ইসমাইল হোসেন কিরন, হাতিয়া (নোয়াখালী)
দিগন্তবিস্তৃত জমি থেকে ৮-১০ জন আলু তুলে খেতের পাশে স্তূপ করে রাখছেন। কয়েকজন ব্যাপারী বস্তা ও দাঁড়িপাল্লা নিয়ে এর আশপাশে ঘোরাফেরা করছেন। দরদামে মিললে এখান থেকেই আলু কিনবেন তাঁরা, না হলে অধিক মূল্যের আশায় বাড়িতে নিয়ে সংরক্ষণ করে রেখে দেবেন চাষি। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বড়দেইল গ্রামের উত্তর-দক্ষিণে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকার বর্তমান চিত্র এটি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেড়িবাঁধের বাইরের এই গ্রামের বিশাল এলাকাজুড়ে আলু চাষ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চাষিরা আলু তোলার কাজ করছেন। নারী-পুরুষ, শিশু—সবাই এই কাজে হাত লাগাচ্ছেন।
গ্রামের একটি খেতে গিয়ে দেখা যায়, জমির এক কোণে আলুর স্তূপ ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। পাশে ৮-১০ জন নারী-পুরুষ আলু তোলার কাজ করছেন। প্রশ্ন করলে এক যুবক এসে বলেন, এই স্তূপের মালিক তাঁরা। রোদে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় ঢেকে রেখেছেন। সারা দিন তুলে স্তূপ করে রাখার পর বিকেলে তা বস্তায় নিয়ে মাথায় বহন করে বাড়ি নিয়ে যাবেন।
এই যুবকের নাম শ্রী কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদার। পাশে বেড়িবাঁধের ভেতরে বড়দেইল গ্রামে তাঁদের বাড়ি। তিনি নোয়াখালী কলেজের স্নাতকের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বাড়িতে এসে বাবাকে সহযোগিতা করছেন। কৃষ্ণ জানান, এবার আড়াই একর জমিতে আলু চাষ করেছেন। ৫৫০ মণের মতো ফলনের আশা করছেন। মূল্য কম হওয়ায় এখনই তা বিক্রি করছেন না। ঘরে রেখে দিয়ে আরও এক মাস পর বিক্রি করবেন। ১০ বছর ধরে এখানকার জমিতে অন্য ফসলের সঙ্গে আলুর চাষ করে আসছেন তাঁরা। এ বছর আলুর আকার একটু ছোট হওয়ায় খেত থেকে ৪০০-৪৫০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। বাড়ি থেকে বিক্রি করলে আরও ৫০ টাকা বেশি পাওয়া যায়।
একই এলাকার আলুচাষি শ্রীরাম চন্দ্র দাসের (৬০) ছেলে সুজিত চন্দ্র দাস আলু তুলছিলেন। সুজিত জানান, মা, দুই ভাবি ও ছোট বোনকে নিয়ে আলু তোলার কাজ করছেন। সঙ্গে দুজন নারী শ্রমিক নিয়েছেন। এবার দেড় একর জমিতে আলু চাষ করেছেন তাঁরা। জমিতে থাকা বেশির ভাগ আলু তুলে ফেলেছেন। ১০ দিন ধরে আলু তোলার কাজ করছেন। দেড় একরে ২২০ মণ হবে বলে আশা করছেন। বাড়িতে রাখার জায়গা নেই, তাই সব আলু খেতেই বিক্রি করে দিয়েছেন। হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের বড়দেইল ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুবেল হোসেন জানান, উপজেলায় ৩৬৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এর মধ্যে শুধু বড়দেইল গ্রামে চাষ হয় ২০০ হেক্টর জমিতে। সরকারি হিসাবে এই গ্রাম থেকে এবার হেক্টরপ্রতি ২৫ টন করে মোট উৎপাদিত হয়েছে ৫ হাজার টন আলু। বড়দেইল গ্রামের টানবাজার থেকে রহমত বাজার পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকার অধিকাংশ জমিতে আলু চাষ করেছেন চাষিরা। পলি মাটিতে ভরা এসব জমি খুবই উর্বর। এবার মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় চাষিদের দুবার করে চারা রোপণ করতে হয়েছে।
বুড়িরচর ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম বলেন, আলু চাষে নোয়াখালী জেলার মধ্যে সেরা বড়দেইল গ্রাম। এখানে প্রচুর পরিমাণে আলু চাষ হয়। তবে হাতিয়ায় কোনো হিমাগার না থাকায় চাষিরা খেত থেকে তোলার পরপরই আলু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন। এতে মূল্য অনেক কম পান। হিমাগারে রেখে বছরের অন্য সময়ে বিক্রি করতে পারলে দ্বিগুণ লাভ হতো।
