জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জে ফসলরক্ষা বাঁধের জন্য ৭০২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) অনুমোদন করা হয়। গত সোমবার পর্যন্ত ৭৫টি প্রকল্প গঠন করা হয়েছে। অথচ এর মধ্যে ৩৫টির কাজ চলমান আছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। বাকি ৬২৭টি প্রকল্পের কাজ শুরু নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সমীক্ষা কাজ দেরিতে হওয়ায় পিআইসি গঠনেও বিলম্ব হচ্ছে বলে জানায় পাউবো। এদিকে নির্বাচনী ডামাডোলে যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে হাওর বাঁচাও অন্দোলন।
বর্তমানে হাওরাঞ্চলে চলছে পুরোদমে বোরো আবাদের প্রস্তুতি। কাকডাকা ভোরে তীব্র শীত উপেক্ষা করেও কৃষকেরা বোরো চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু পুরোদমে ফসল রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজ শুরু না হওয়ায় কৃষকদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।
২০১৭ সালে অকাল ভয়াবহ বন্যায় বাঁধ ভেঙে জেলার শতভাগ ফসল তলিয়ে যাওয়ার পর কাবিটা নীতিমালা সংশোধন করা হয়। ঠিকাদারি প্রথা বাতিল করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) মাধ্যমে বাঁধের কাজ করা হচ্ছে। অর্থাৎ যার জমি, সে-ই বাঁধের কাজ করাবে।
পাউবো সূত্রমতে, ২০১৭ সালের সংশোধিত কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী পয়লা সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাওরে বাঁধের সমীক্ষা কাজ শেষ করে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠন করতে হবে। কাজ শুরু করার নির্ধারিত সময় ১৫ ডিসেম্বরের। বাঁধের কাজ শেষ হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।
কিন্তু চলতি বছর পিআইসি গঠন না করেই ৭০২টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রোববার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে কাবিটা বিষয়ক সভায় জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে ৭০২টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
এদিকে চলতি বছর নির্বাচনের কারণে বাঁধের কাজ পেছাবে বলে মনে করছেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতারা।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতারা জানান, যেসব এলাকায় ফসলরক্ষা বাঁধ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে সেসব এলাকা ধর্মপাশা, শাল্লা, জগন্নাথপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। তাই নির্বাচনী ব্যস্ততার কারণে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটা প্রকল্পের কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে গঠিত প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) কাজ শুরুই করা যায়নি। যে কারণে এখনো কমিটিগুলো গঠিত হয়নি।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন, ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু সময় পেরিয়ে গেছে, কিন্তু আজ পর্যন্ত দৃশ্যমান কাজ শুরু হয়নি।
তিনি আরও বলেন, হাওর বাঁচাও আন্দোলনের পক্ষ থেকে দাবি ছিল প্রতিটা প্রকল্পের জরিপ আমাদের দেওয়ার জন্য। এতগুলো প্রকল্প অনুমোদন হয়ে গেল কোনো প্রকার পর্যবেক্ষণ ছাড়াই। প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে আপত্তি দেওয়া হবে। কারণ ৭০২টি প্রকল্প এ বছর দরকার হবে না। কারণ হাওরে এ বছর পানি কম এসেছে, গত বছরের অনেক বাঁধই অক্ষত আছে।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, এ বছর হাওরে ২ লাখ ২২ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬ শতাংশ ধান রোপণ করা হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ হয়ে থাকে ধর্মপাশা, শাল্লা, দিরাই ও জগন্নাথপুর উপজেলায়। এসব উপজেলায় আগামী ২৬ ডিসেম্বর ও ৫ জানুয়ারি ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও ফসলরক্ষা বাঁধ সময়মতো হলে ফসলের ক্ষতির শঙ্কা থাকবে না জানান কৃষকেরা।
জেলা বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রঙ্গারচর গ্রামের কৃষক বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীরা ব্যস্ত। এ কারণে ঠিকমতো বাঁধের কাজ হচ্ছে না। আমরা চাই দ্রুত সময়ে বাঁধের কাজ শেষ করা হোক।’
একই উপজেলার ফুলভরি গ্রামের কৃষক মাহবুব আলম বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা কৃষিকাজ শুরু করেছি। তবে প্রতিবছরই বাঁধের জন্য দুশ্চিন্তা নিয়েই কাজ করি। নির্বাচন নিয়ে সবাই ব্যস্ত। সময়মতো বাঁধের কাজ শুরু না হলে আমরা ফসল ঘরে তুলতে পারব না। দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবি জানাই।’
কাজের বিলম্বের বিষয়ে পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী-২ মো. শামসুদ্দোহা বলেন, চলতি বছর হাওরে পানি থাকার কারণে সমীক্ষা কাজও দেরিতে হয়েছে। সমীক্ষা কাজ দেরিতে হওয়ায় পিআইসি গঠনেও বিলম্ব হচ্ছে। তবে উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তারা গণশুনানি করে পিআইসি গঠনের কাজ করে যাচ্ছেন। দ্রুত সব পিআইসি গঠন করে কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
সুনামগঞ্জে ফসলরক্ষা বাঁধের জন্য ৭০২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) অনুমোদন করা হয়। গত সোমবার পর্যন্ত ৭৫টি প্রকল্প গঠন করা হয়েছে। অথচ এর মধ্যে ৩৫টির কাজ চলমান আছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। বাকি ৬২৭টি প্রকল্পের কাজ শুরু নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সমীক্ষা কাজ দেরিতে হওয়ায় পিআইসি গঠনেও বিলম্ব হচ্ছে বলে জানায় পাউবো। এদিকে নির্বাচনী ডামাডোলে যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে হাওর বাঁচাও অন্দোলন।
বর্তমানে হাওরাঞ্চলে চলছে পুরোদমে বোরো আবাদের প্রস্তুতি। কাকডাকা ভোরে তীব্র শীত উপেক্ষা করেও কৃষকেরা বোরো চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু পুরোদমে ফসল রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজ শুরু না হওয়ায় কৃষকদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।
২০১৭ সালে অকাল ভয়াবহ বন্যায় বাঁধ ভেঙে জেলার শতভাগ ফসল তলিয়ে যাওয়ার পর কাবিটা নীতিমালা সংশোধন করা হয়। ঠিকাদারি প্রথা বাতিল করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) মাধ্যমে বাঁধের কাজ করা হচ্ছে। অর্থাৎ যার জমি, সে-ই বাঁধের কাজ করাবে।
পাউবো সূত্রমতে, ২০১৭ সালের সংশোধিত কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী পয়লা সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাওরে বাঁধের সমীক্ষা কাজ শেষ করে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠন করতে হবে। কাজ শুরু করার নির্ধারিত সময় ১৫ ডিসেম্বরের। বাঁধের কাজ শেষ হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।
কিন্তু চলতি বছর পিআইসি গঠন না করেই ৭০২টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রোববার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে কাবিটা বিষয়ক সভায় জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে ৭০২টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
এদিকে চলতি বছর নির্বাচনের কারণে বাঁধের কাজ পেছাবে বলে মনে করছেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতারা।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতারা জানান, যেসব এলাকায় ফসলরক্ষা বাঁধ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে সেসব এলাকা ধর্মপাশা, শাল্লা, জগন্নাথপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। তাই নির্বাচনী ব্যস্ততার কারণে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটা প্রকল্পের কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে গঠিত প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) কাজ শুরুই করা যায়নি। যে কারণে এখনো কমিটিগুলো গঠিত হয়নি।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন, ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু সময় পেরিয়ে গেছে, কিন্তু আজ পর্যন্ত দৃশ্যমান কাজ শুরু হয়নি।
তিনি আরও বলেন, হাওর বাঁচাও আন্দোলনের পক্ষ থেকে দাবি ছিল প্রতিটা প্রকল্পের জরিপ আমাদের দেওয়ার জন্য। এতগুলো প্রকল্প অনুমোদন হয়ে গেল কোনো প্রকার পর্যবেক্ষণ ছাড়াই। প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে আপত্তি দেওয়া হবে। কারণ ৭০২টি প্রকল্প এ বছর দরকার হবে না। কারণ হাওরে এ বছর পানি কম এসেছে, গত বছরের অনেক বাঁধই অক্ষত আছে।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, এ বছর হাওরে ২ লাখ ২২ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬ শতাংশ ধান রোপণ করা হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ হয়ে থাকে ধর্মপাশা, শাল্লা, দিরাই ও জগন্নাথপুর উপজেলায়। এসব উপজেলায় আগামী ২৬ ডিসেম্বর ও ৫ জানুয়ারি ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও ফসলরক্ষা বাঁধ সময়মতো হলে ফসলের ক্ষতির শঙ্কা থাকবে না জানান কৃষকেরা।
জেলা বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রঙ্গারচর গ্রামের কৃষক বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীরা ব্যস্ত। এ কারণে ঠিকমতো বাঁধের কাজ হচ্ছে না। আমরা চাই দ্রুত সময়ে বাঁধের কাজ শেষ করা হোক।’
একই উপজেলার ফুলভরি গ্রামের কৃষক মাহবুব আলম বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা কৃষিকাজ শুরু করেছি। তবে প্রতিবছরই বাঁধের জন্য দুশ্চিন্তা নিয়েই কাজ করি। নির্বাচন নিয়ে সবাই ব্যস্ত। সময়মতো বাঁধের কাজ শুরু না হলে আমরা ফসল ঘরে তুলতে পারব না। দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবি জানাই।’
কাজের বিলম্বের বিষয়ে পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী-২ মো. শামসুদ্দোহা বলেন, চলতি বছর হাওরে পানি থাকার কারণে সমীক্ষা কাজও দেরিতে হয়েছে। সমীক্ষা কাজ দেরিতে হওয়ায় পিআইসি গঠনেও বিলম্ব হচ্ছে। তবে উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তারা গণশুনানি করে পিআইসি গঠনের কাজ করে যাচ্ছেন। দ্রুত সব পিআইসি গঠন করে কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২০ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে