পটুয়াখালী, বরগুনা ও পিরোজপুর প্রতিনিধি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে বরগুনায় জেলা বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের ধস্তাধস্তি হয়েছে। সেখান থেকে বিএনপির ৬ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া পুলিশের লাঠিপেটায় বিএনপির ১৪ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জেলা বিএনপির সহসভাপতি এ জেড এম সালেহ ফারুক জানান, দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৯টার দিকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গণ অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ অনশন কর্মসূচিতে বাধা দেয়। এ সময় বিএনপির নেতারা প্রতিবাদ করে। এতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এ পরিস্থিতিতে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে।
সালেহ ফারুক জানান, আহতদের মধ্যে পারভেজ রেজা লিঙ্কন, ইকবাল হোসেন বুলেট ও রায়হান নাজির ধলুকে বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া আউয়াল হোসেন ও মোখলেসুর রহমান সোহাগকে চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, কর্মসূচি থেকে জাহিদ হোসেন মোল্লা, জাহেদুল ইসলাম জুয়েল, ওয়াহিদ্দুজ্জামান ওয়াসিম রেজা, ফয়জুল মালেক সজিব খান, আউয়াল হোসেন ও মোখলেসুর রহমান সোহাগসহ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি নেতারা সড়ক অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করছিলেন। এতে শহরে যানজট হয় ও জনচলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। আমরা তাঁদের রাস্তা ছেড়ে দিতে অনুরোধ করি, কিন্তু তাঁরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এ সময় শান্তি–শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে পুলিশ তাঁদের রাস্তা থেকে অপসারণে আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে বাধা দেওয়ায় কয়েকজন বিএনপি নেতাকে আটক করা হয়েছে।’
গতকাল সকালে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির গণ অনশন কর্মসূচি চলাকালে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি বলেন, ‘আমাদের দলীয় কার্যালয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা হকিস্টিক ও রামদাসহ ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমাদের ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। স্বাধীন দেশে একটি দলের কার্যালয়ের মধ্যে এভাবে নগ্ন হামলা থেকেই বোঝা যায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার অধিকার আছে কি না!’
অপরদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ভূঁইয়া বলেন, ‘পটুয়াখালীতে বিএনপির দুটি গ্রুপ রয়েছে। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ চৌধুরী, অন্য গ্রুপটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান কমিটির নেতা স্নেহাংশু সরকার কুট্টি। এই বিরোধের জেরে বঞ্চিত আলতাফ চৌধুরী গ্রুপের নেতা–কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন।’
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণ অনশন করেছে পিরোজপুর জেলা বিএনপি। গতকাল সকাল ৯টা থেকে পিরোজপুর জেলা বিএনপির আয়োজনে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ গণ অনশন পালন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সহসভাপতি আবুল কালাম আকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানাসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
এ সময় বক্তারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে যেতে দেওয়া হোক। যদি বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়া না হয় তাহলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে বরগুনায় জেলা বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের ধস্তাধস্তি হয়েছে। সেখান থেকে বিএনপির ৬ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া পুলিশের লাঠিপেটায় বিএনপির ১৪ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জেলা বিএনপির সহসভাপতি এ জেড এম সালেহ ফারুক জানান, দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৯টার দিকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গণ অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ অনশন কর্মসূচিতে বাধা দেয়। এ সময় বিএনপির নেতারা প্রতিবাদ করে। এতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এ পরিস্থিতিতে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে।
সালেহ ফারুক জানান, আহতদের মধ্যে পারভেজ রেজা লিঙ্কন, ইকবাল হোসেন বুলেট ও রায়হান নাজির ধলুকে বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া আউয়াল হোসেন ও মোখলেসুর রহমান সোহাগকে চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, কর্মসূচি থেকে জাহিদ হোসেন মোল্লা, জাহেদুল ইসলাম জুয়েল, ওয়াহিদ্দুজ্জামান ওয়াসিম রেজা, ফয়জুল মালেক সজিব খান, আউয়াল হোসেন ও মোখলেসুর রহমান সোহাগসহ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি নেতারা সড়ক অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করছিলেন। এতে শহরে যানজট হয় ও জনচলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। আমরা তাঁদের রাস্তা ছেড়ে দিতে অনুরোধ করি, কিন্তু তাঁরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এ সময় শান্তি–শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে পুলিশ তাঁদের রাস্তা থেকে অপসারণে আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে বাধা দেওয়ায় কয়েকজন বিএনপি নেতাকে আটক করা হয়েছে।’
গতকাল সকালে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির গণ অনশন কর্মসূচি চলাকালে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি বলেন, ‘আমাদের দলীয় কার্যালয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা হকিস্টিক ও রামদাসহ ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমাদের ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। স্বাধীন দেশে একটি দলের কার্যালয়ের মধ্যে এভাবে নগ্ন হামলা থেকেই বোঝা যায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার অধিকার আছে কি না!’
অপরদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ভূঁইয়া বলেন, ‘পটুয়াখালীতে বিএনপির দুটি গ্রুপ রয়েছে। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ চৌধুরী, অন্য গ্রুপটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান কমিটির নেতা স্নেহাংশু সরকার কুট্টি। এই বিরোধের জেরে বঞ্চিত আলতাফ চৌধুরী গ্রুপের নেতা–কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন।’
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণ অনশন করেছে পিরোজপুর জেলা বিএনপি। গতকাল সকাল ৯টা থেকে পিরোজপুর জেলা বিএনপির আয়োজনে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ গণ অনশন পালন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সহসভাপতি আবুল কালাম আকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানাসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
এ সময় বক্তারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে যেতে দেওয়া হোক। যদি বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়া না হয় তাহলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে