মো. আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পাউরুটি ও কেকসহ যেসব বেকারিপণ্যে আগে পাওয়া যেত পাঁচ টাকায়, এখন সেসব খাবার কিনতে হচ্ছে দশ টাকায়। পাঁচ টাকার কোনো খাবার পণ্যই পাওয়া যাচ্ছে না উপজেলার বেকারির দোকানগুলোতে। বেকারি পণ্যের মূল্য হঠাৎ দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রিকশাচালকসহ দিনমজুরেরা।
ফুটপাতে চায়ের দোকানগুলোতে কেনাবেচাও কমেছে। এ বিষয়ে কথা হয় উত্তরবঙ্গের নীলফামারী জেলার জলঢাকার রিকশা চালক বকুল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাড়তি আয়ের আশায় এক বছর ধরে চৌদ্দগ্রামে এসে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি।
রিবারে স্ত্রী ছাড়াও চার ছেলেমেয়ে নিয়ে ছয়জনের সংসার। আগে আয় রোজগার ভালো থাকলেও ইদানীং কমে গেছে। রিকশা চালিয়ে দৈনিক তিনবার ফুটপাতে বসে চা-দোকানগুলোতে গিয়ে রুটি, চা আর পান মিলিয়ে ১৭ টাকায় সারতো। এখন তা বেড়ে ২৭ টাকা হয়েছে। আগে প্রতিদিন ৩ বার নাশতা করলেও এখন ১ বার করতে হয়।’ বকুল মিয়ার মতো এ রকম অনেক রিকশাভ্যান চালকের সঙ্গে কথা হলে তারাও একই মতো ব্যক্ত করেন।
চৌদ্দগ্রামের স্থানীয় বেকারি মালিকদের দাবি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বেকারিপণ্যের দাম বেড়েছে। যার কারণে লোকসান দিয়ে অনেক বেকারি ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। যারা এখনো চালু রয়েছে, এদের অধিকাংশই ব্যাংক ঋণ অথবা মহাজনী সুদ দিয়ে চালাতে হচ্ছে। আগে ৫০ কেজির ময়দা ১ হাজার ৬৫০ টাকায় কিনলেও তা এখন বেড়ে ৩ হাজার টাকা হয়েছে। ৫০ কেজির চিনি ২ হাজার ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩ হাজার ৮০০ টাকা হয়েছে। ১৬ কেজি এক কার্টুন ঘি ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩ হাজার ২০০ টাকা হয়েছে। বেড়েছে শ্রমিকদের বেতনও। যার কারণে তাঁরাও পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে।
বে তাদের দাবি, দাম দ্বিগুণ করলেও ওজনও দ্বিগুণ করা হয়েছে।
চা-দোকানি আবু তাহের বলেন, ‘আমার চা দোকানের অধিকাংশ কাস্টমার রিকশা, সিএনজি চালক ও দরিদ্ররা। আগে একটা বানরুটি অথবা ছোট রুটি ৫ টাকা দিয়ে কিনে চা দিয়ে খেতে পারত। একটি পানসহ ১৫ টাকা হলে একজন দরিদ্র ক্রেতার চলতো। কিন্তু গত কয়েক দিন থেকে বেকারী পণ্যের দাম হয়েছে দ্বিগুণ। যার ফলে কাস্টমারও কমে গেছে’।
চৌদ্দগ্রামের আনন্দ বেকারির মালিক শাকিল মাহমুদ বলেন, ‘বেকারি নাশতা তৈরির সকল পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। বেড়েছে শ্রমিকদের বেতন। আমরা ৫ টাকার পণ্য ১০ টাকা করলেও ওজন দ্বিগুণ করেছি। তবে ৫০০ গ্রামের পাউরুটিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। শুধু দ্বিগুণ করা হয়েছে ৫-১০ টাকার ছোট পণ্যগুলোর দাম।’
চৌদ্দগ্রাম রুটি বিস্কুট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি জি এম জাহিদ হোসেন টিপু বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বেকারির নাশতা তৈরির বিভিন্ন মালামালের দাম বৃদ্ধি পেলেও আমরা আগের দামে বিক্রি করেছিলাম। এতে লোকসানে পড়ে অনেক ছোট ছোট বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে। যারা এখনো টিকে আছে তাঁরা ব্যাংক ঋণ অথবা মহাজনী সুদে ঋণ নিয়ে টিকে আছে।
ই প্রতিষ্ঠান রক্ষা করতে ৫ টাকার পণ্য ১০ টাকা করতে বাধ্য হয়েছি। অন্যান্য পণ্যের দাম সামান্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
জাহিদ হোসেন টিপু আরও বলেন, ‘তা ছাড়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আমাদের শ্রমিকদের বেতনও বাড়াতে হয়েছে।’
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি বেকারির কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি হয়ে থাকে, তাহলে সে সেত্রে মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ আছে, তারপরও আমি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।’
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. আছাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কখনও কোনো পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করি না। চৌদ্দগ্রামে বেকারী খাদ্যপণ্যের মূল্য কে নির্ধারণ করেছে, সেটাও জানি না। এটা মনিটরিং করবে স্থানীয় প্রশাসন। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পাউরুটি ও কেকসহ যেসব বেকারিপণ্যে আগে পাওয়া যেত পাঁচ টাকায়, এখন সেসব খাবার কিনতে হচ্ছে দশ টাকায়। পাঁচ টাকার কোনো খাবার পণ্যই পাওয়া যাচ্ছে না উপজেলার বেকারির দোকানগুলোতে। বেকারি পণ্যের মূল্য হঠাৎ দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রিকশাচালকসহ দিনমজুরেরা।