দিগন্তবিস্তৃত জমি থেকে ৮-১০ জন আলু তুলে খেতের পাশে স্তূপ করে রাখছেন। কয়েকজন ব্যাপারী বস্তা ও দাঁড়িপাল্লা নিয়ে এর আশপাশে ঘোরাফেরা করছেন। দরদামে মিললে এখান থেকেই আলু কিনবেন তাঁরা, না হলে অধিক মূল্যের আশায় বাড়িতে নিয়ে সংরক্ষণ করে রেখে দেবেন চাষি। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বড়দেইল গ্রামের উত্তর-দক্ষিণে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকার বর্তমান চিত্র এটি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেড়িবাঁধের বাইরের এই গ্রামের বিশাল এলাকাজুড়ে আলু চাষ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চাষিরা আলু তোলার কাজ করছেন। নারী-পুরুষ, শিশু—সবাই এই কাজে হাত লাগাচ্ছেন।
গ্রামের একটি খেতে গিয়ে দেখা যায়, জমির এক কোণে আলুর স্তূপ ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। পাশে ৮-১০ জন নারী-পুরুষ আলু তোলার কাজ করছেন। প্রশ্ন করলে এক যুবক এসে বলেন, এই স্তূপের মালিক তাঁরা। রোদে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় ঢেকে রেখেছেন। সারা দিন তুলে স্তূপ করে রাখার পর বিকেলে তা বস্তায় নিয়ে মাথায় বহন করে বাড়ি নিয়ে যাবেন।
এই যুবকের নাম শ্রী কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদার। পাশে বেড়িবাঁধের ভেতরে বড়দেইল গ্রামে তাঁদের বাড়ি। তিনি নোয়াখালী কলেজের স্নাতকের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বাড়িতে এসে বাবাকে সহযোগিতা করছেন। কৃষ্ণ জানান, এবার আড়াই একর জমিতে আলু চাষ করেছেন। ৫৫০ মণের মতো ফলনের আশা করছেন। মূল্য কম হওয়ায় এখনই তা বিক্রি করছেন না। ঘরে রেখে দিয়ে আরও এক মাস পর বিক্রি করবেন। ১০ বছর ধরে এখানকার জমিতে অন্য ফসলের সঙ্গে আলুর চাষ করে আসছেন তাঁরা। এ বছর আলুর আকার একটু ছোট হওয়ায় খেত থেকে ৪০০-৪৫০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। বাড়ি থেকে বিক্রি করলে আরও ৫০ টাকা বেশি পাওয়া যায়।
একই এলাকার আলুচাষি শ্রীরাম চন্দ্র দাসের (৬০) ছেলে সুজিত চন্দ্র দাস আলু তুলছিলেন। সুজিত জানান, মা, দুই ভাবি ও ছোট বোনকে নিয়ে আলু তোলার কাজ করছেন। সঙ্গে দুজন নারী শ্রমিক নিয়েছেন। এবার দেড় একর জমিতে আলু চাষ করেছেন তাঁরা। জমিতে থাকা বেশির ভাগ আলু তুলে ফেলেছেন। ১০ দিন ধরে আলু তোলার কাজ করছেন। দেড় একরে ২২০ মণ হবে বলে আশা করছেন। বাড়িতে রাখার জায়গা নেই, তাই সব আলু খেতেই বিক্রি করে দিয়েছেন। হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের বড়দেইল ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুবেল হোসেন জানান, উপজেলায় ৩৬৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এর মধ্যে শুধু বড়দেইল গ্রামে চাষ হয় ২০০ হেক্টর জমিতে। সরকারি হিসাবে এই গ্রাম থেকে এবার হেক্টরপ্রতি ২৫ টন করে মোট উৎপাদিত হয়েছে ৫ হাজার টন আলু। বড়দেইল গ্রামের টানবাজার থেকে রহমত বাজার পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকার অধিকাংশ জমিতে আলু চাষ করেছেন চাষিরা। পলি মাটিতে ভরা এসব জমি খুবই উর্বর। এবার মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় চাষিদের দুবার করে চারা রোপণ করতে হয়েছে।
বুড়িরচর ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম বলেন, আলু চাষে নোয়াখালী জেলার মধ্যে সেরা বড়দেইল গ্রাম। এখানে প্রচুর পরিমাণে আলু চাষ হয়। তবে হাতিয়ায় কোনো হিমাগার না থাকায় চাষিরা খেত থেকে তোলার পরপরই আলু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন। এতে মূল্য অনেক কম পান। হিমাগারে রেখে বছরের অন্য সময়ে বিক্রি করতে পারলে দ্বিগুণ লাভ হতো।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে