মির্জাপুরে জেলা কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম হত্যা মামলার একমাত্র আসামিকে সাত মাসেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার আসামি রেদওয়ানার স্বামী ব্যাংক কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন মিজান ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন।

মামলার বাদী রেদওয়ানার ছোট ভাই খন্দকার আরশাদুল আবিদ সাত মাসেও হত্যার আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। আমরা হতাশ। এটা পুলিশের গাফিলতি ছাড়া কিছু নয়।

মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) টাঙ্গাইলে স্থানান্তর করা হয়েছে।

২২ মার্চ মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে কন্যাসন্তান জন্ম দেন রেদওয়ানা। ২৭ মার্চ বিকেলে ১১ নম্বর কেবিন থেকে রেদওয়ানার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী মিজান পলাতক রয়েছেন। ২৮ মার্চ খন্দকার আরশাদুল আবিদ বাদী হয়ে মিজানকে একমাত্র আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন।

দেলোয়ার পাবনা সদর থানার হেমায়েতপুর চরভাঙ্গারিয়া গ্রামের মো. এলাহী মোল্লার ছেলে। তিনি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ভোলা সদরের মহাজনপট্টি শাখায় কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে। নিহত রেদওয়ানা ইসলাম রংপুর সদর থানার ইসলামপুর হনুমানতলার মৃত খন্দকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে।

এ ব্যাপারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. সিরাজুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মামলা এখনো আমাদের হাতে পৌঁছেনি। পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’