সেতু নেই, সাঁকোয় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৬: ২৬
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ৪২

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের মহিষতুলি পাঠানঝাড় গ্রামের আঙ্গেরভাসা খালের ওপর সেতু নেই। তাই চার গ্রামের মানুষের খাল পারাপারে একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। এতে অনেক সময় ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা জানান, ২০১৭ সালে আঙ্গেরভাসা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি পানির স্রোতে ভেঙে যায়। বর্তমানে ওই স্থানে সেতুর কোনো চিহ্ন নেই। ভেঙে যাওয়ার কয়েক বছর গেলেও সেতুটি আজও নির্মাণ করা হয়নি। যার ফলে বাঁশের সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে মহিষতুলি, পাঠানঝাড়, ফলিমারী, তালুক দুলালীসহ আশপাশের এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে প্রতিদিন পারাপার হতে হচ্ছে।

বাঁশের সাঁকো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কৃষকের উৎপাদিত পণ্য বেচা-কেনা জন্য ভারী যানবাহন নিয়ে যেতে হলে সাঁকো এড়িয়ে প্রায় দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার পথ ঘুরে হাট-বাজার, উপজেলা ও জেলা শহরে যেতে হয়।

মহিষতুলি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্র আবুল কালাম বলেন, ‘প্রতিদিন বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যেতে হয়। কতক সময়ে আবার নিরাপদে যাওয়ার জন্য দূরের পথ ঘুরে স্কুলে যেতে হয়। এতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। অনেক সময় সাঁকো থেকে অনেকে পড়ে গিয়ে আহত হন।’

স্থানীয় কৃষক আব্দুল গনি জানান, সেতু না থাকায় কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ, ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহন ও ছেলেমেয়েদের স্কুল যাতায়াতে ভীষণ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। প্রতিবছর স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাঁশ সংগ্রহ করে মানুষের চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। এই খালের ওপর সেতু নির্মাণ করা হলে দুর্ভোগ নিরসনের পাশাপাশি এলাকার অর্থনীতি ও সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে বলে তিনি মনে করেন।

ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘২০১৮-১৯ অর্থবছরে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে সেতুটি নির্মাণের জন্য ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। কিন্তু পানির গভীরতা বেশি থাকায় নির্মাণকাজ শুরু করা যায়নি। পরে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ওই অর্থ দিয়ে ইউনিয়নের অন্য এলাকায় একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়। এরপর আর সেতুটি নির্মাণের বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।’

আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘ডিঙ্গের দোলায় খালের ওপর ৫০ ফুট গাডার ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে এবং মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। বছর খানেক আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালক ওই স্থানটি পরিদর্শন করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই জায়গায় সেতু নির্মাণ করা হবে। ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি গার্ডার সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত