হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
ইফতারের পর দুই বন্ধু সানমার ওশান সিটির পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। ১৫-২০ মিনিট তাঁরা সেখানে স্বস্তিতে দাঁড়াতে পারেননি বলে জানান তাঁদের একজন মোহাম্মদ নাঈম। পেশায় ব্যাংকার নাঈম বলেন, ‘ওখানে দাঁড়ানোর পর মশার উৎপাতে এক মিনিটও শান্তিতে কথা বলতে পারিনি। মশা এমনভাবে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরে যে, একপর্যায়ে আমরা সেখান থেকে চলে আসতে বাধ্য হই।’
ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার। নাঈমের সঙ্গে সেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলা তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী শাহাদাত হোসাইন বলেন, ‘নগরে মশার উৎপাত এত বেড়েছে যে, কোথাও শান্তিতে দুই মিনিট দাঁড়ানোর উপায় নেই। ঘরে-বাইরে একই অবস্থা। মশার কয়েল জ্বালিয়েও ঘরে দুই মিনিট শান্তিতে বসা যায় না।’
মশার এই উৎপাত নিয়ে মেয়র নিজেও বিব্রত। গত ২৩ মার্চ করপোরেশনের এক সভায় মেয়র জানিয়েছেন, কোথাও গেলে মানুষ তাঁকে মশার অত্যাচারের কথা বলেন। আর তাতে তাঁকে প্রায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।
ওই সভায় মেয়র বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমি ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়েছিলাম। সেখানে মানুষ মশার অত্যাচারের কথা আমাকে বলেছেন, আমি নিজেই বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যাই। দেখি খালের মধ্যে দেওয়া বাঁধে পানি আটকে আছে। একটা ঢিল ছুড়ে দেখলাম, হাজার-কোটি মশা।’ সিডিএর জলাবদ্ধতা প্রকল্পের আওতায় খালে বাঁধ দেওয়ার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি জানান। প্রকল্পের কাজ শেষ না হলে নগরে মশার উৎপাত কমবে না।
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সব এলাকার চিত্রই এ রকম। ফুটপাত থেকে ঘর, গণপরিবহন, অলিগলি সব জায়গায় মশার উপদ্রব। মশার গুনগুন শব্দের সঙ্গে হুল ফোটানো নগর জীবনে নিত্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মশার জ্বালায় কোথাও এক মিনিট স্থির হয়ে দাঁড়ানো যায় না। মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ নগরবাসীর অভিযোগ, সিটি করপোরেশন নিয়মিত খাল-নালা পরিষ্কার না করায় মশা বেড়েছে। অকার্যকর ওষুধ ব্যবহার করায় মশার এই উৎপাত কোনোভাবেই কমিয়ে আনতে পারছে না সিটি করপোরেশন।
সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা প্রতিনিয়ত খাল-নালা পরিষ্কার করছেন। প্রতিদিন মশক নিধনে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। তবে বিভিন্ন ওয়ার্ডের একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, যেসব এলাকায় ভিআইপিরা থাকেন ঘুরেফিরে সেসব এলাকায় শুধু ওষুধ ছিটানো হয়।
মশক নিধনে করপোরেশনের ব্যবহার করা ওষুধ কার্যকর নয় বলে জানিয়েছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তবে করপোরেশনের দাবি, আইইডিসিআর ল্যাবে পরীক্ষায় কার্যকর প্রমাণিত হওয়ার পরই মশক নিধনের এই ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে।
দায়িত্বভার গ্রহণের পর গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এক শ দিনের বিশেষ বাঁশ প্রোগ্রাম হাতে নেন বর্তমান মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। ওই ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে মেয়র মশক নিধনে গতি আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও মশার উৎপাত কমেনি। পরে এই ঘটনায় মশার ওষুধ পরীক্ষা-নিরীক্ষার উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন। পরে মেয়রের আহ্বানে সাড়া দিয়ে গত বছরের মার্চ মাসে মশক নিধনে প্রয়োগ করা ওষুধের কার্যকারিতা যাচাই শুরু করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাঁরা নগরের ৯৯টি স্পট থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান। এরপর গত বছরের ৩০ আগস্ট তাঁরা মেয়রের কাছে গবেষণা প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে গবেষক দল উল্লেখ করে, মশক নিধনে ব্যবহৃত করপোরেশনের ওষুধগুলো কার্যকর নয়। এ সময় তাঁরা, ওষুধ নয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জৈবিক উপায়ে মশক নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেন। কিন্তু সিটি করপোরেশন তা করছে না।
এ সম্পর্কে করপোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মো. মোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যে ওষুধ ব্যবহার করছি, মশক নিধনে তা কার্যকর। আইইডিসিআর ল্যাবে পরীক্ষায় সেটি প্রমাণিত।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল যে ‘মসকোভা’ নামে যে ভেষজ ওষুধ ব্যবহার করার কথা বলেছেন, সেটি অনেক ব্যয় সাপেক্ষ।
ইফতারের পর দুই বন্ধু সানমার ওশান সিটির পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। ১৫-২০ মিনিট তাঁরা সেখানে স্বস্তিতে দাঁড়াতে পারেননি বলে জানান তাঁদের একজন মোহাম্মদ নাঈম। পেশায় ব্যাংকার নাঈম বলেন, ‘ওখানে দাঁড়ানোর পর মশার উৎপাতে এক মিনিটও শান্তিতে কথা বলতে পারিনি। মশা এমনভাবে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরে যে, একপর্যায়ে আমরা সেখান থেকে চলে আসতে বাধ্য হই।’
ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার। নাঈমের সঙ্গে সেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলা তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী শাহাদাত হোসাইন বলেন, ‘নগরে মশার উৎপাত এত বেড়েছে যে, কোথাও শান্তিতে দুই মিনিট দাঁড়ানোর উপায় নেই। ঘরে-বাইরে একই অবস্থা। মশার কয়েল জ্বালিয়েও ঘরে দুই মিনিট শান্তিতে বসা যায় না।’
মশার এই উৎপাত নিয়ে মেয়র নিজেও বিব্রত। গত ২৩ মার্চ করপোরেশনের এক সভায় মেয়র জানিয়েছেন, কোথাও গেলে মানুষ তাঁকে মশার অত্যাচারের কথা বলেন। আর তাতে তাঁকে প্রায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।
ওই সভায় মেয়র বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমি ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়েছিলাম। সেখানে মানুষ মশার অত্যাচারের কথা আমাকে বলেছেন, আমি নিজেই বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যাই। দেখি খালের মধ্যে দেওয়া বাঁধে পানি আটকে আছে। একটা ঢিল ছুড়ে দেখলাম, হাজার-কোটি মশা।’ সিডিএর জলাবদ্ধতা প্রকল্পের আওতায় খালে বাঁধ দেওয়ার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি জানান। প্রকল্পের কাজ শেষ না হলে নগরে মশার উৎপাত কমবে না।
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সব এলাকার চিত্রই এ রকম। ফুটপাত থেকে ঘর, গণপরিবহন, অলিগলি সব জায়গায় মশার উপদ্রব। মশার গুনগুন শব্দের সঙ্গে হুল ফোটানো নগর জীবনে নিত্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মশার জ্বালায় কোথাও এক মিনিট স্থির হয়ে দাঁড়ানো যায় না। মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ নগরবাসীর অভিযোগ, সিটি করপোরেশন নিয়মিত খাল-নালা পরিষ্কার না করায় মশা বেড়েছে। অকার্যকর ওষুধ ব্যবহার করায় মশার এই উৎপাত কোনোভাবেই কমিয়ে আনতে পারছে না সিটি করপোরেশন।
সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা প্রতিনিয়ত খাল-নালা পরিষ্কার করছেন। প্রতিদিন মশক নিধনে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। তবে বিভিন্ন ওয়ার্ডের একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, যেসব এলাকায় ভিআইপিরা থাকেন ঘুরেফিরে সেসব এলাকায় শুধু ওষুধ ছিটানো হয়।
মশক নিধনে করপোরেশনের ব্যবহার করা ওষুধ কার্যকর নয় বলে জানিয়েছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তবে করপোরেশনের দাবি, আইইডিসিআর ল্যাবে পরীক্ষায় কার্যকর প্রমাণিত হওয়ার পরই মশক নিধনের এই ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে।
দায়িত্বভার গ্রহণের পর গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এক শ দিনের বিশেষ বাঁশ প্রোগ্রাম হাতে নেন বর্তমান মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। ওই ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে মেয়র মশক নিধনে গতি আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও মশার উৎপাত কমেনি। পরে এই ঘটনায় মশার ওষুধ পরীক্ষা-নিরীক্ষার উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন। পরে মেয়রের আহ্বানে সাড়া দিয়ে গত বছরের মার্চ মাসে মশক নিধনে প্রয়োগ করা ওষুধের কার্যকারিতা যাচাই শুরু করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাঁরা নগরের ৯৯টি স্পট থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান। এরপর গত বছরের ৩০ আগস্ট তাঁরা মেয়রের কাছে গবেষণা প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে গবেষক দল উল্লেখ করে, মশক নিধনে ব্যবহৃত করপোরেশনের ওষুধগুলো কার্যকর নয়। এ সময় তাঁরা, ওষুধ নয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জৈবিক উপায়ে মশক নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেন। কিন্তু সিটি করপোরেশন তা করছে না।
এ সম্পর্কে করপোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মো. মোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যে ওষুধ ব্যবহার করছি, মশক নিধনে তা কার্যকর। আইইডিসিআর ল্যাবে পরীক্ষায় সেটি প্রমাণিত।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল যে ‘মসকোভা’ নামে যে ভেষজ ওষুধ ব্যবহার করার কথা বলেছেন, সেটি অনেক ব্যয় সাপেক্ষ।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে