তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
আব্দুল আলিমের বাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে। তিনি পেশায় একজন কৃষক। তালার পাখিমারা বিলে ৫ বিঘা জমিতে ধান চাষ করে সংসার চলত কৃষক আলিমের।
২৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ব্যয়ে কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প (১ম পর্যায়) নামের একটি প্রকল্প অনুমোদন করে বর্তমান সরকার। প্রকল্পের মেয়াদ থাকে ২০১১ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত। সেই প্রকল্পের কপোতাক্ষ টিআরএমের আওতায় ৫ বিঘা জমি চলে যায় আব্দুল আলিমের। সরকার ঘোষিত টিআরএমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা থাকে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ ও ২০১২ সালে কৃষক আব্দুল আলিম ক্ষতিপূরণের টাকা পেলেও ২০১৩-২০১৭ সালের ক্ষতিপূরণের টাকার দেখা পাননি তিনি।
শুধু কৃষক আলিম নন, এমন অবস্থা প্রায় ২ হাজার কৃষকের। আবার জমির কাগজ পত্রে জটিলতা থাকায় অনেক কৃষক কোনো বছরের টাকা পাননি।
এদিকে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের অগ্রগতি অব্যাহত রাখার স্বার্থে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ৫৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২৪ পর্যন্ত ৪ বছর মেয়াদি দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পটির মূল কাজ হলো পাখিমারা বিলে টিআরএম কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং নদী খনন। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের ২ বছর অতিবাহিত হলেও আজও টিআরএম বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি নেই। দিশেহারা হয়ে পড়েছে টিআরএম এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা।
ডিসি অফিস, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাচ্ছে না কৃষকেরা। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আলিম বলেন, ‘সরকারের এ প্রকল্পের কারণে এলাকায় এখন জলাবদ্ধতা না থাকলেও আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা না খেয়ে মরছি। কিন্তু আমাদের সমস্যা দেখার কেউ নেই। ডিসি অফিস থেকে শুরু করে সবখানে গেছি কিন্তু সবাই আশার বাণী শোনালেও কোনো কাজ হয় না।’
জমির মালিক ফিরোজ সানা জানান, আমাদের ৮ বিঘা জমি টিআরএম বিলে আছে। ২০১১ ও ২০১২ সালের টাকা সরকারের নিকট থেকে বুঝে পেয়েছি। এরপর ২০১৩ সাল থেকে অদ্যাবধি কোনো ক্ষতিপূরণের টাকা তিনি পায়নি। অনেকবার সাতক্ষীরা ডিসি অফিসে যোগাযোগ করেছে কিন্তু ডিসি অফিস থেকে একটাই উত্তর এসেছে ক্ষতিপূরণের টাকা এখনো জমা হয়নি।
তালা উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান জানান, কপোতাক্ষ খননের প্রথম ফেইজের ২৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার এবং দ্বিতীয় ফেইজের ৫৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা সরকার বরাদ্দ দিলেও ২০১১ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত টিআরএম এলাকার চাষিরা প্রথম দুই বছরের ক্ষতিপূরণ পেলেও পরবর্তী সময়ে আর পাননি।
তিনি আরও জানান, ডিসি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায় দ্বিতীয় ফেইজের টাকা পানি উন্নয়ন বোর্ড জমা না দেওয়ায় কৃষকেরা ক্ষতিপূরণ দিতে পারছেন না। এই অবস্থা চলতে থাকলে সরকারের প্রায় ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প ভেস্তে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু বলেন, ‘ঠিকমতো ক্ষতিপূরণের টাকা না পাওয়ায় পাখিমারা বিলের কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।’
এ বিষয়ে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দ্বিতীয় ফেইজে নদী খনন ৫০ শতাংশ শেষ হয়ে গেছে। ডিসি অফিসে আমাদের টাকা জমা আছে, আরও টাকা জমা দেওয়া হবে। চাষিরা পর্যায়ক্রমে এই টাকা পেয়ে যাবে।’
আব্দুল আলিমের বাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে। তিনি পেশায় একজন কৃষক। তালার পাখিমারা বিলে ৫ বিঘা জমিতে ধান চাষ করে সংসার চলত কৃষক আলিমের।
২৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ব্যয়ে কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প (১ম পর্যায়) নামের একটি প্রকল্প অনুমোদন করে বর্তমান সরকার। প্রকল্পের মেয়াদ থাকে ২০১১ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত। সেই প্রকল্পের কপোতাক্ষ টিআরএমের আওতায় ৫ বিঘা জমি চলে যায় আব্দুল আলিমের। সরকার ঘোষিত টিআরএমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা থাকে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ ও ২০১২ সালে কৃষক আব্দুল আলিম ক্ষতিপূরণের টাকা পেলেও ২০১৩-২০১৭ সালের ক্ষতিপূরণের টাকার দেখা পাননি তিনি।
শুধু কৃষক আলিম নন, এমন অবস্থা প্রায় ২ হাজার কৃষকের। আবার জমির কাগজ পত্রে জটিলতা থাকায় অনেক কৃষক কোনো বছরের টাকা পাননি।
এদিকে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের অগ্রগতি অব্যাহত রাখার স্বার্থে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ৫৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২৪ পর্যন্ত ৪ বছর মেয়াদি দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পটির মূল কাজ হলো পাখিমারা বিলে টিআরএম কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং নদী খনন। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের ২ বছর অতিবাহিত হলেও আজও টিআরএম বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি নেই। দিশেহারা হয়ে পড়েছে টিআরএম এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা।
ডিসি অফিস, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাচ্ছে না কৃষকেরা। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আলিম বলেন, ‘সরকারের এ প্রকল্পের কারণে এলাকায় এখন জলাবদ্ধতা না থাকলেও আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা না খেয়ে মরছি। কিন্তু আমাদের সমস্যা দেখার কেউ নেই। ডিসি অফিস থেকে শুরু করে সবখানে গেছি কিন্তু সবাই আশার বাণী শোনালেও কোনো কাজ হয় না।’
জমির মালিক ফিরোজ সানা জানান, আমাদের ৮ বিঘা জমি টিআরএম বিলে আছে। ২০১১ ও ২০১২ সালের টাকা সরকারের নিকট থেকে বুঝে পেয়েছি। এরপর ২০১৩ সাল থেকে অদ্যাবধি কোনো ক্ষতিপূরণের টাকা তিনি পায়নি। অনেকবার সাতক্ষীরা ডিসি অফিসে যোগাযোগ করেছে কিন্তু ডিসি অফিস থেকে একটাই উত্তর এসেছে ক্ষতিপূরণের টাকা এখনো জমা হয়নি।
তালা উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান জানান, কপোতাক্ষ খননের প্রথম ফেইজের ২৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার এবং দ্বিতীয় ফেইজের ৫৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা সরকার বরাদ্দ দিলেও ২০১১ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত টিআরএম এলাকার চাষিরা প্রথম দুই বছরের ক্ষতিপূরণ পেলেও পরবর্তী সময়ে আর পাননি।
তিনি আরও জানান, ডিসি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায় দ্বিতীয় ফেইজের টাকা পানি উন্নয়ন বোর্ড জমা না দেওয়ায় কৃষকেরা ক্ষতিপূরণ দিতে পারছেন না। এই অবস্থা চলতে থাকলে সরকারের প্রায় ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প ভেস্তে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু বলেন, ‘ঠিকমতো ক্ষতিপূরণের টাকা না পাওয়ায় পাখিমারা বিলের কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।’
এ বিষয়ে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দ্বিতীয় ফেইজে নদী খনন ৫০ শতাংশ শেষ হয়ে গেছে। ডিসি অফিসে আমাদের টাকা জমা আছে, আরও টাকা জমা দেওয়া হবে। চাষিরা পর্যায়ক্রমে এই টাকা পেয়ে যাবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে