সম্পাদকীয়
আওয়ামী লীগ প্রকৃত গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আছে, নাকি কৌশলের গণতন্ত্র দলটিকে ক্ষমতাসীন করেছে, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। বিতর্ক অহেতুক তা-ও বলা যাবে না। এই বিতর্ক পাশে রেখেও এটা বলা যায়, আওয়ামী লীগ এখনো জনপ্রিয় দল এবং রাজনীতিতে এই দলের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো উপযুক্ত দল দেশে অনুপস্থিত বলেই রাজনীতিতে অনেক কিছু মেনে নিতে হচ্ছে, অনেক কিছু উপেক্ষা করতে হচ্ছে। বিএনপিও দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল। কিন্তু এই দলটি জনসমর্থনের জোর কাজে লাগাতে পারছে না। কাজের চেয়ে এই দলের নেতারা কথা বেশি বলেন। ফলে বিএনপির দিক থেকে বড় কোনো চ্যালেঞ্জের আশঙ্কায় নেই আওয়ামী লীগ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ওয়াকিবহাল মহল বরং মনে করেন, আওয়ামী লীগের বিপদ বা চ্যালেঞ্জ এখন খোদ আওয়ামী লীগই। এ কথা প্রায়ই বলা হয় যে আওয়ামী লীগের শত্রু আওয়ামী লীগ। সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রচারণাটা আরও জোরালো হচ্ছে বিভিন্ন পর্যায়ে দলের কিছু নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির ভূমিকার কারণে। একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। শনিবার আজকের পত্রিকায় ‘এমপি কালামকে নিয়ে বিরক্ত আওয়ামী লীগ’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের বেপরোয়া আচরণ দিন দিন সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তাঁকে নিয়ে আলোচনা নতুন নয়। তিনি ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে ভালোবেসে নয়, ভয় দেখিয়ে জয় করার নীতিতে বিশ্বাসী তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর বিভিন্ন সভা-সমাবেশে এমন সব বক্তব্য দিচ্ছেন, যেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে দলের নেতা-কর্মীদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছে। এমনকি দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে চ্যালেঞ্জ করেও তিনি প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন। যেমন তিনি বলেছেন, ‘এখন আমি এমপি। গঠনতন্ত্রে অনেক কিছু আছে।
রাজশাহী জেলা ও কেন্দ্র কী করল, ওটা আমাদের দেখার নাই। শেখ হাসিনা বা ওবায়দুল কাদের ঢাকায় কী বলল, সেইটা বাগমারাতে কখনো আগেও হয় নাই, আগামীতেও হবে না।’
তিনি এমন কথাও বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা গত যে নির্বাচন করল, এটা তো গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চলে না। গঠনতন্ত্রের বাহিরে প্রয়োজনতন্ত্র আছে একটা।’
তাঁর ওপর বিরক্ত হয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে। নোটিশে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত আবুল কালাম আজাদের বক্তব্যে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। শিষ্টাচারবহির্ভূতভাবে এমন বক্তব্য দেওয়া সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী এবং আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
কালাম প্রকাশ্যেই বলেন, ‘আমি তাহেরপুরের রাজা। এখানে পুলিশকে ঢুকতে হলে আমার অনুমতি নিতে হবে।’
শুধু কালাম নন, স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের এমন অনেক ‘রাজা’ তৈরি হয়েছেন, যাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আওয়ামী লীগের রাজত্ব চালানো বা সরকার চালানো কঠিন হয়ে পড়বে!
আওয়ামী লীগ প্রকৃত গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আছে, নাকি কৌশলের গণতন্ত্র দলটিকে ক্ষমতাসীন করেছে, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। বিতর্ক অহেতুক তা-ও বলা যাবে না। এই বিতর্ক পাশে রেখেও এটা বলা যায়, আওয়ামী লীগ এখনো জনপ্রিয় দল এবং রাজনীতিতে এই দলের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো উপযুক্ত দল দেশে অনুপস্থিত বলেই রাজনীতিতে অনেক কিছু মেনে নিতে হচ্ছে, অনেক কিছু উপেক্ষা করতে হচ্ছে। বিএনপিও দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল। কিন্তু এই দলটি জনসমর্থনের জোর কাজে লাগাতে পারছে না। কাজের চেয়ে এই দলের নেতারা কথা বেশি বলেন। ফলে বিএনপির দিক থেকে বড় কোনো চ্যালেঞ্জের আশঙ্কায় নেই আওয়ামী লীগ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ওয়াকিবহাল মহল বরং মনে করেন, আওয়ামী লীগের বিপদ বা চ্যালেঞ্জ এখন খোদ আওয়ামী লীগই। এ কথা প্রায়ই বলা হয় যে আওয়ামী লীগের শত্রু আওয়ামী লীগ। সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রচারণাটা আরও জোরালো হচ্ছে বিভিন্ন পর্যায়ে দলের কিছু নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির ভূমিকার কারণে। একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। শনিবার আজকের পত্রিকায় ‘এমপি কালামকে নিয়ে বিরক্ত আওয়ামী লীগ’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের বেপরোয়া আচরণ দিন দিন সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তাঁকে নিয়ে আলোচনা নতুন নয়। তিনি ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে ভালোবেসে নয়, ভয় দেখিয়ে জয় করার নীতিতে বিশ্বাসী তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর বিভিন্ন সভা-সমাবেশে এমন সব বক্তব্য দিচ্ছেন, যেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে দলের নেতা-কর্মীদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছে। এমনকি দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে চ্যালেঞ্জ করেও তিনি প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন। যেমন তিনি বলেছেন, ‘এখন আমি এমপি। গঠনতন্ত্রে অনেক কিছু আছে।
রাজশাহী জেলা ও কেন্দ্র কী করল, ওটা আমাদের দেখার নাই। শেখ হাসিনা বা ওবায়দুল কাদের ঢাকায় কী বলল, সেইটা বাগমারাতে কখনো আগেও হয় নাই, আগামীতেও হবে না।’
তিনি এমন কথাও বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা গত যে নির্বাচন করল, এটা তো গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চলে না। গঠনতন্ত্রের বাহিরে প্রয়োজনতন্ত্র আছে একটা।’
তাঁর ওপর বিরক্ত হয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে। নোটিশে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত আবুল কালাম আজাদের বক্তব্যে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। শিষ্টাচারবহির্ভূতভাবে এমন বক্তব্য দেওয়া সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী এবং আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
কালাম প্রকাশ্যেই বলেন, ‘আমি তাহেরপুরের রাজা। এখানে পুলিশকে ঢুকতে হলে আমার অনুমতি নিতে হবে।’
শুধু কালাম নন, স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের এমন অনেক ‘রাজা’ তৈরি হয়েছেন, যাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আওয়ামী লীগের রাজত্ব চালানো বা সরকার চালানো কঠিন হয়ে পড়বে!
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে