জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল বছরের পর বছর ধরে হাজারের বেশি মামলার ঘানি টানছে। এর মধ্যে কোনো কোনো মামলা ৪০ বছরের পুরোনো। এর অন্তত ৮০ শতাংশ মামলাই ভূমির মালিকানা নিয়ে। রেলসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্মানী কম হওয়ায় তাদের হয়ে আদালতে লড়তে চান না আইনজীবীরা। এ কারণেই মামলাগুলো নিষ্পত্তি হচ্ছে না।
ঢাকার আনন্দবাজার এলাকায় রেলওয়ের তিন দশমিক ৮৭ একর জমির মালিকানা নিয়ে রেলওয়ের বিরুদ্ধে মামলা হয় ১৯৮০ সালে। ওই মামলাটি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত আসন-৫-এর এক নারী কাউন্সিলর একের পর এক মামলা করে জায়গাটি দখল করে রেখেছেন।
ঢাকার রমনা থানা এলাকায় দুই দশমিক ৮১ একর জায়গার মালিকানা নিয়েও ২০০৪ সালে মামলা হয়। একই ভাবে ঢাকার উত্তরা থানাধীন ফায়দাবাদে তিন দশমিক ৩৩ একর জমির ওপর ‘কোর্ট অব অ্যাওয়ার্ডে’র মাধ্যমে লিজ নিয়ে বেআইনিভাবে স্কুল-কলেজ নির্মাণ করায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ২০০৬ সালে মামলা হয়। চট্টগ্রাম হালিশহর এলাকায় ১১৫ দশমিক ৬৭ একর ভূমির মালিকানা নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে মামলা করে রেলওয়ে।
একই ভাবে উত্তর পাহাড়তলীর আকবরশাহ মাজার এলাকায় ১০ দশমিক ৬২ একর ভূমির মালিকানা নিয়ে ২০১১ সালে মামলা হয়। মামলাটি পরিচালনা করছেন অ্যাডভোকেট কেএম ছরোয়ারুল ইসলাম। খুলশী এলাকায় চার দশমিক ৮০ একর ভূমি টেন্ডার বিক্রয় সংক্রান্ত মামলা হয় ২০১৬ সালে।
ঢাকার রমনার ফুলবাড়িয়া এলাকায় দুই দশমিক ৮৬ একর ভূমির মালিকানা সংক্রান্ত মামলা হয়। পুরোনো এই মামলাটি এখনো চলমান। ঢাকার বিমানবন্দর রেলস্টেশনের পাশে ১০৩ একর ভূমির মালিকানা নিয়ে রেলওয়ের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে মামলা করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রামে জেলার মাদারবাড়ি এলাকায় সাত দশমিক ২৪৩২ একর ভূমির টেন্ডার নিয়ে ২০০৪ সালে মামলা করে সিটি করপোরেশন।
ফয়’স লেকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জায়গায় একটি অ্যামিউজমেন্ট পার্ক নির্মাণে কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে রেলওয়ে ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। চুক্তির একাধিক শর্ত ভঙ্গ এবং ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ ব্যয় নিয়ে জটিলতায় ২০১৭ সালে সেটি বাতিল করে রেলওয়ে। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে দুটি রিট পিটিশন দায়ের করে কনকর্ড। মামলা দুটি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের এ রকম প্রায় ১ হাজার ৩০০ মামলা চলমান রয়েছে। প্রতি বছর শুধু মামলা পরিচালনায় বিশাল অংকের টাকা ব্যয় হচ্ছে তাদের। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আইন দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, ১ হাজার ৩০০ মামলার মধ্যে ৮০ শতাংশ মামলাই ভূমি সংক্রান্ত। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে ৪৮টি, উচ্চ আদালতে ৪৭৮টির বেশি, জজ কোর্টে বিচারাধীন আছে ৬৭১টি এবং প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন আছে ৪৭টি।
মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার পেছনে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আইন দপ্তরে জনবল সংকট, মামলা পরিচালনা ব্যয় কমসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ের এক কোর্ট ইন্সপেক্টর বলেন, এক মামলার শুনানিতে একজন আইনজীবীকে মাত্র ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। যা অনেক কম। ফলে অনেকেই মামলা লড়তে চান না। মামলার নিষ্পত্তির জন্য বেশি টাকা খরচ করতে হবে। তবেই সমাধান হবে, অন্যথায় নয়।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, মামলার বেশির ভাগই ভূমিসংক্রান্ত। মূলত রেলওয়ের জায়গা দখলে রাখতেই একের পর এক মামলা ঠুকে দেয় প্রতিপক্ষ। এসব মামলার অধিকাংশ স্বাভাবিকভাবে নিষ্পত্তি হয় না। চলতে থাকে বছরের পর বছর।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা তো সরকারি প্রতিষ্ঠান। ইচ্ছেমতো টাকা খরচ করতে পারি না। কিন্তু প্রতিপক্ষের মামলা পরিচালনা ব্যয় অনেক বেশি। এসব কারণে অনেক সময় মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। এ কারণে মামলা নিষ্পত্তিতে সময় লাগে।’
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল বছরের পর বছর ধরে হাজারের বেশি মামলার ঘানি টানছে। এর মধ্যে কোনো কোনো মামলা ৪০ বছরের পুরোনো। এর অন্তত ৮০ শতাংশ মামলাই ভূমির মালিকানা নিয়ে। রেলসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্মানী কম হওয়ায় তাদের হয়ে আদালতে লড়তে চান না আইনজীবীরা। এ কারণেই মামলাগুলো নিষ্পত্তি হচ্ছে না।
ঢাকার আনন্দবাজার এলাকায় রেলওয়ের তিন দশমিক ৮৭ একর জমির মালিকানা নিয়ে রেলওয়ের বিরুদ্ধে মামলা হয় ১৯৮০ সালে। ওই মামলাটি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত আসন-৫-এর এক নারী কাউন্সিলর একের পর এক মামলা করে জায়গাটি দখল করে রেখেছেন।
ঢাকার রমনা থানা এলাকায় দুই দশমিক ৮১ একর জায়গার মালিকানা নিয়েও ২০০৪ সালে মামলা হয়। একই ভাবে ঢাকার উত্তরা থানাধীন ফায়দাবাদে তিন দশমিক ৩৩ একর জমির ওপর ‘কোর্ট অব অ্যাওয়ার্ডে’র মাধ্যমে লিজ নিয়ে বেআইনিভাবে স্কুল-কলেজ নির্মাণ করায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ২০০৬ সালে মামলা হয়। চট্টগ্রাম হালিশহর এলাকায় ১১৫ দশমিক ৬৭ একর ভূমির মালিকানা নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে মামলা করে রেলওয়ে।
একই ভাবে উত্তর পাহাড়তলীর আকবরশাহ মাজার এলাকায় ১০ দশমিক ৬২ একর ভূমির মালিকানা নিয়ে ২০১১ সালে মামলা হয়। মামলাটি পরিচালনা করছেন অ্যাডভোকেট কেএম ছরোয়ারুল ইসলাম। খুলশী এলাকায় চার দশমিক ৮০ একর ভূমি টেন্ডার বিক্রয় সংক্রান্ত মামলা হয় ২০১৬ সালে।
ঢাকার রমনার ফুলবাড়িয়া এলাকায় দুই দশমিক ৮৬ একর ভূমির মালিকানা সংক্রান্ত মামলা হয়। পুরোনো এই মামলাটি এখনো চলমান। ঢাকার বিমানবন্দর রেলস্টেশনের পাশে ১০৩ একর ভূমির মালিকানা নিয়ে রেলওয়ের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে মামলা করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রামে জেলার মাদারবাড়ি এলাকায় সাত দশমিক ২৪৩২ একর ভূমির টেন্ডার নিয়ে ২০০৪ সালে মামলা করে সিটি করপোরেশন।
ফয়’স লেকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জায়গায় একটি অ্যামিউজমেন্ট পার্ক নির্মাণে কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে রেলওয়ে ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। চুক্তির একাধিক শর্ত ভঙ্গ এবং ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ ব্যয় নিয়ে জটিলতায় ২০১৭ সালে সেটি বাতিল করে রেলওয়ে। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে দুটি রিট পিটিশন দায়ের করে কনকর্ড। মামলা দুটি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের এ রকম প্রায় ১ হাজার ৩০০ মামলা চলমান রয়েছে। প্রতি বছর শুধু মামলা পরিচালনায় বিশাল অংকের টাকা ব্যয় হচ্ছে তাদের। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আইন দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, ১ হাজার ৩০০ মামলার মধ্যে ৮০ শতাংশ মামলাই ভূমি সংক্রান্ত। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে ৪৮টি, উচ্চ আদালতে ৪৭৮টির বেশি, জজ কোর্টে বিচারাধীন আছে ৬৭১টি এবং প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন আছে ৪৭টি।
মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার পেছনে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আইন দপ্তরে জনবল সংকট, মামলা পরিচালনা ব্যয় কমসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ের এক কোর্ট ইন্সপেক্টর বলেন, এক মামলার শুনানিতে একজন আইনজীবীকে মাত্র ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। যা অনেক কম। ফলে অনেকেই মামলা লড়তে চান না। মামলার নিষ্পত্তির জন্য বেশি টাকা খরচ করতে হবে। তবেই সমাধান হবে, অন্যথায় নয়।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, মামলার বেশির ভাগই ভূমিসংক্রান্ত। মূলত রেলওয়ের জায়গা দখলে রাখতেই একের পর এক মামলা ঠুকে দেয় প্রতিপক্ষ। এসব মামলার অধিকাংশ স্বাভাবিকভাবে নিষ্পত্তি হয় না। চলতে থাকে বছরের পর বছর।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা তো সরকারি প্রতিষ্ঠান। ইচ্ছেমতো টাকা খরচ করতে পারি না। কিন্তু প্রতিপক্ষের মামলা পরিচালনা ব্যয় অনেক বেশি। এসব কারণে অনেক সময় মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। এ কারণে মামলা নিষ্পত্তিতে সময় লাগে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে