গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি কারখানায় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা না দিয়ে বহিরাগতদের কারখানায় এনে মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া বাজারের পাশে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লথিং নামক কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় শ্রমিকেরা কারখানার প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকেরা এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

মারধরে বেশ কয়েকজন বহিরাগত অংশ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন কারখানা শ্রমিকেরা। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। আহত শ্রমিকেরা স্থানীয় ক্লিনিক চিকিৎসা নিয়েছেন। মারধরে আহত শ্রমিকেরা হলেন সুয়িং সেকশনের নারী শ্রমিক খুকি, শ্রমিক অপারেটর জাহাঙ্গীর আলম ও আনিছুর রহমান।

আহত নারী শ্রমিক খুকি আক্তার বলেন, ‘কারখানায় ১৫ দিন কাজ করার পর প্রশাসনিক বিভাগে নতুন কর্মকর্তা যুক্ত হন। এরপর থেকে আমাদের বিনা নোটিশে বেতন-ভাতা বুঝিয়ে না দিয়ে কারখানা থেকে বের করে দেওয়া হয়। কারখানার বাইরে থেকে বহিরাগত এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের এনে আমাদের মারধর করা হয়েছে। এতে আমিসহ কারখানার আরও অনেক শ্রমিক আহত হয়েছেন।’

মারধরের বিষয়ে অভিযোগ করে ওই কারখানার শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বহিরাগতরা আমাদের অনেক মারধর করেছে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমাদের হাত-পা ভেঙে দেবে বলে হুমকিও দিয়েছে। মারধরের পর আমাদের কারখানা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।’

সরেজমিনে দেখা যায়, কারখানার প্রধান ফটকের সামনে বেতন-ভাতা ও মারধরের বিচার দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন শ্রমিকেরা।

শ্রমিক গার্মেন্টস ফেডারেশনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সজিব ইকবাল বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা আদায়ে ফেডারেশন পক্ষে থাকবে। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ওই কারখানায় লোক পাঠানো হয়েছে।

কারখানায় সিনিয়র অ্যাডমিন ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম রুপক এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি কারখানায় নতুন যোগদান করেছি। শ্রমিকদের লিখিত আবেদন করতে বলা হয়েছে। আবেদন পেলে ঈদের আগে তাঁদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হবে।’

শ্রীপুর থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

শ্রীপুরের ইউএনও তরিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের মারধর করার কোনো সুযোগ নেই। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।