শাকিলা ববি, সিলেট
মজুরি বোর্ড ২০১০ সালে চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৪৮ টাকা নির্ধারণ করে। প্রতি পাঁচ বছর পর শ্রমিকদের মজুরি নতুন করে নির্ধারণ করার কথা। কিন্তু বোর্ড তা করেনি। তাই মালিকপক্ষের সঙ্গে প্রতি দুই বছর পর চুক্তির মাধ্যমে ৪৮ টাকা বৃদ্ধি করা হয়। ১১ বছর পর সর্বশেষ ২০২১ সালের ১৩ জুন চা-শিল্প খাতে ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গেজেট আকারে খসড়া মজুরির ১২০ টাকা সুপারিশ প্রকাশ করে। কিন্তু এর আগেই মালিক ও শ্রমিকপক্ষের চুক্তির মাধ্যমে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১২০ টাকা মজুরি কার্যকর হয়। তাই ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি চা-শ্রমিকেরা। তাঁদের অভিযোগ, মজুরি বৃদ্ধিতে প্রধান বাধা মজুরি বোর্ড।
চা-শ্রমিক সংগঠনগুলো এ খসড়ার প্রতিবাদ করে আসছে, কিন্তু তাতেও টনক নড়েনি মজুরি বোর্ড কর্তৃপক্ষের। চলতি বছরের জুন মাসের শেষ দিকে মজুরি বোর্ডের সর্বশেষ বৈঠকেও ১২০ টাকা মজুরির সুপারিশ করে বোর্ড। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে আগামী পাঁচ বছর ১২০ টাকা দৈনিক মজুরিতে কাজ করতে হবে শ্রমিকদের।
শ্রমিকনেতাদের অভিযোগ, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির এ সময়ে শ্রমিকদের দৈনিক মাত্র ১২০ টাকা মজুরি কোনো যুক্তি ছাড়া চাপিয়ে দিতে চাইছে মজুরি বোর্ড। চা-বাগানের মালিকেরা যা বলেন, মজুরি বোর্ডও সে অনুযায়ী কাজ করে। সরকার যে মজুরি বোর্ড গঠন করেছে, সেটা মালিকপক্ষের স্বার্থের জন্য কাজ করছে।
মজুরি বোর্ডের একজন সদস্য বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এই মজুরি বোর্ড গঠনের পর অনেকগুলো মিটিং হয়েছে। সেই মিটিংয়ের পর তারা একটি খসড়া দিয়েছিল। এই খসড়া প্রকাশের পর শ্রমিকেরা আপত্তি দিয়েছেন। এরপরও ১২০ টাকা মজুরির জন্য তারা প্রস্তাব করে। এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমি একমত হইনি। তাই আমি ওই খসড়ায় স্বাক্ষর করিনি। তখন সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে মজুরি বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সর্বশেষ বৈঠকে আবারও ১২০ টাকা সুপারিশ করে মজুরি বোর্ড। অথচ ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১২০ টাকা মজুরি কার্যকর হয়েছে।’
চা উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে চা-বাগান রয়েছে ১৬৭টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাগান রয়েছে সিলেট বিভাগে। এসব চা-বাগানে কাজ করছেন সহস্রাধিক শ্রমিক। বাগান থেকে রেশন বলতে সপ্তাহে একবার মাথাপিছু ৩ কেজি ৪০০ গ্রাম আটা দেওয়া হয়। মাটির ঘর, শিক্ষার অভাব, অপর্যাপ্ত স্যানিটেশনসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত শ্রমিকেরা। তাই ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন শ্রমিকেরা।
চলমান এই আন্দোলনের একজন নেতা সিলেট ভ্যালি সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, ‘ন্যূনতম খেয়ে-পরে বাঁচার জন্য আমরা এই ৩০০ টাকা মজুরি চাইছি। এই দাবিটা দীর্ঘদিনের। কিন্তু এ ব্যাপারে সরকার বা মালিকপক্ষ স্থায়ী কোনো সমাধান দিচ্ছে না। মালিকপক্ষ অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দিচ্ছে ১৪ টাকা বাড়াবে। কিন্তু আমরা মানি নাই।’
চা-বাগানের ৭৪ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। এর প্রধান কারণ হলো নিম্ন মজুরি। এই তথ্য উল্লেখ করে চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী বলেন, ‘১৯ মাস হয়ে গেছে এই দ্বিপক্ষীয় চুক্তিও করছে না মালিকপক্ষ। মালিকপক্ষ তাদের মুনাফার ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত থাকতে চায়।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের সচিব রাইসা আফরোজ বলেন, ‘এই খসড়া মজুরির সুপারিশ এখন মন্ত্রণালয়ে আছে। কিছু দিনের মধ্যে হয়তো প্রজ্ঞাপন আকারে চলে আসবে।’ পাঁচ বছর পর পর এই মজুরি নির্ধারণের কথা থাকলেও কেন ১১ বছর পর নতুন মজুরি খসড়া প্রকাশ করল মজুরি বোর্ড, তা জানতে চাইলে রাইসা আফরোজ বলেন, ‘শ্রমিক-মালিক পেতে একটু দেরি হওয়ায় এই বিলম্ব হয়েছে।’
মজুরি বোর্ড ২০১০ সালে চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৪৮ টাকা নির্ধারণ করে। প্রতি পাঁচ বছর পর শ্রমিকদের মজুরি নতুন করে নির্ধারণ করার কথা। কিন্তু বোর্ড তা করেনি। তাই মালিকপক্ষের সঙ্গে প্রতি দুই বছর পর চুক্তির মাধ্যমে ৪৮ টাকা বৃদ্ধি করা হয়। ১১ বছর পর সর্বশেষ ২০২১ সালের ১৩ জুন চা-শিল্প খাতে ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গেজেট আকারে খসড়া মজুরির ১২০ টাকা সুপারিশ প্রকাশ করে। কিন্তু এর আগেই মালিক ও শ্রমিকপক্ষের চুক্তির মাধ্যমে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১২০ টাকা মজুরি কার্যকর হয়। তাই ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি চা-শ্রমিকেরা। তাঁদের অভিযোগ, মজুরি বৃদ্ধিতে প্রধান বাধা মজুরি বোর্ড।
চা-শ্রমিক সংগঠনগুলো এ খসড়ার প্রতিবাদ করে আসছে, কিন্তু তাতেও টনক নড়েনি মজুরি বোর্ড কর্তৃপক্ষের। চলতি বছরের জুন মাসের শেষ দিকে মজুরি বোর্ডের সর্বশেষ বৈঠকেও ১২০ টাকা মজুরির সুপারিশ করে বোর্ড। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে আগামী পাঁচ বছর ১২০ টাকা দৈনিক মজুরিতে কাজ করতে হবে শ্রমিকদের।
শ্রমিকনেতাদের অভিযোগ, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির এ সময়ে শ্রমিকদের দৈনিক মাত্র ১২০ টাকা মজুরি কোনো যুক্তি ছাড়া চাপিয়ে দিতে চাইছে মজুরি বোর্ড। চা-বাগানের মালিকেরা যা বলেন, মজুরি বোর্ডও সে অনুযায়ী কাজ করে। সরকার যে মজুরি বোর্ড গঠন করেছে, সেটা মালিকপক্ষের স্বার্থের জন্য কাজ করছে।
মজুরি বোর্ডের একজন সদস্য বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এই মজুরি বোর্ড গঠনের পর অনেকগুলো মিটিং হয়েছে। সেই মিটিংয়ের পর তারা একটি খসড়া দিয়েছিল। এই খসড়া প্রকাশের পর শ্রমিকেরা আপত্তি দিয়েছেন। এরপরও ১২০ টাকা মজুরির জন্য তারা প্রস্তাব করে। এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমি একমত হইনি। তাই আমি ওই খসড়ায় স্বাক্ষর করিনি। তখন সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে মজুরি বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সর্বশেষ বৈঠকে আবারও ১২০ টাকা সুপারিশ করে মজুরি বোর্ড। অথচ ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১২০ টাকা মজুরি কার্যকর হয়েছে।’
চা উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে চা-বাগান রয়েছে ১৬৭টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাগান রয়েছে সিলেট বিভাগে। এসব চা-বাগানে কাজ করছেন সহস্রাধিক শ্রমিক। বাগান থেকে রেশন বলতে সপ্তাহে একবার মাথাপিছু ৩ কেজি ৪০০ গ্রাম আটা দেওয়া হয়। মাটির ঘর, শিক্ষার অভাব, অপর্যাপ্ত স্যানিটেশনসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত শ্রমিকেরা। তাই ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন শ্রমিকেরা।
চলমান এই আন্দোলনের একজন নেতা সিলেট ভ্যালি সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, ‘ন্যূনতম খেয়ে-পরে বাঁচার জন্য আমরা এই ৩০০ টাকা মজুরি চাইছি। এই দাবিটা দীর্ঘদিনের। কিন্তু এ ব্যাপারে সরকার বা মালিকপক্ষ স্থায়ী কোনো সমাধান দিচ্ছে না। মালিকপক্ষ অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দিচ্ছে ১৪ টাকা বাড়াবে। কিন্তু আমরা মানি নাই।’
চা-বাগানের ৭৪ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। এর প্রধান কারণ হলো নিম্ন মজুরি। এই তথ্য উল্লেখ করে চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী বলেন, ‘১৯ মাস হয়ে গেছে এই দ্বিপক্ষীয় চুক্তিও করছে না মালিকপক্ষ। মালিকপক্ষ তাদের মুনাফার ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত থাকতে চায়।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের সচিব রাইসা আফরোজ বলেন, ‘এই খসড়া মজুরির সুপারিশ এখন মন্ত্রণালয়ে আছে। কিছু দিনের মধ্যে হয়তো প্রজ্ঞাপন আকারে চলে আসবে।’ পাঁচ বছর পর পর এই মজুরি নির্ধারণের কথা থাকলেও কেন ১১ বছর পর নতুন মজুরি খসড়া প্রকাশ করল মজুরি বোর্ড, তা জানতে চাইলে রাইসা আফরোজ বলেন, ‘শ্রমিক-মালিক পেতে একটু দেরি হওয়ায় এই বিলম্ব হয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে