ২৫-৩০ ফুট গভীর করে বালু তুলে নিয়ে গেছেন।’
গত সোমবার সরেজমিন দেখা গেছে, বিলের পশ্চিম পাশে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। উত্তর পাশে রেজাউল কবির চৌধুরীর অন্তত পাঁচ একর জমি অনাবাদি পড়ে আছে। অনাবাদি জমির মাঝখানে পানিনিষ্কাশনের একটি ছোট ড্রেন ছিল। ড্রেনটি এখন ২০-২৫ ফুট গর্ত হয়ে দেবে গিয়ে বিশাল খালে পরিণত হয়েছে। এর পূর্ব ও দক্ষিণ পাশে বালু তোলায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ পাশের সামাজিক বনায়নের (হাতির পাহাড় হিসেবে পরিচিত) পাহাড় থেকে মাটি ও বালু কাটা হচ্ছে। ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, সরকারের সৃজিত সামাজিক বনায়ন ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি হুমকির মুখে পড়েছে।
একসময় এই বিলে পাহাড়ি ছড়ার পানি দিয়ে বোরো চাষ হতো বলে জানান স্থানীয় কৃষকেরা। আবদুস সালাম নামের এক কৃষক বলেন, দাঙ্গারবিল দুই ফসলি জমি। গত বছর থেকে বালু তোলার কারণে এক পাশে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। এ বছর তিনি দুই কানি জমিতে বোরো ধান রোপণ করে বিপদে পড়েছেন। জমিতে পানি ধরে রাখা যাচ্ছে না। সেচের মাধ্যমে পানি দেওয়া হলেই তা বালুর গর্তে চলে যাচ্ছে।
ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটির প্রধান নির্বাহী ইব্রাহীম খলিল মামুন বলেন, ‘জরিমানা আদায় নয়, পরিবেশ ধ্বংস করে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক প্রান্তোষ চন্দ্র রায় বলেন, দাঙ্গার বিল ও আশপাশের বনভূমি থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে সেখানে পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের দাঙ্গার বিল থেকে বালু লুট বন্ধ হয়নি। পরিবেশ-প্রতিবেশের তোয়াক্কা না করে একটি প্রভাবশালী চক্র প্রায় দেড় বছর ধরে এই বিল এবং আশপাশের পাহাড়ি টিলা কেটে মাটি ও বালু লুট করছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি চক্রটি পরিবেশ অধিদপ্তরে হাজির হয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায় স্বীকার করে জরিমানা দেয়। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে বালু উত্তোলন করবে না মর্মে অঙ্গীকার করে। তবে সেটি তারা মানছে না।
জানা গেছে, সম্প্রতি চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর এই চক্রের এমরানুল হক, সোনা মিয়া, নুরুন্নবী পুতু, শাহজাহান, সাইফুল এহেসান, আশরাফুল ইসলাম সজীবসহ ২৫ জনকে নোটিশ দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযুক্তদের ১৭ জন হাজির হয়ে দায় স্বীকার করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের জেব্রা পয়েন্ট-সংলগ্ন দাঙ্গার বিলের পরিবেশ-প্রতিবেশ ধ্বংস করে দুই লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করেছে। এ জন্য ২০ জনকে (প্রতিজনকে ৩০ হাজার টাকা) ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মুফিদুল আলম জরিমানা আদায়ের পর বালু উত্তোলনকারীদের চারটি নির্দেশনা দেন। নির্দেশনাগুলো হলো: আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে; কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে জড়িত থাকলে তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে হবে এবং তাদের নাম, ঠিকানা প্রকাশ করতে হবে; ওই এলাকায় বালু উত্তোলনের কোনো ধরনের সরঞ্জাম মজুত করা যাবে না এবং সাত দিনের মধ্যে এসব নির্দেশনা প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে জনপ্রতি দৈনিক ১০০০ টাকা হারে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের এ কার্যক্রমের ১২ দিন পরও অভিযুক্তরা এক দিনের জন্যও বালু লুট বন্ধ করেনি বলে স্থানীয় বাসিন্দা ও ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকেরা অভিযোগ করেছেন। তাঁরা বলছেন, বরং তাঁরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
দাঙ্গার বিলের জমির মালিকদের একজন রেজাউল কবির চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘শুনেছি পরিবেশ অধিদপ্তর জরিমানা আদায় করেছে। এই জরিমানার অর্থ তুলতে তারা শ্যালো মেশিনের (খননযন্ত্র) সংখ্যা আরও বাড়িয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁরা আমাদের কয়েক একর জমি থেকে ২৫-৩০ ফুট গভীর করে বালু তুলে নিয়ে গেছেন।’
গত সোমবার সরেজমিন দেখা গেছে, বিলের পশ্চিম পাশে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। উত্তর পাশে রেজাউল কবির চৌধুরীর অন্তত পাঁচ একর জমি অনাবাদি পড়ে আছে। অনাবাদি জমির মাঝখানে পানিনিষ্কাশনের একটি ছোট ড্রেন ছিল। ড্রেনটি এখন ২০-২৫ ফুট গর্ত হয়ে দেবে গিয়ে বিশাল খালে পরিণত হয়েছে। এর পূর্ব ও দক্ষিণ পাশে বালু তোলায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ পাশের সামাজিক বনায়নের (হাতির পাহাড় হিসেবে পরিচিত) পাহাড় থেকে মাটি ও বালু কাটা হচ্ছে। ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, সরকারের সৃজিত সামাজিক বনায়ন ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি হুমকির মুখে পড়েছে।
একসময় এই বিলে পাহাড়ি ছড়ার পানি দিয়ে বোরো চাষ হতো বলে জানান স্থানীয় কৃষকেরা। আবদুস সালাম নামের এক কৃষক বলেন, দাঙ্গারবিল দুই ফসলি জমি। গত বছর থেকে বালু তোলার কারণে এক পাশে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। এ বছর তিনি দুই কানি জমিতে বোরো ধান রোপণ করে বিপদে পড়েছেন। জমিতে পানি ধরে রাখা যাচ্ছে না। সেচের মাধ্যমে পানি দেওয়া হলেই তা বালুর গর্তে চলে যাচ্ছে।
ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটির প্রধান নির্বাহী ইব্রাহীম খলিল মামুন বলেন, ‘জরিমানা আদায় নয়, পরিবেশ ধ্বংস করে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক প্রান্তোষ চন্দ্র রায় বলেন, দাঙ্গার বিল ও আশপাশের বনভূমি থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে সেখানে পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে