গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ বলেন, ‘আমি গত মেয়াদে প্রায় ২৭ মাস ১৩ দিন ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছি। আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে। নগরের সড়ক প্রশস্ত করতে জমি অধিগ্রহণ না করে জমি নেওয়ায় জমির মালিকদের ক্ষতি হয়েছে। আমি দায়িত্বভার গ্রহণের পর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করব।’

গতকাল শুক্রবার সকালে টঙ্গীর পাগাড় এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

মেয়র আরও বলেন, ‘আমি জানি কীভাবে দল এবং সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হয়। ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসের মধ্যে গাজীপুর সিটির যে বেহাল দশা রয়েছে সেটি দলীয় নেতা-কর্মী ও কাউন্সিলরদের নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করব। নগরের উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান থাকবে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কারের পর গাজীপুর সিটির ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পেয়েছি। আগামী রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করব।’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে গাজীপুরের টঙ্গীতে শুরু হয় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ। কাউন্সিলর থেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র বনে যাওয়া কিরণের টঙ্গীর বাসভবনের সামনে জড়ো হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। ঢাকঢোল পিটিয়ে নেচে-গেয়ে, আতশবাজি ফুটিয়ে উল্লাসে মেতে উঠে কিরণের সমর্থকেরা।

স্থানীয়রা বলেন, ‘নগরের অধিকাংশ শাখা সড়কে সংস্কারকাজ চলছিল। জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারে উন্নয়নকাজ স্থগিত হয়ে পড়লে দুর্ভোগ পোহাতে হবে নগরবাসীকে। আমরা চাই উন্নয়নকাজ থেমে না থাকুক।’

৪৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী খালেদুর রহমান রাসেল বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত মেয়র নির্বাচিত করায় গাজীপুরবাসী আনন্দিত। এর আগেও তিনি ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন—তাই তিনি জানেন কীভাবে নগর পরিচালনা করতে হয়।’

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী প্যানেল মেয়র আগামী রোববার দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। নগরের চলমান উন্নয়নকাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করি।’