ফুটপাতে চায়ের দোকানগুলোতে কেনাবেচাও কমেছে। এ বিষয়ে কথা হয় উত্তরবঙ্গের নীলফামারী জেলার জলঢাকার রিকশা চালক বকুল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাড়তি আয়ের আশায় এক বছর ধরে চৌদ্দগ্রামে এসে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি।
রিবারে স্ত্রী ছাড়াও চার ছেলেমেয়ে নিয়ে ছয়জনের সংসার। আগে আয় রোজগার ভালো থাকলেও ইদানীং কমে গেছে। রিকশা চালিয়ে দৈনিক তিনবার ফুটপাতে বসে চা-দোকানগুলোতে গিয়ে রুটি, চা আর পান মিলিয়ে ১৭ টাকায় সারতো। এখন তা বেড়ে ২৭ টাকা হয়েছে। আগে প্রতিদিন ৩ বার নাশতা করলেও এখন ১ বার করতে হয়।’ বকুল মিয়ার মতো এ রকম অনেক রিকশাভ্যান চালকের সঙ্গে কথা হলে তারাও একই মতো ব্যক্ত করেন।
চৌদ্দগ্রামের স্থানীয় বেকারি মালিকদের দাবি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বেকারিপণ্যের দাম বেড়েছে। যার কারণে লোকসান দিয়ে অনেক বেকারি ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। যারা এখনো চালু রয়েছে, এদের অধিকাংশই ব্যাংক ঋণ অথবা মহাজনী সুদ দিয়ে চালাতে হচ্ছে। আগে ৫০ কেজির ময়দা ১ হাজার ৬৫০ টাকায় কিনলেও তা এখন বেড়ে ৩ হাজার টাকা হয়েছে। ৫০ কেজির চিনি ২ হাজার ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩ হাজার ৮০০ টাকা হয়েছে। ১৬ কেজি এক কার্টুন ঘি ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩ হাজার ২০০ টাকা হয়েছে। বেড়েছে শ্রমিকদের বেতনও। যার কারণে তাঁরাও পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে।
বে তাদের দাবি, দাম দ্বিগুণ করলেও ওজনও দ্বিগুণ করা হয়েছে।
চা-দোকানি আবু তাহের বলেন, ‘আমার চা দোকানের অধিকাংশ কাস্টমার রিকশা, সিএনজি চালক ও দরিদ্ররা। আগে একটা বানরুটি অথবা ছোট রুটি ৫ টাকা দিয়ে কিনে চা দিয়ে খেতে পারত। একটি পানসহ ১৫ টাকা হলে একজন দরিদ্র ক্রেতার চলতো। কিন্তু গত কয়েক দিন থেকে বেকারী পণ্যের দাম হয়েছে দ্বিগুণ। যার ফলে কাস্টমারও কমে গেছে’।
চৌদ্দগ্রামের আনন্দ বেকারির মালিক শাকিল মাহমুদ বলেন, ‘বেকারি নাশতা তৈরির সকল পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। বেড়েছে শ্রমিকদের বেতন। আমরা ৫ টাকার পণ্য ১০ টাকা করলেও ওজন দ্বিগুণ করেছি। তবে ৫০০ গ্রামের পাউরুটিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। শুধু দ্বিগুণ করা হয়েছে ৫-১০ টাকার ছোট পণ্যগুলোর দাম।’
চৌদ্দগ্রাম রুটি বিস্কুট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি জি এম জাহিদ হোসেন টিপু বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বেকারির নাশতা তৈরির বিভিন্ন মালামালের দাম বৃদ্ধি পেলেও আমরা আগের দামে বিক্রি করেছিলাম। এতে লোকসানে পড়ে অনেক ছোট ছোট বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে। যারা এখনো টিকে আছে তাঁরা ব্যাংক ঋণ অথবা মহাজনী সুদে ঋণ নিয়ে টিকে আছে।
ই প্রতিষ্ঠান রক্ষা করতে ৫ টাকার পণ্য ১০ টাকা করতে বাধ্য হয়েছি। অন্যান্য পণ্যের দাম সামান্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
জাহিদ হোসেন টিপু আরও বলেন, ‘তা ছাড়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আমাদের শ্রমিকদের বেতনও বাড়াতে হয়েছে।’
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি বেকারির কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি হয়ে থাকে, তাহলে সে সেত্রে মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ আছে, তারপরও আমি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।’
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. আছাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কখনও কোনো পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করি না। চৌদ্দগ্রামে বেকারী খাদ্যপণ্যের মূল্য কে নির্ধারণ করেছে, সেটাও জানি না। এটা মনিটরিং করবে স্থানীয় প্রশাসন। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে