রিমন রহমান, রাজশাহী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মশিউল ইসলামের করোনা পজিটিভ হয়েছেন ২২ জানুয়ারি। ২৪ জানুয়ারি তিনি রাজশাহী থেকে বাসে চড়ে চলে গেছেন গ্রামের বাড়ি। তাঁর গ্রামের বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার নারুলি গ্রামে। মশিউল বলেন, ‘হল খোলা থাকলেও ক্যাম্পাস বন্ধ। তাই বাড়ি চলে এসেছি।’
শুধু মশিউল একা নন, রাজশাহীতে এখন যাঁরা করোনা পজিটিভ হচ্ছেন তাঁদের অনেকেই বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ কেউ শহর ছেড়ে গণপরিবহনে চড়ে যাচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে। তাঁদের হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করছে না।
রাবির পরিসংখ্যান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শিমুল রায়ের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার শিবপুর গ্রামে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ল্যাবে গত ২৩ জানুয়ারি তাঁর করোনা পজিটিভ হয়। সেদিনই তিনি রাজশাহী থেকে বাসে চড়ে গেছেন কুষ্টিয়া। নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের শিক্ষার্থী ফয়সাল হকও রাজশাহী শহরে মেসে থাকতেন। ২২ জানুয়ারি রামেকের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হলে ২৪ জানুয়ারি বাড়ি চলে যান ফয়সাল। ফয়সাল বলেন, ‘করোনা হয়েছে শুনে বাড়ি থেকে চাপ দিচ্ছিল, যেন আমি বাড়ি চলে যাই। সে কারণে বাসে চড়েই চলে এসেছি। তখন অবশ্য কাউকে বলিনি যে আমার করোনা।’
করোনার প্রথম ধাক্কা এবং ডেলটার ঢেউয়ের সময় রাজশাহীতে যাঁরা করোনা পজিটিভ হতেন, তাঁদের হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করা হতো। পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ও প্রতিটি থানা-পুলিশ আক্রান্তদের আইসোলেশন নিশ্চিত করত। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) স্বাস্থ্য বিভাগ তাঁদের চিকিৎসার খোঁজ নিত। কিন্তু দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্তের পর রাজশাহীতে এত বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছেন যে তাঁদের আইসোলেশন নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে না রোগীদের চিকিৎসারও। সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় আক্রান্ত রোগীরা ঘুরে বেড়ানোর কারণে সংক্রমণ আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
সবশেষ মঙ্গলবারের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহীর দুটি আরটি-পিসিআর ল্যাবে জেলার ৫৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ৪০৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রাজশাহীতে করোনার সংক্রমণের হার ৬৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। অথচ ১ জানুয়ারিতেই সংক্রমণের হার হয়েছিল মাত্র ২ দশমিক ৮২ শতাংশ। ১৬ জানুয়ারি থেকে সংক্রমণ হুহু করে বাড়ছে।
সংক্রমণ বাড়ছে বিভাগের অন্য সাত জেলাতেও। মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪৬ দশমিক ৮০ শতাংশ, নাটোরের ৫০ শতাংশ, নওগাঁর ৩৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ, পাবনার ২৭ দশমিক ২৩ শতাংশ, সিরাজগঞ্জের ৩৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, বগুড়ার ৪০ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং জয়পুরহাটের ৩৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ নমুনা করোনা পজিটিভ রিপোর্ট হয়েছে। গোটা বিভাগে সংক্রমণের গড় হার ৪৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।
রাজশাহীর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. চিন্ময় কান্তি দাস বলেন, ‘আমরা কোনো সিস্টেমের মধ্যে নাই। স্বাস্থ্যবিধি থেকে শুরু করে কোনো কিছুই নাই। প্রতি সেকেন্ডে করোনা বাড়ছে। যাঁরা প্রতিরোধ করবে, তাঁদের দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম দেখছি না। এবার তো আক্রান্তদের মিনিমাম আইসোলেশন নিশ্চিত করতেও দেখছি না।’
করোনা নিয়ে অসহায়ত্ব ফুটে উঠল সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এ এফ এম আঞ্জুমান আরা বেগমের কথায়। বললেন, ‘কীভাবে করোনা মোকাবিলা করব, আপনারা সাংবাদিকেরাই বলে দেন। এবার যাঁকে টেস্ট করছি, তাঁরই পজিটিভ। প্রচুর রোগী। আগে হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করা গেলেও এবার সম্ভব হচ্ছে না।’
রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্যই করতে চাননি। তবে রাজশাহীর সিভিল সার্জন আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক দাবি করেছেন, উপজেলা পর্যায়ে হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করা হচ্ছে। আক্রান্ত হয়ে রোগী শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার তথ্য তাঁর কাছে নেই। বিষয়টা নিয়ে তিনি করোনা প্রতিরোধে গঠিত জেলা পর্যায়ের কমিটিতে আলোচনা করবেন। তবে করোনা মোকাবিলায় তাঁরা এখন টিকা প্রয়োগেই জোর দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মশিউল ইসলামের করোনা পজিটিভ হয়েছেন ২২ জানুয়ারি। ২৪ জানুয়ারি তিনি রাজশাহী থেকে বাসে চড়ে চলে গেছেন গ্রামের বাড়ি। তাঁর গ্রামের বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার নারুলি গ্রামে। মশিউল বলেন, ‘হল খোলা থাকলেও ক্যাম্পাস বন্ধ। তাই বাড়ি চলে এসেছি।’
শুধু মশিউল একা নন, রাজশাহীতে এখন যাঁরা করোনা পজিটিভ হচ্ছেন তাঁদের অনেকেই বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ কেউ শহর ছেড়ে গণপরিবহনে চড়ে যাচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে। তাঁদের হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করছে না।
রাবির পরিসংখ্যান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শিমুল রায়ের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার শিবপুর গ্রামে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ল্যাবে গত ২৩ জানুয়ারি তাঁর করোনা পজিটিভ হয়। সেদিনই তিনি রাজশাহী থেকে বাসে চড়ে গেছেন কুষ্টিয়া। নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের শিক্ষার্থী ফয়সাল হকও রাজশাহী শহরে মেসে থাকতেন। ২২ জানুয়ারি রামেকের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হলে ২৪ জানুয়ারি বাড়ি চলে যান ফয়সাল। ফয়সাল বলেন, ‘করোনা হয়েছে শুনে বাড়ি থেকে চাপ দিচ্ছিল, যেন আমি বাড়ি চলে যাই। সে কারণে বাসে চড়েই চলে এসেছি। তখন অবশ্য কাউকে বলিনি যে আমার করোনা।’
করোনার প্রথম ধাক্কা এবং ডেলটার ঢেউয়ের সময় রাজশাহীতে যাঁরা করোনা পজিটিভ হতেন, তাঁদের হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করা হতো। পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ও প্রতিটি থানা-পুলিশ আক্রান্তদের আইসোলেশন নিশ্চিত করত। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) স্বাস্থ্য বিভাগ তাঁদের চিকিৎসার খোঁজ নিত। কিন্তু দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্তের পর রাজশাহীতে এত বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছেন যে তাঁদের আইসোলেশন নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে না রোগীদের চিকিৎসারও। সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় আক্রান্ত রোগীরা ঘুরে বেড়ানোর কারণে সংক্রমণ আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
সবশেষ মঙ্গলবারের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহীর দুটি আরটি-পিসিআর ল্যাবে জেলার ৫৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ৪০৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রাজশাহীতে করোনার সংক্রমণের হার ৬৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। অথচ ১ জানুয়ারিতেই সংক্রমণের হার হয়েছিল মাত্র ২ দশমিক ৮২ শতাংশ। ১৬ জানুয়ারি থেকে সংক্রমণ হুহু করে বাড়ছে।
সংক্রমণ বাড়ছে বিভাগের অন্য সাত জেলাতেও। মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪৬ দশমিক ৮০ শতাংশ, নাটোরের ৫০ শতাংশ, নওগাঁর ৩৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ, পাবনার ২৭ দশমিক ২৩ শতাংশ, সিরাজগঞ্জের ৩৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, বগুড়ার ৪০ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং জয়পুরহাটের ৩৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ নমুনা করোনা পজিটিভ রিপোর্ট হয়েছে। গোটা বিভাগে সংক্রমণের গড় হার ৪৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।
রাজশাহীর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. চিন্ময় কান্তি দাস বলেন, ‘আমরা কোনো সিস্টেমের মধ্যে নাই। স্বাস্থ্যবিধি থেকে শুরু করে কোনো কিছুই নাই। প্রতি সেকেন্ডে করোনা বাড়ছে। যাঁরা প্রতিরোধ করবে, তাঁদের দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম দেখছি না। এবার তো আক্রান্তদের মিনিমাম আইসোলেশন নিশ্চিত করতেও দেখছি না।’
করোনা নিয়ে অসহায়ত্ব ফুটে উঠল সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এ এফ এম আঞ্জুমান আরা বেগমের কথায়। বললেন, ‘কীভাবে করোনা মোকাবিলা করব, আপনারা সাংবাদিকেরাই বলে দেন। এবার যাঁকে টেস্ট করছি, তাঁরই পজিটিভ। প্রচুর রোগী। আগে হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করা গেলেও এবার সম্ভব হচ্ছে না।’
রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্যই করতে চাননি। তবে রাজশাহীর সিভিল সার্জন আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক দাবি করেছেন, উপজেলা পর্যায়ে হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করা হচ্ছে। আক্রান্ত হয়ে রোগী শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার তথ্য তাঁর কাছে নেই। বিষয়টা নিয়ে তিনি করোনা প্রতিরোধে গঠিত জেলা পর্যায়ের কমিটিতে আলোচনা করবেন। তবে করোনা মোকাবিলায় তাঁরা এখন টিকা প্রয়োগেই জোর দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৬ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
৯ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে