রাশেদুজ্জামান, মেহেরপুর
আগামী ১৫ জুন মেহেরপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার চার ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। গত মঙ্গলবার ছিল মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। এ দিন মেয়র ও চেয়ারম্যান পদে ৩০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৩ জনই হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।
বিদ্রোহীদের নিয়ে কিছুটা সংশয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা, কিন্তু অনড় বিদ্রোহীরা। তাঁরা ভোটের মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে বিদ্রোহীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
জানা গেছে, মেহেরপুর পৌরসভায় মেয়র পদে চারজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন রয়েছেন। এ ছাড়া সাবেক মেয়র মোতাছিম বিল্লাহ মতু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আরিফুল এনাম বকুল ও ব্যবসায়ী কাউছার আলী মনোনয়নপত্র জমা দেন। পৌরসভা নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৫ ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুর ইউপিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস। তাঁকে দল থেকে মনোনীত করা হয়েছে। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আব্দুস সালাম। স্বতন্ত্র হিসেবে রয়েছে বিএনপির সামসুল আলম। অপর প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিকী ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী।
আমঝুপি ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বোরহান উদ্দীন চুন্নু। সেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আসিফ আজিম ও আকরামুল আজিম। বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন সাইফুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম।
বারাদি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম মোমিন। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আরমান আলী, সালেহ আল আজিজ টনিক, আরিফুল ইসলাম ও নুর ইসলাম; স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছে বিএনপির হাসিবুল হাসান বাবু, মাহফুজুর রহমান ও আরজুয়া রহমান। আর জাসদের প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন নরু উস সাফা।
শ্যামপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব বিশ্বাস। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আকতার হোসেন, মতিউর রহমান ও আবুল হাশেম।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু আনাসার বলেন, মনোনয়ন যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
বারাদি ইউপির আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দলে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলেও ঊর্ধ্বতন নেতাদের মাধ্যমে সমঝোতার চেষ্টা করছি। আগামী ২৫ মে পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় রয়েছে। আশা করি, বেশির ভাগই প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেবেন। একজনকে নিয়ে একটু সংশয়ে রয়েছি। দলে একজন বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলে নির্বাচনে কিছুটা সমস্যায় পড়তেই হবে। যেহেতু বিএনপির এবার নির্বাচনের মাঠে না থাকার সম্ভাবনা। সে ভোটগুলো বিদ্রোহী প্রার্থীর দিকে পড়তেই পারে। তবে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। কারণ সব সময় আমি জনগণের পাশে থেকেই কাজ করেছি।’
বারাদি ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী সালেহ আল আজিজ টনিক বলেন, ‘যত বড় শক্তিশালী প্রার্থী হোক না কেন আমি নির্বাচনে অংশ নেব। যেহেতু দলে আমার কোনো পদ-পদবি নেই। তাই বহিষ্কারেরও চিন্তা নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করব।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক বলেন, ‘দলে বিদ্রোহী থাকলে নির্বাচনে কিছুটা সমস্যা থাকবেই। তবে আমরা হাইকমান্ডের নেতারা বসে সে সমস্যা দূর করার চেষ্টা করব। আশা করি, প্রত্যাহারের দিন অনেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবেন। যদি কেউ প্রত্যাহার না করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আগামী ১৫ জুন মেহেরপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার চার ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। গত মঙ্গলবার ছিল মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। এ দিন মেয়র ও চেয়ারম্যান পদে ৩০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৩ জনই হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।
বিদ্রোহীদের নিয়ে কিছুটা সংশয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা, কিন্তু অনড় বিদ্রোহীরা। তাঁরা ভোটের মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে বিদ্রোহীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
জানা গেছে, মেহেরপুর পৌরসভায় মেয়র পদে চারজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন রয়েছেন। এ ছাড়া সাবেক মেয়র মোতাছিম বিল্লাহ মতু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আরিফুল এনাম বকুল ও ব্যবসায়ী কাউছার আলী মনোনয়নপত্র জমা দেন। পৌরসভা নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৫ ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুর ইউপিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস। তাঁকে দল থেকে মনোনীত করা হয়েছে। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আব্দুস সালাম। স্বতন্ত্র হিসেবে রয়েছে বিএনপির সামসুল আলম। অপর প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিকী ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী।
আমঝুপি ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বোরহান উদ্দীন চুন্নু। সেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আসিফ আজিম ও আকরামুল আজিম। বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন সাইফুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম।
বারাদি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম মোমিন। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আরমান আলী, সালেহ আল আজিজ টনিক, আরিফুল ইসলাম ও নুর ইসলাম; স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছে বিএনপির হাসিবুল হাসান বাবু, মাহফুজুর রহমান ও আরজুয়া রহমান। আর জাসদের প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন নরু উস সাফা।
শ্যামপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব বিশ্বাস। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আকতার হোসেন, মতিউর রহমান ও আবুল হাশেম।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু আনাসার বলেন, মনোনয়ন যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
বারাদি ইউপির আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দলে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলেও ঊর্ধ্বতন নেতাদের মাধ্যমে সমঝোতার চেষ্টা করছি। আগামী ২৫ মে পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় রয়েছে। আশা করি, বেশির ভাগই প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেবেন। একজনকে নিয়ে একটু সংশয়ে রয়েছি। দলে একজন বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলে নির্বাচনে কিছুটা সমস্যায় পড়তেই হবে। যেহেতু বিএনপির এবার নির্বাচনের মাঠে না থাকার সম্ভাবনা। সে ভোটগুলো বিদ্রোহী প্রার্থীর দিকে পড়তেই পারে। তবে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। কারণ সব সময় আমি জনগণের পাশে থেকেই কাজ করেছি।’
বারাদি ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী সালেহ আল আজিজ টনিক বলেন, ‘যত বড় শক্তিশালী প্রার্থী হোক না কেন আমি নির্বাচনে অংশ নেব। যেহেতু দলে আমার কোনো পদ-পদবি নেই। তাই বহিষ্কারেরও চিন্তা নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করব।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক বলেন, ‘দলে বিদ্রোহী থাকলে নির্বাচনে কিছুটা সমস্যা থাকবেই। তবে আমরা হাইকমান্ডের নেতারা বসে সে সমস্যা দূর করার চেষ্টা করব। আশা করি, প্রত্যাহারের দিন অনেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবেন। যদি কেউ প্রত্যাহার না করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে