হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
বন্ড সুবিধায় আনা পণ্য ভুয়া ইএক্সপি (রপ্তানিকারকের ঘোষণাপত্র) ব্যবহার করে অপসারণের মাধ্যমে ৫৫৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮১ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সিইপিজেড এলাকার মেসার্স ওয়ার্ল্ড ই ড্রেস প্যান্টস ১০ বছরে ৩৮১টি ভুয়া ইএক্সপির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে।
জানতে চাইলে ওই কার্যালয়ের উপকমিশনার (সিইপিজেড ডিভিশন) তপন কুমার চক্রবর্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট কার্যালয়ে নিবন্ধিত ‘এ’ ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানটির যাবতীয় আমদানি-রপ্তানি ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম লাইসেন্সিং রুলসের আওতায় করার কথা। কিন্তু তারা নিয়ম অনুসরণ করেনি। যে কারণে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠিত হয়। যাচাই-বাছাই করে কমিটির সদস্যরা দেখেন, প্রতিষ্ঠানটি ২০০৩ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৩৮১টি ভুয়া ইএক্সপির মাধ্যমে ৫৫৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮১ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন।
বাংলাদেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের যৌথ বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত মেসার্স ওয়ার্ল্ড ই ড্রেস প্যান্টস সিইপিজেড এলাকার দুই নম্বর সড়কের এফএস-২ প্লটে অবস্থিত। শতভাগ রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধিত ছিল। পরবর্তীতে মালিকানা শেয়ার পরিবর্তনজনিত কারণে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে পরিবর্তিত হয়।
বন্ড কমিশনারেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তদন্তে ২০০৩ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বেপজার তথ্য, সিআইএস থেকে আমদানি-রপ্তানির তথ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এতে দেখা যায়, ৩৫৮টি ইএক্সপির কোনো তথ্য বাংলাদেশে ব্যাংকের ডেটাবেইসে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি ৩৪টি ইএক্সপি অন্য প্রতিষ্ঠানের নামে ইস্যু করনা। এতে ৩৮১টি ইএক্সপির মাধ্যমে অবৈধভাবে পণ্য অপসারণের প্রমাণ মেলে। এ সব পণ্যের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ছিল ৪৩৪ কোটি ৭৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এর সঙ্গে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয় ৫৫৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮১ টাকা।
এর মধ্যে ২০০৫ সালে ১৪টি ভুয়া ইএক্সপি ব্যবহার করে পণ্য অপসারণের মাধ্যমে ৪ কোটি ২০ লাখ ৪ হাজার ১৮৯ টাকা ফাঁকি দেওয়া হয়। ২০০৬ সালে ২৭টি ভুয়া ইএক্সপিতে ১৯ কোটি ৫৭ লাখ ৯৫ হাজার, ২০০৭ সালে ৪টি ভুয়া ইএক্সপি ব্যবহার করে ২ কোটি ৫২ লাখ ৬৪ হাজার ৩১০ ও ২০০৮ সালে ১৮টি ভুয়া ইএক্সপির মাধ্যমে ১১ কোটি ৪০ লাখ ৮১ হাজার ৯৯২ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২০০৯ সালে ৪টি ভুয়া ইএক্সপি ব্যবহার করে ৫ কোটি ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৫৮০,২০১০ সালে ১১১ ভুয়া ইএক্সপির মাধ্যমে ১৮০ কোটি ৪৭ লাখ ৬৬ হাজার ১২৪ ও ২০১১ সালে ১৩১ ইএক্সপিতে ২৩০ কোটি ৭০ লাখ ৩২ হাজার ৪২৩ টাকা ফাঁকি দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে ২০১২ সালে ৬৬ ভুয়া ইএক্সপি ব্যবহার করে ৯১ কোটি ২৫ লাখ ৫৯ হাজার, ২০১৩ সালে ৩টি ভুয়া ইএক্সপিতে ৪ কোটি ৫৫ লাখ ৭৫ হাজার ও সর্বশেষ ২০১৪ সালে ৩টি ভুয়া ইএক্সপির মাধ্যমে ৫ কোটি ৫৩ লাখ ১১ হাজার ৬৯৬ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের কমিশনার একেএম মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ভুয়া ইএক্সপি ব্যবহার করে পণ্য অপসারণ করায় মেসার্স ওয়ার্ল্ড ই ড্রেস প্যান্টস লিমিটেডকে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। জবাব দেওয়ার জন্য কাগজপত্র সংগ্রহ করতে সময় লাগছে জানিয়ে তারা আমাদের কাছে সময় চেয়েছে। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। জানুয়ারি মাসে এ ঘটনায় শুনানি হবে।’
ওয়ার্ড ই ড্রেস প্যান্টস লিমিটেডর কর্মকর্তা শিমুল দত্ত কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাইছি না। তাঁরা আমাদের নোটিশ দিয়েছেন। আমরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এর একটা ব্যাখ্যা দিয়েছি।’
বন্ড সুবিধায় আনা পণ্য ভুয়া ইএক্সপি (রপ্তানিকারকের ঘোষণাপত্র) ব্যবহার করে অপসারণের মাধ্যমে ৫৫৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮১ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সিইপিজেড এলাকার মেসার্স ওয়ার্ল্ড ই ড্রেস প্যান্টস ১০ বছরে ৩৮১টি ভুয়া ইএক্সপির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে।
জানতে চাইলে ওই কার্যালয়ের উপকমিশনার (সিইপিজেড ডিভিশন) তপন কুমার চক্রবর্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট কার্যালয়ে নিবন্ধিত ‘এ’ ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানটির যাবতীয় আমদানি-রপ্তানি ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম লাইসেন্সিং রুলসের আওতায় করার কথা। কিন্তু তারা নিয়ম অনুসরণ করেনি। যে কারণে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠিত হয়। যাচাই-বাছাই করে কমিটির সদস্যরা দেখেন, প্রতিষ্ঠানটি ২০০৩ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৩৮১টি ভুয়া ইএক্সপির মাধ্যমে ৫৫৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮১ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন।
বাংলাদেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের যৌথ বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত মেসার্স ওয়ার্ল্ড ই ড্রেস প্যান্টস সিইপিজেড এলাকার দুই নম্বর সড়কের এফএস-২ প্লটে অবস্থিত। শতভাগ রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধিত ছিল। পরবর্তীতে মালিকানা শেয়ার পরিবর্তনজনিত কারণে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে পরিবর্তিত হয়।
বন্ড কমিশনারেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তদন্তে ২০০৩ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বেপজার তথ্য, সিআইএস থেকে আমদানি-রপ্তানির তথ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এতে দেখা যায়, ৩৫৮টি ইএক্সপির কোনো তথ্য বাংলাদেশে ব্যাংকের ডেটাবেইসে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি ৩৪টি ইএক্সপি অন্য প্রতিষ্ঠানের নামে ইস্যু করনা। এতে ৩৮১টি ইএক্সপির মাধ্যমে অবৈধভাবে পণ্য অপসারণের প্রমাণ মেলে। এ সব পণ্যের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ছিল ৪৩৪ কোটি ৭৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এর সঙ্গে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয় ৫৫৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮১ টাকা।
এর মধ্যে ২০০৫ সালে ১৪টি ভুয়া ইএক্সপি ব্যবহার করে পণ্য অপসারণের মাধ্যমে ৪ কোটি ২০ লাখ ৪ হাজার ১৮৯ টাকা ফাঁকি দেওয়া হয়। ২০০৬ সালে ২৭টি ভুয়া ইএক্সপিতে ১৯ কোটি ৫৭ লাখ ৯৫ হাজার, ২০০৭ সালে ৪টি ভুয়া ইএক্সপি ব্যবহার করে ২ কোটি ৫২ লাখ ৬৪ হাজার ৩১০ ও ২০০৮ সালে ১৮টি ভুয়া ইএক্সপির মাধ্যমে ১১ কোটি ৪০ লাখ ৮১ হাজার ৯৯২ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২০০৯ সালে ৪টি ভুয়া ইএক্সপি ব্যবহার করে ৫ কোটি ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৫৮০,২০১০ সালে ১১১ ভুয়া ইএক্সপির মাধ্যমে ১৮০ কোটি ৪৭ লাখ ৬৬ হাজার ১২৪ ও ২০১১ সালে ১৩১ ইএক্সপিতে ২৩০ কোটি ৭০ লাখ ৩২ হাজার ৪২৩ টাকা ফাঁকি দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে ২০১২ সালে ৬৬ ভুয়া ইএক্সপি ব্যবহার করে ৯১ কোটি ২৫ লাখ ৫৯ হাজার, ২০১৩ সালে ৩টি ভুয়া ইএক্সপিতে ৪ কোটি ৫৫ লাখ ৭৫ হাজার ও সর্বশেষ ২০১৪ সালে ৩টি ভুয়া ইএক্সপির মাধ্যমে ৫ কোটি ৫৩ লাখ ১১ হাজার ৬৯৬ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের কমিশনার একেএম মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ভুয়া ইএক্সপি ব্যবহার করে পণ্য অপসারণ করায় মেসার্স ওয়ার্ল্ড ই ড্রেস প্যান্টস লিমিটেডকে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। জবাব দেওয়ার জন্য কাগজপত্র সংগ্রহ করতে সময় লাগছে জানিয়ে তারা আমাদের কাছে সময় চেয়েছে। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। জানুয়ারি মাসে এ ঘটনায় শুনানি হবে।’
ওয়ার্ড ই ড্রেস প্যান্টস লিমিটেডর কর্মকর্তা শিমুল দত্ত কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাইছি না। তাঁরা আমাদের নোটিশ দিয়েছেন। আমরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এর একটা ব্যাখ্যা দিয়েছি।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে